skip to Main Content

ট্রাভেলগ I আ টেল অব টু সিটিজ

জাকার্তা-পালেংবাঙ এশিয়ান গেমসের স্মৃতি এখনো টাটকা। গেমসে উপস্থিত থেকে প্রয়োজনীয় দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি দেশ ও মানুষকে দেখা আর তাদের সংস্কৃতি, ইতিহাস ও ঐতিহ্য কাছ থেকে অবলোকনের অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছেন শেখ সাইফুর রহমান

 

মোনাসের শীর্ষ থেকে জাকার্তার আকাশরেখা

ভিলেজের বাইরের গেট থেকে ভেতরের গেট- শেষ পর্যন্ত স্বেচ্ছাসেবকদের অভিবাদনের দৃশ্য মুগ্ধ করার মতো। প্রতিবার প্রত্যেককে দুহাত জোড় করে নমস্কারের ভঙ্গিতেই তারা গুড মর্নিং, গুড ইভনিং বলেছে। আর আসসালামু আলাইকুম বললে তো মহা খুশি। জবাবে জোরে বলেছে ওয়ালাইকুম আসসালাম। তারা সালাম কিংবা ধন্যবাদও দেয় একই ভঙ্গিতে। ধন্যবাদ বা ওদের ভাষায় তেরিমা কাসিহ বললে বেজায় খুশি হয়। ওদের কখনো জিজ্ঞেস করতে দেখিনি তুমি কোন ধর্মানুসারী। আমরাই বরং জেনে নেওয়ার চেষ্টা করি। এটা ওদের অবাক করেছে। আমাদের স্বেচ্ছাসেবকদের কেউ কেউ সেটা আমার সঙ্গে কথায় কথায় বলেওছে। তবে আমার হৃদয় ছুঁয়েছে একটা বিষয়, ওদেশে ধর্মের সঙ্গে সংস্কৃতি, ঐতিহ্য, পুরাণ কিংবা ব্যক্তির নাম সংঘাত সৃষ্টি করে না। বরং ধর্মের সমান্তরালে প্রত্যেক দ্বীপবাসীর নিজস্ব ঐতিহ্যবাহী আচার-অনুষ্ঠান সমান গুরুত্ব ও মর্যাদায় উদ্যাপিত হয়ে থাকে। তাই তো ওদের নাম অনায়াসেই হতে পারে বিদ্যাসারি, সরস্বতী, পুত্রী, আত্মজায়া ইত্যাদি। আজও রামায়ণ-মহাভারত ওদের সংস্কৃতির সৌন্দর্য।

ইন্দোনেশিয়ার জাতীয় স্মৃতিসৌধ মোনাস

ওদের জাতীয় বিমান সংস্থার নাম গরুড়। পোশাক নিয়ে ওদের ছুঁতমার্গ নেই। বরং ধর্ম ওদের যাপনের অংশ। এয়ারপোর্ট থেকে শপিং মল, স্টেডিয়াম মায় পথপাশের রেস্তোরাঁ- সর্বত্রই রয়েছে মুসাল্লা। অর্থাৎ নামাজের জায়গা। নারী-পুরুষনির্বিশেষে যিনি যখন সময় পাচ্ছেন, সেখানে নামাজ পড়ে নিচ্ছেন। এ জন্য স্থান নির্ধারিত নেই নারী-পুরুষের। এটাই তো ইসলামের সৌন্দর্য। যে সৌন্দর্যে বঞ্চিত আমরা। প্রতিনিয়ত বঞ্চিত হতে থাকছি।

জাকার্তা হিস্ট্রি মিউজিয়ামের অন্দর

ওদের মূল ভাষা বাহাসা। এই বাহাসা আবার মালয়েশিয়ারও ভাষা। তবে স্পষ্ট পার্থক্য বিদ্যমান; যেটা আমাদের পক্ষে অনুধাবন সম্ভব নয়। উভয় দেশের নিজস্ব বর্ণমালার অস্তিত্ব নেই। ইংরেজিতেই লেখে। বাহাসায় নানা ভাষার শব্দের উপস্থিতি লক্ষণীয়। সংস্কৃত যেমন আছে তেমনি আছে পর্তুগিজ, ওলন্দাজ, ইংরেজি, ফারসি। আমরা যেমন গির্জা বলি। ওরা বলে গেরিজা। উচ্চারণগত পার্থক্য। উৎস অভিন্ন- পর্তুগিজ।

