skip to Main Content
কালো ঠোঁট উজ্জ্বল করুন প্রাকৃতিক উপাদানে

ঠোঁটের প্রকৃত রঙ কী? লাল নাকি গোলাপি। লাল গোলাপি যা-ই হোক না কেন, কালো ঠোঁট যেন চোখের বিষ। ঠোঁট তো আর কেউ ইচ্ছা করে কালো করে না। চা, কফি, ধূমপান, রোদের মধ্যে টো টো করা—এসব কারণে আপনার সুন্দর ঠোঁটের রঙ হয়ে যায় কালচে। বাজারে অবশ্য কালো ঠোঁট ভালো করার ওষুধপথ্য আছে। পাওয়া যায় স্ক্রাবও। কিন্তু বাজার যেটা নেই সেটা হচ্ছে ভরসা। সুতরাং, আপনা হাত জগন্নাথ। নিজের হাতেই তৈরি করে ফেলুন ঠোঁটের কালো দাগ দূর করার দাওয়াই। কীভাবে? বলছি।
গোলাপজল: ঠোঁটের কালো দাগের জম গোলাপজল। রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে তুলার বলে গোলাপজল মিশিয়ে ঠোঁটে মেখে ঘুমিয়ে পড়ুন। এটি করলে ঠোঁটের রক্ত চলাচল বাড়বে, ঠোঁটের দাগও দূর হবে।
শসার জুস: শশার রস ঠোঁটের বন্ধু। এটিও তুলার বলের সঙ্গে মিশিয়ে মাখতে হয়। তবে সারা রাত মেখে না রাখলেও চলবে। শসার জুস ঠোঁটে মেখে ২০ থেকে ৩০ মিনিট পর ভালো করে ধুয়ে ফেলুন। নিয়মিত এটি ব্যবহার করলে ঠোঁটের দাগ দূর হওয়ার পাশাপাশি ঠোঁটে সতেজ ভাবও আসবে।
বিট: এক টুকরা বিট নিয়ে ঠোঁটের ওপর ভালো করে ঘষুন। মিনিট ১৫ পর ধুয়ে ফেলুন। বিটের রস ঠোঁটের পোড়া ভাব দূর করার পাশাপাশি কালচে দাগও উঠিয়ে ফেলে।
বেকিং সোডা: শুধু বেক করতে নয়, রূপচর্চায়ও প্রয়োজন পড়ে বেকিং সোডার। এর সঙ্গে পানি মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে ঠোঁটে মেখে দু-তিন মিনিট পর ধুয়ে ফেললে ভালো ফল পাওয়া যায়।
অ্যাপল সিডার ভিনেগার: পানিতে সমপরিমাণ অ্যাপল সিডার ভিনেগার মিশিয়ে তুলা দিয়ে ঠোঁটে লাগান। কিছুক্ষণ পর ধুয়ে ফেলুন। নিয়মিত এটি ব্যবহার করলে ঠোঁটের কালো দাগ তো দূর হবেই, পাশাপাশি বাড়বে ঠোঁটের উজ্জ্বলতাও।
ঘৃতকুমারী: শুধু কি শরবতে? রূপচর্চায় ঘৃতকুমারীর ব্যবহার হয়ে আসছে অনেক আগে থেকেই। ঘৃতকুমারীর রস ঠোঁটে লাগিয়ে রাখুন। তারপর হালকা গরম পানি দিয়ে ঠোঁট ধুয়ে ফেলুন। কালো ঠোঁট আলো ফিরে পাবে।
লেবু-মধু: যাদের অনেকক্ষণ রোদের মধ্যে কাজ করতে হয়, তাদের ঠোঁট উজ্জ্বল করতে সবচেয়ে বেশি উপযোগী হচ্ছে লেবু ও মধু। এ মিশ্রণটি ঠোঁটে লাগিয়ে রাখুন কিছুক্ষণ। তারপর ভেজা নরম কাপড় দিয়ে মুছে ফেলুন। আশানুরূপ ফল পাবেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Back To Top