skip to Main Content

ই-শপ I পটের বিবি

‘সবার জন্য পাটভাঙা শাড়ি’ এই বার্তা নিয়ে যাত্রা শুরু করে ‘পটের বিবি’। দেশীয় শাড়িকে নানা ধরনের থিমে ফুটিয়ে তোলার জন্য হাউজটির এ প্রয়াস সূচিত হয় ২০১৫ সাল থেকে। পটের বিবির কর্ণধার ফোয়ারা ফেরদৌসের ব্যবসায়িক অভিজ্ঞতা আগে থেকেই ছিল। কিন্তু যখন চাকরি ছেড়ে পুরোদস্তুর ব্যবসায় নামার সিদ্ধান্ত নিলেন, তখনই শুরু হলো পটের বিবির পথচলা। ফোয়ারা বলেন, ‘পটের বিবি শুরু করার পেছনে মূলত উৎসাহের জোগান দেয় দেশীয় পণ্যের প্রতি মানুষের অনাগ্রহ। আর দেশি জিনিস নিয়ে আমার আশপাশের বন্ধুদের কাজ।’
পটের বিবিতে দেশি জিনিসের প্রাধান্য বরাবরই বেশি। শাড়ির প্রতি ভালো লাগা থেকে এই পেজের যাত্রা শুরু হলেও পরবর্তীকালে শুধু হ্যান্ডলুম শাড়ি নিয়ে কাজ করেন ফোয়ারা। বর্তমানে শাড়ির পাশাপাশি কামিজ, ব্লাউজ কিংবা ছেলেদের পাঞ্জাবি নিয়ে কাজ করার প্রয়াস চলছে প্রতিনিয়ত। সাধারণত প্রডাক্টগুলো তৈরি হয় ব্লক ও স্ক্রিন প্রিন্টের সাহায্যে। এগুলোর পাশাপাশি এখন হাতে আঁকা এবং ভিন্ন ভিন্ন মোটিফের কাজ করছেন তারা। এসব ছাড়াও শাড়ির নকশায় স্থান পাচ্ছে বিখ্যাত সব পেইন্টিং, ঐতিহাসিক এবং প্রত্নতাত্ত্বিক স্থান, সিনেমার পোস্টার, বইয়ের প্রচ্ছদ ইত্যাদি। সম্প্রতি শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিনের পেইন্টিং আর পুরান ঢাকার বিউটি বোর্ডিংয়ের স্কেচ নিয়ে করা পটের বিবির শাড়ি বেশ জনপ্রিয় হয়। যামিনী রায়ের পেইন্টিং নিয়েও কাজ করেছে প্রতিষ্ঠানটি। পাশাপাশি শাড়ির ক্যানভাসে জায়গা করে দিচ্ছে শার্লক কিংবা ফেলুদার মতো জনপ্রিয় সিরিজকে।
পটের বিবির শাড়ির ম্যাটেরিয়ালের ৮০ ভাগই সুতি। তাই দামও মোটামুটি আয়ত্তের মধ্যে। আর দামি শাড়িগুলোর ম্যাটেরিয়াল হিসেবে প্রাধান্য পায় সিল্ক কিংবা মসলিন। সব স্তরের মানুষের কথা মাথায় রেখেই হাউজটির পণ্যসম্ভারের মূল্যতালিকা ঠিক করা হয়। ৫০০ থেকে শুরু করে ১০ হাজার টাকার মধ্যে পাওয়া যাবে এসব শাড়ি।
পটের বিবির ফেসবুক পেজের লিঙ্ক: www.facebook.com/poterbibi/?epa=SEARCH_BOX।  আপাতত এর মাধ্যমেই চলে সব কেনাবেচার কাজ। ওয়েবসাইট নিয়ে কাজ চলছে, খুব শিগগির পটের বিবির শাড়ি আর অন্যান্য প্রডাক্ট পাওয়া যাবে নিজস্ব ওয়েবসাইটে। গতানুগতিক শোরুমের কনসেপ্টের ধারেকাছে হয়তো পটের বিবিকে পাওয়া যাবে না। কিন্তু নিজেদের একটা স্টুডিও নেওয়ার পরিকল্পনা ব্যক্ত করেন ফোয়ারা, যেখানে হয়তো ক্লায়েন্টদের জন্য একটা ডিসপ্লের ব্যবস্থা রাখা হতে পারে।
কাছাকাছি সময়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ থেকে সঠিকভাবে অনুমতি নিয়ে মাসুদ রানার প্রচ্ছদ আর জয়নুল আবেদিনের পেইন্টিং নিয়ে কাজ করেছেন তারা। ফোয়ারা বলেন, ‘তারা আমাদের এই কাজ করার অনুমতি দিয়েছেন, যা আমাদের কাছে অনেক বড় কৃতিত্বের বিষয়। আমরা তাদের বিশ্বাসের ওই পর্যায়ে যেতে পেরেছি বলেই হয়তো আমরা এই অনুমতি পেয়েছি, এটা আমাদের অনেক বড় অর্জন।’ অনলাইন শপগুলো নিয়ে অনুষ্ঠিত বিভিন্ন মেলা কিংবা নানা ধরনের মিটআপে থাকে পটের বিবির স্টল। এ ছাড়া প্রতিবছর ‘পার্বণ’ করে থাকে, অর্থাৎ তাদের শাড়িগুলোর এক্সিবিশন। এই পর্যন্ত করা সাতটি প্রদর্শনীতে বিপুল সাড়া পেয়েছে পটের বিবি। এই সফলতার ভাগীদার তিনি মনে করেন তার টিম আর যারা তাকে প্রতিনিয়ত সাহায্য করেছেন। এই পেজের ৭০ হাজারের কাছাকাছি ফলোয়ারও পটের বিবির পাশে আছেন।

 শিরীন অন্যা
মডেল: শিশির
ছবি: মেজবাহ ও ফ্লোরা ফেরদৌস

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Back To Top