প্রদর্শিত গয়না

উপনিবেশ থাকার কারণে ওলন্দাজ প্রভাব স্পষ্ট। পুরোনো জাকার্তায় সেই আমলের বাড়িগুলোকে ১৯৭০ সাল থেকে সংরক্ষণ করা হচ্ছে কালচারাল হেরিটেজ প্রপার্টি হিসেবে। বেশির ভাগ বাড়িই বর্তমানে জাদুঘর। একদিন সময় বের করে আমি আর আমার কন্যা হারমিন গেমস ভিলেজ থেকে বেরিয়ে দ্বিতলযানে চড়ে রওনা দিই পুরোনো জাকার্তায়। ওরা বলে কোটা টুয়া। ওল্ড টাউন। ডাচ ভাষায় উড বাটাভিয়া; বা পুরোনো বাটাভিয়া। উত্তর আর পশ্চিম জাকার্তার মাঝে ১ দশমিক ৩ কিলোমিটার জায়গাজুড়ে এই পুরোনো শহর। সপ্তদশ শতকের সব স্থাপনা। অদূরবর্তী জাকার্তা বন্দরই একসময় ছিল ডাচ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির এশীয় সদর দপ্তর। এখান দিয়েই চুটিয়ে হয়েছে মসলাবাণিজ্য। পুরোনো জাকার্তার ইমারতের প্রতিটি ইট-কাঠ-পাথরে সেঁধিয়ে আছে ইতিহাসের নানা উপাদান। আজও দেয়ালে কান পাতলে শোনা যাবে লাস্য কিংবা আর্তনাদ।
আমরা যে বাসে চড়েছি সেটা ট্যুরিস্ট বাস। গাইডও থাকে। যে রাস্তা দিয়ে বাস গেছে, তিনি আমাদের বর্ণনা দিয়েছেন।

অবিকল রাখা কারাকুঠুরি

এশিয়ান গেমস কভার করতে এসেছি বলে কোনো ভাড়া লাগেনি। বাস থেকে নেমে শুরু হয় আমাদের ইতিহাস পরিক্রমা। প্রথমেই ব্যাংক ইন্দোনেশিয়া মিউজিয়াম। ২০০৯ সালের ২১ জুলাই, এই ব্যাংক জাদুঘরের শুরু। বাড়িটি একসময় ছিল ডাচ ইস্ট ইন্ডিজের কেন্দ্রীয় ব্যাংক, নেদারল্যান্ডস ইন্ডিজ গুলডেন (ডি জাভাসশে ব্যাংক)-এর সদর দপ্তর। এর পাশেই রয়েছে ব্যাংক মান্দিরি মিউজিয়াম। জাদুঘর আমার ভীষণ প্রিয়। অতীত সেখানে জীবন্ত। আমি অনায়াসে ফিরে যেতে পারি ফেলে আসা দিনে। পৃথিবীর যে দেশেই যাই, জাদুঘর দেখার চেষ্টা করি। অনেক ধরনের মিউজিয়াম দেখার সুযোগ হয়েছে। কিন্তু ব্যাংক মিউজিয়াম এই প্রথম। আমরা এশিয়ান গেমস কভার করতে এসেছি; তাই অতিথি। আমাদের দিতে হলো না কোনো দর্শনী। সাধারণত ৫০০০ রুপিয়া জনপ্রতি লাগে। উপরন্তু মিলল বিশেষ আতিথ্য। পাওয়া গেল উপহার। রয়েছে নানা স্যুভেনির। ভেতরে অতীতের ব্যাংক ব্যবস্থা, বাণিজ্য ব্যবস্থা থেকে মসলার বস্তা, মুদ্রা ইত্যাদি অনেক কিছুই আছে। এসব উপকরণে স্পষ্ট সেই সময়ের ব্যাংক ব্যবস্থাপনা। সেখান থেকে বেরিয়ে ঢুকে পড়ি পুতুল মিউজিয়ামে। ওয়েওয়াঙ মিউজিয়াম। এটা বিশেষত জাভার পাপেট মিউজিয়াম। বিভিন্ন ধরনের পুতুলের মাধ্যমে রামায়ণ-মহাভারতের পৌরাণিক কাহিনি তুলে ধরা হয়েছে। তবে আমার কাছে ফ্যাসিনেটিং মনে হয়েছে বাড়িটা। মূলত ছিল গির্জা। নির্মিত ১৬৪০ সালে। তখন নাম দেওয়া হয় ওল্ড ডাচ চার্চ। ১৭৩২ সালে পুনঃসংস্কার করে নাম হয় নিউ ডাচ চার্চ। ১৮০৮ সালের ভূমিকম্পে ধ্বংসপ্রাপ্ত হয় চার্চ। ১৯১২ নতুন করে রেনেসাঁ স্টাইলে তৈরি বাড়িটি হয়ে যায় ওয়্যারহাউজ। ১৯৩৮ সালে হয় জাদুঘর।

