skip to Main Content

ই-শপ I কটন গ্রেস

বাচ্চাদের জন্য কাপড় কেনাকাটার ক্ষেত্রে মায়েরা শহুরে জীবনের যেসব ঝামেলার সম্মুখীন হন, সেগুলো কমিয়ে আনার উদ্দেশ্য নিয়ে শুরু হয় কটন গ্রেস। সন্তানদের জন্য সঠিক মাপের কিংবা পছন্দের রঙের কাপড়টি খুঁজে নেওয়ার যে চেষ্টা, সেটিকে সহজ ও সময়োপযোগী করে তোলাই এই ই-শপের কাজ। ‘প্রতিদিনের জীবনে মায়েদের সব ব্যস্ততা শেষে যে সংক্ষিপ্ত সময় থাকে, তাকে গুরুত্ব দিয়ে সন্তানদের জন্য পছন্দের কাপড়টি কেনা কীভাবে সহজ করা যায়, সেদিকেই আমাদের চিন্তা ছিল।’ বলেন কটন গ্রেসের কো-ফাউন্ডার সামি সিদ্দিক, যিনি বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ালেখা করছেন।
পেজটি পরিচালনা করেন তিনজন বন্ধু মিলে। এই পেজের আরেকজন উদ্যোক্তা ফাইয়াজ চৌধুরী বর্তমানে কানাডায় পড়ালেখা করছেন, সেখান থেকে এই পেজের জন্য যতটা শ্রম প্রয়োজন তিনি দিয়ে থাকেন। আর পেজ ব্যবস্থাপনার তৃতীয় সদস্য নাজলী মঈন, তিনিও একজন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী। তাদের কাছে যখন মনে হয় বাজারে আসলে বাচ্চাদের জন্য রুচিসম্মত কিংবা আধুনিক ফ্যাশনসম্মত পোশাকের জন্য সেই রকম কোনো ব্র্যান্ড নেই, ঠিক তখনই তারা এমন একটা অনলাইন পেজের কথা ভাবেন, যেখানে শুধু বাচ্চাদের পোশাকই পাওয়া যাবে। ‘আধুনিক ট্রেন্ডের কাপড় শিশুদের মধ্যে জনপ্রিয় করে তোলার জন্যই আমরা শিশুদের জন্য কাস্টমাইজড অনলাইন পেজ তৈরি করেছি।’ বলেন নাজলী। কটন গ্রেসের যাত্রা এ বছরের শুরুতেই, শূন্য থেকে পাঁচ বছর বয়সী বাচ্চাদের কাপড় নিয়ে। ধীরে ধীরে বেশ কজন শুভাকাঙ্ক্ষী ও নিয়মিত গ্রাহকের কল্যাণে এবং নিবেদিতপ্রাণ কর্মীদের মাধ্যমে তারা বাড়িয়ে তুলতে থাকেন সেবার পরিধি। এখন শুধু ছোট বাচ্চাদেরই নয়, এই ই-শপে পাওয়া যাচ্ছে আট বছর বয়সী ছেলে-মেয়ে উভয়ের জন্য ভিন্নধর্মী সব পোশাক। অনলাইন থেকে মতামত নিয়ে গ্রাহকদের মনমতো পোশাক তৈরি করার মধ্যেই তাদের সাফল্য নিহিত।
এই পেজের পোশাকের মূল্য ম্যাটেরিয়াল আর সাইজভেদে ৩৫০ টাকা থেকে শুরু করে ২৫০০ টাকার মধ্যে। যেহেতু বাচ্চাদের পোশাক, তাই উপকরণ বাছাই করা হয় যত্নের সঙ্গে। কেননা ফ্যাশনের পাশাপাশি আরামদায়ক পোশাক নিয়েই বেশি ভেবে থাকেন তাদের মা-বাবারা। যাবতীয় উপাদান তাদের কারিগরেরাই বাছাই করেন। ডিজাইনভেদে ম্যাটেরিয়ালে পরিবর্তন এলেও মূলত তারা কটন, সিল্ক আর ক্রেপ জর্জেট ব্যবহার করে থাকেন বেশির ভাগ পোশাকে। ক্যাশ অন ডেলিভারি সিস্টেম ছাড়াও সাত দিনের মধ্যে প্রডাক্টসহ টাকা ফেরত দেওয়ার পূর্ণ নিশ্চয়তা দিয়ে থাকে এই ই-শপ। কটন গ্রেসের ফেসবুক পেজ লিঙ্ক: https://www.facebook.com/cottongraces/
ইতিমধ্যে ই-শপটির একটি আউটলেট প্রতিষ্ঠার পরিকল্পনা এবং তা বাস্তবায়নের চেষ্টা চলছে। শুধু ব্যবসার উদ্দেশ্যে নয়, কাস্টমারদের সেবা নিশ্চিত করা এবং বাচ্চাদের ফ্যাশন ব্র্যান্ডের একটা ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম হিসেবে ‘কটন গ্রেস’কে জনপ্রিয় করে তুলতে চান তারা। ভিন্নধর্মী ও আধুনিক ডিজাইনের জামাকাপড়ের সমাহার নিয়ে হাজির হওয়া ছাড়াও ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের অংশ হিসেবে তারা গ্রাহকদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যোগাযোগের ব্যবস্থাও প্রতিষ্ঠা করেছেন। ফাইয়াজের মতে, ‘কেবল একটি পোশাক কোম্পানি হিসেবে নয়, সন্তানদের জন্য কাপড় কেনাকাটার বিশ্বস্ত বন্ধু হিসেবে কটন গ্রেসকে ব্যাপকভাবে পরিচিত করে তুলতে চাই আমরা।’

 শিরিন অন্যা
ছবি: কটন গ্রেস

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Back To Top