skip to Main Content

একঝলক

আড়ং অ্যাপ
একসঙ্গে হয়ে গেল আড়ংয়ের অ্যাপ উদ্বোধন এবং বৈশাখ কালেকশন ১৪২৬-এর ফ্যাশন শো। নগরীর যমুনা ফিউচার পার্কের সেন্টার কোর্টে ১৫ মার্চ শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় মাই আড়ং রিওয়ার্ডস কার্ডের সদস্য এবং গণমাধ্যমকর্মীদের উপস্থিতিতে অ্যাপের উদ্বোধন হয়।
অ্যাপের মাধ্যমে ক্রেতারা সহজেই আড়ংয়ের নিত্যনতুন কালেকশনের আপডেট পাওয়ার পাশাপাশি যেকোনো স্থান থেকে কেনাকাটা, হোম ডেলিভারিসহ যাবতীয় সুবিধা পাবেন। অ্যাপের মাধ্যমে গ্রাহক তার প্রথম কেনাকাটায় পাবেন ১০ শতাংশ ছাড়। অ্যাপটি অ্যানড্রয়েড ব্যবহারকারীরা পাবেন গুগল প্লেস্টোরে এবং আইওএস ব্যবহারকারীরা পাবেন অ্যাপ স্টোরে।

কে ক্র্যাফট-এর বৈশাখী আয়োজন
প্রাণে নব আনন্দের বার্তা নিয়ে আসছে পয়লা বৈশাখ। দেশীয় ফ্যাশন হাউজ কে ক্র্যাফট বর্ষবরণে দেশীয় পোশাকের পসরা সাজিয়েছে, লোকজ নানা শিল্পের অনুপ্রেরণায় সমকালীনতার মিশেলে। নকশিকাঁথা, গুজরাটি, ইক্কাত, কাশ্মীরি স্টিচ— এমন নানা মোটিফ ও কারুকাজ রীতিকে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে বৈশাখী পোশাকে। লাল-সাদার চিরায়ত সমন্বয়, সঙ্গে নানা রঙের ছোঁয়ায় পোশাকগুলো পেয়েছে বর্ণিল রূপ।
সাদা, লাল, ধূসর কমলা, ফিরোজা, ম্যাজেন্টা, স্টোন কালার, নীলের নানা শেড, পার্পল, ক্রিমসন রেড, অফ হোয়াইট, ক্রিমসহ নানা রঙের পোশাকে হাতের কাজ, এমব্রয়ডারি, স্ক্রিন ও ব্লক প্রিন্ট, কারচুপি এবং টাই-ডাইয়ের মাধ্যমে অলংকরণ হয়েছে।

উত্তরায় অরণ্য ক্র্যাফট
রাজধানীর উত্তরায় তৃতীয় আউটলেট শুরু করেছে দেশীয় ফ্যাশন হাউজ অরণ্য ক্র্যাফট। উত্তরার ৯ নম্বর সেক্টরের সোনারগাঁও জনপদ রোডে ১৬ মার্চ আউটলেটটি উদ্বোধন করেন অভিনেত্রী জয়া আহসান। এ সময় বেঙ্গল ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান আবুল খায়ের, অরণ্য ক্র্যাফটের চেয়ারম্যান লুভা নাহিদ চৌধুরী, ব্যবস্থাপনা পরিচালক নওশীন খায়েরসহ দেশীয় ফ্যাশন ও বিনোদন জগতের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।
১৯৯০ সালে রুবি গজনবীর হাত ধরে যাত্রা শুরু করে অরণ্য ক্রাফট। ২০১৮ সালে বেঙ্গল ফাউন্ডেশনের সঙ্গে একীভূত হয় প্রতিষ্ঠানটি। অরণ্য ক্র্যাফটের বিভিন্ন পণ্যের একটি হলো নকশিকাঁথা। ফ্যাশন ও লাইফস্টাইল ব্র্যান্ডটির সব পণ্যে শিল্প খাতের কেমিক্যাল রঙের বদলে পরিবেশবান্ধব প্রাকৃতিক রঙ ব্যবহার করা হয়।

বাংলার মেলার বৈশাখী কালেকশন
বর্ষবরণ সামনে রেখে ফ্যাশন হাউজ বাংলার মেলা এনেছে নজরকাড়া বৈশাখী কালেকশন। ছোট-বড় সব বয়সী নারী-পুরুষের পরিধেয় এসব পোশাকের মূল উপজীব্য পয়লা বৈশাখের ঐতিহ্যমন্ডিত মঙ্গল শোভাযাত্রা। অতীত ও বর্তমান ধারার মিশেলে আনকোরা এসব নকশায় ব্যবহার করা হয়েছে ডাই-ইফেক্ট, এমবেলিশমেন্ট, এমব্রয়ডারি, ওপেন ওয়ার্ক ও র‌্যাফলের মিশ্রণ। সালোয়ার-কামিজ, কুর্তি, পাঞ্জাবি ও ফতুয়ায় আভিজাত্য ফুটিয়ে তুলতে ভ্যালু এডিশনে রয়েছে কারচুপি, টাই ডাই, বাটিক, ব্লক, চুনরি এবং এমব্রয়ডারি।

রঙ বাংলাদেশ
সময়কে রাঙানোর ব্রত নিয়ে রঙ বাংলাদেশের পথচলা। তাই বৈশাখ নিয়ে ফ্যাশন ব্র্যান্ডটির রয়েছে বিস্তৃত আয়োজন। এবারের কালেকশনের প্রেরণা হিসেবে গ্রহণ করা হয়েছে চাকমা জাতিগোষ্ঠীর বয়ন অভিধান, কাইয়ুম চৌধুরীর রেখাচিত্র ও নকশিকাঁথা। রঙ বাংলাদেশ বরাবরই বাংলা ও বাঙালির কথা বলে। বাংলাদেশের পোশাক সংস্কৃতিকে বিবেচনায় রেখেই সাজানো হয় রঙ বাংলাদেশের সংগ্রহ। এবারেও তার ব্যতিক্রম ঘটেনি। বরং এই মৌসুমের প্রকৃতি পোশাকের উপকরণ নির্বাচনে বিশেষ গুরুত্ব পেয়েছে। রং হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে লাল, মেরুন, অফ হোয়াইট, সাদা, নীল, কমলা, ম্যাজেন্টা, গোল্ডেন হলুদ, গেরুয়া, টিয়া, সবুজ, ফিরোজা, অলিভ, বিস্কুট, মিষ্টি কমলা, কফি, পিংক, পেস্ট। ভ্যালু অ্যাডেড মিডিয়ায় থাকছে স্ক্রিন প্রিন্ট, ব্লক প্রিন্ট, হ্যান্ডওয়ার্ক, কারচুপি, মেশিন এমব্রয়ডারি, টাই অ্যান্ড ডাই।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Back To Top