ওয়েওয়াঙ মিউজিয়ামের পাপেট

ততক্ষণে দুপুর গড়িয়েছে। সেই ভরসকাল থেকেই সঙেরা রাস্তায় বসেছে পেটের দায়ে। নানান সাজ তাদের। মনে হবে আপনি ইউরোপের কোনো রাস্তায় হাঁটছেন। হারমিন আমাকে দেখায় এক প্রিন্সেসকে। না, আসল নয় সঙ। নিজের পোশাক খুলে ফুটপাতে রেখে পাশের পেরাম্বুলেটরে রাখা বাচ্চাকে দুধ খাওয়াচ্ছে। সাজের আস্তর দেওয়া মুখজুড়ে তার অদ্ভুত মাময় সুখানুভূতি; পেটের দায় আর দায়িত্ব একাকার। আনন্দ আর বেদনায় মেশানো অনুভূতি আমাদেরও; ওর জীবন নিয়ে কথা বলতে বলতে এগোই। কিন্তু ছবি তোলার ইচ্ছে হয়নি। ইচ্ছে হয়নি নকল প্রিন্সেসের দ্বৈত জীবনকে ধরে রাখতে।

আমাদের পেটে তখন ছুঁচোর কেত্তন। তাড়াতাড়ি ঢুকে পড়ি পাশেরই একটা রেস্তোরাঁয়। ডিজাকার্তা। নিচতলার একটা টেবিলে মুখোমুখি বসি। এটাও সেই পুরোনো আমলের স্থাপনা। দোতলা। মনে হবে আমস্টারডামের কোনো ক্যাফেতে বসেছি। আমাদের পাশেই কফি কাউন্টার। একটি ছেলে গভীর নিবেশে কফি বানাচ্ছে। আমরা খাবারের অর্ডার করি। দুজনে দু রকম পদ নিই। তারপর ভাগ করি। আমার কন্যা তো আবার পাখির মতো খায়। ওর চিকেন দেওয়া নুডল সুপ আর আমার পাতায় মোড়ানো মুরগির মাংসের পুর দেওয়া ভাত। সঙ্গে ফ্রায়েড টোফু। নাম আরেম আরেম। সঙ্গে কোল্ড টি।

ব্যাঙ্ক মিউজিয়ামের প্রদর্শনী

সেদিন আমরা বাবা-মেয়ে টো টো করে ঘুরেছি। ওখান থেকে সোজা পাসার বারু। অর্থাৎ ওদের নিউমার্কেট। ততক্ষণে বিকাল গড়িয়ে সন্ধ্যা। আমার কিছু কেনাকাটা ছিল। সেসব সেরে রাতে চলে যাই দাওয়াতে। বাংলাদেশ থেকে যাওয়া সাংবাদিক বন্ধুরা প্রায় সবাই ছিলেন একই জায়গায়। এলাকার নাম সেতিয়াবুডি। এটা দক্ষিণ জাকার্তায়। হারমিনও থাকে এই এলাকার অন্যদিকে। পাশেই ছোট্ট পাডাং স্টাইলের রেস্তোরাঁ। সেখানে ওরা দারুণ জমিয়ে ফেলেছে, তা বেশ বোঝা গেল। তাই তো ডিনার হলো আলু ভর্তাসহ অন্যান্য পদে। বাংলাদেশি-ইন্দোনেশিয়ান কুজিন গেল মিলেমিশে। এদিন অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের সব কর্মকর্তা আর আমাদের এনওসি অ্যাসিস্ট্যান্টরাও ছিলেন। ফলে সেই রাতটা মুখর হয়ে ওঠে। ছোট্ট রেস্তোরাঁয় ছিল সরগরম। ছিল না তিল ঠাঁই। সেখানে আর কেউ নয়, সব আমরাই। রেস্তোরাঁর মালিকদের আতিথ্যও উল্লেখযোগ্য। নৈশাহার সেরে আমরা ফিরে আসি ভিলেজে। হারমিন নেমে যায় পথে। আমাদের ফার্স্ট লেডি নীলা ভাবিকে নামাই জালান গ্যাতত সুব্রতর একটি হোটেলে। এরপর জাহিদ-উপল আর জুবায়েরকে তাদের ডেরায়।

