skip to Main Content

এই শহর এই সময় I নিসর্গচিত্র, গান আর নাটক

বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশনভুক্ত চার শতাধিক নাট্য সংগঠনের অংশগ্রহণে ৬৪ জেলায় একযোগে অনুষ্ঠিত হয় জাতীয় নাট্যোৎসব ২০২০। ১২ থেকে ২৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলে এই আয়োজন। উৎসবের প্রতিবাদ্য ছিল ‘জঙ্গিবাদ, অবক্ষয়, দুর্নীতি, মানবে না এ সংস্কৃতি’। বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশনের আয়োজনে সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পৃষ্ঠপোষকতায় এবং বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির সহযোগিতায় নাট্যোৎসবটি উদযাপন করা হয়। উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ১২ ফেব্রুয়ারি বুধবার সকালে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ঢাকা মহানগর, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, রংপুর ও সিলেটে সর্ববৃহৎ এই উৎসবের উদ্বোধন ঘোষণা করেন তিনি। ফেডারেশনের চেয়ারম্যান ও শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী বলেন,‘ সারা দেশে চার শতাধিক নাট্যদলের ত্রিশ হাজারের বেশি নাট্যকর্মী এই উৎসবের সঙ্গে সম্পৃক্ত। এতে ৩০২টি নাটক প্রদর্শিত হয়। বিভিন্ন স্থানে পথনাটকও পরিবেশিত হয়।”
বসন্ত আর বিশ্ব ভালোবাসা দিবস উপলক্ষে ১৪ ফেব্রুয়ারি আয়োজন করা হয় শুধুই ভালোবাসার গান। যেখানে পরিবেশন করা হয় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বসন্ত আর প্রেমের গান। সাদি মহম্মদের নেতৃত্বে টানা দেড় ঘণ্টা চলে অনুষ্ঠান। সঙ্গে ছিলেন শিল্পী আমিনা আহমেদসহ সংগীত সংগঠন রবিরাগ-এর ১৯ সদস্যের একটি দল। কেন্দ্রীয় গণগ্রন্থাগারের শওকত ওসমান স্মৃতি মিলনায়তনে অনুষ্ঠান শুরু হয় যৌথ কণ্ঠসঙ্গীতের মধ্য দিয়ে। বসন্ত আর ভালোবাসার গানের ফাঁকে দর্শক অনুরোধে তালিকার বাইরে গিয়ে সাদি মহম্মদ গেয়ে শোনান ‘সখি ভালোবাসা কারে কয়’ গানটিও। তিনি বললেন, ‘পৃষ্ঠপোষকতা ছাড়া গাইব কী করে? আমি তো গাইতেই চাই। কিন্তু পৃষ্ঠপোষকতা ছাড়া তো এমন অনুষ্ঠান আয়োজন করা সম্ভব নয়। আমাদের এই অনুষ্ঠানের পাশে যদি মীনাবাজার আর মীনা ট্রাস্ট এগিয়ে না আসত, তাহলে তো এত সুন্দর একটি আয়োজন হতো না। আমরা গান শোনাতে পারতাম না।’
অপর দিকে আলিয়ঁস ফ্রঁসেজ দো ঢাকার লা গ্যালারি আয়োজন করে শিল্পী পারভেজ হাসান রিগানের ‘রেড ডর্ফ’ শীর্ষক একক চিত্র প্রদর্শনী। শিল্পীর জন্য, চিত্রকর্ম হলো এই মহাবিশ্বকে অনুধাবনের চাবিকাঠি। তার বিশ্বাস, মানবজাতি ও এই বিশ্বব্রক্ষ্মান্ডের অন্য সবকিছুর মাঝে রয়েছে এক শক্তিশালী সম্পর্ক, এবং এটি তার নতুন দিনের নতুন কাজের প্রেরণা। মানব প্রতিকৃতি ও শরীরী অবয়ব রিগানের ক্যানভাসে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব রেখে যায়। কারণ, মানবদেহ, তার অঙ্গভঙ্গি, তাতে আলো-ছায়ার খেলা তার ভীষণ প্রিয়। যখন তিনি মানুষের অনুভূতি ও মনন নিয়ে চিন্তা করেন, তার চিত্রকর্মে সেটার ছাপ পড়ে। এ ছাড়া তিনি উন্মুক্ত প্রকৃতিতে আঁকতে পছন্দ করেন, আর তাই তার চিত্রকর্মের গুরুত্বপূর্ণ অংশজুড়ে আছে নিসর্গ। একটি চিত্রকর্ম সম্পন্ন করতে রিগান বিবিধ পর্যায়ে কয়েকটি প্রক্রিয়া অনুসরণ করে থাকেন। যার শুরু হয় একটি সাধারণ চিন্তাকে নিজের স্কেচবুকে ধারণ করার মধ্য দিয়ে। তারপর চলে মডেলের সঙ্গে তার আলোচনা ও চিত্রগ্রহণ, চারকোলে আঁকা এবং সবশেষে মূল চিত্রকর্ম। কখনো কখনো তিনি সফটওয়্যার ব্যবহার করেন, তার গঠনকাঠামো বা কম্পোজিশনকে আরও সুপরিস্ফুটিত করে তোলার জন্য।

ছবি: সংগ্রহ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Back To Top