সাংবাদিক বন্ধুদের ডিনারে সবাই

এর আগে অবশ্য আমরা কোটা টুয়া এসেছিলাম এক রাতে। সেদিন আমরা দুজন নয়, ছিলেন আরও ১১ জন সাংবাদিক বন্ধু। সকালে একটা মাইক্রোবাস নিয়ে ভিলেজ থেকে চলে আসি গেলোরার মেইন প্রেস সেন্টারে। সেখান থেকে সবাইকে নিয়ে সোজা ন্যাশনাল মনুমেন্টে। ওরা বলে মোনাস। ১৩২ মিটার উঁচু টাওয়ার। মধ্য জাকার্তার সেন্ট্রাল মারদেকা স্কয়ারে। এটা তাদের স্মৃতিসৌধ। স্বাধীনতার প্রতীক। ১৯৬১ সালে নির্মাণ শুরু প্রেসিডেন্ট সুকর্ণের উদ্যোগে। শেষ হয় ১৯৭৫ সালে। মোনাসের মাথায় শিখা, সোনায় মোড়ানো। মোনাসের নির্মাণে রয়েছে লিঙ্গ আর যোনির দর্শন।
ইনডিপেনডেন্স হলে আছে প্রোক্লেমেশন টেক্সটের মূল কপি। স্বয়ংক্রিয় দরজা খুলতেই দৃষ্টিগোচর হয়। এই দরজার চারপাশে গোল্ডপ্লেটেড ব্রোঞ্জের বিজয়কুসুম ফুলের নকশা। শ্রুতিগোচর হয় সুকর্ণর স্বাধীনতার ঘোষণাও। এক পাশে আছে কোট অব আর্মস। পুরো স্মৃতিস্তম্ভের নির্মাণে আছে তাদের স্বাধীনতা দিবসের সংখ্যা: ৪৫, ৮ আর ১৭ (১৯৪৫ সালের ১৭ আগস্ট ইন্দোনেশিয়া স্বাধীন হয়)। স্বাধীনতার ৫০ বছরে ১৯৯৫ সালে ওই শিখাকে পুনরায় সোনার পাতে মোড়ানো হয়। এ জন্য লাগে ৫০ কেজি গোল্ড ফয়েল।
এখানেও আমাদের জামাই-আদর। কোনো দর্শনী লাগেনি। বরং একজন গাইড শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত আমাদের সঙ্গে থেকে সব বোঝালেন দারুণভাবে। এমনকি এলিভেটরের লম্বা লাইন এড়িয়ে ভিআইপি আদরে নিয়ে গেলেন একেবারে ওপরে। সেখান থেকে দৃশ্যমান হয় গোটা জাকার্তা। মোনাস দেখতেই বেশ সময় লেগে যায়। ওখান থেকে আমরা যাই কোটা টুয়া। তারপর সেখান থেকে গিয়েছিলাম মেরিনা আনচলে। ফেরার সময় সবাই মিলে হারমিনের জন্য সারিনাহ মল থেকে উপহার কিনি। আর সেটা তাকে দেওয়া হলে বিস্ময়ে, খুশিতে আর কৃতজ্ঞতায় ওর প্রোজ্জ্বল মুখটা ছিল দেখার মতো। গেমস শেষের আগে সেও সবাইকে উপহার দিয়েছে।
এই সারিনাহ মলটার কথা না বললেই নয়। আমি সবচেয়ে বেশিবার গিয়েছি এখানে। চমৎকার বিপণিবিতান। একেবারে ওপরের ফ্লোরে রয়েছে কারুপণ্যের বিশাল সমারোহ। ১৯৬২ সালে জাকার্তায় এশিয়ান গেমস আয়োজনের অংশ হিসেবে এই মল নির্মিত হয়। প্রেসিডেন্ট সুকর্ণ তাঁর পালক মা সারিনাহর নামে এর নামকরণ করেন।

পাসার বারুর হরেকৃষ্ণ মন্দিরে শেলেন্দুদা

সারিনাহর কথা বলছিলাম। এমন মল বা এর চেয়েও বড় মল কত যে আছে, তা গুনে শেষ করা যাবে না। থামরিন সিটি, তানাহ আবাঙ মধ্যবিত্তের জন্য। আর প্লাজা সেনায়াইয়ান ও সেনায়াইয়ান সিটি উচ্চবিত্তের। বিশ্বের বড় বড় সব ব্র্যান্ড রয়েছে সেখানে। তবে উচ্চ আর মধ্য উভয় কোটির জন্য চমৎকার মল সারিনাহ ছাড়া আর একটি হলো প্লাজা সেমাঙ্গি। আমার পছন্দের একটি। বেশ কয়েকবার গিয়েছি। আর পাশেই আত্মজায়া ক্যাথলিক ইউনিভার্সিটি। এখানেই পড়ে হারমিন। দেখালো একদিন। আমার প্রথম মল এক্সপেরিয়েন্স সেমাঙ্গি। আর প্রিয় শপ অবশ্যই মিনিসো। প্রথম শপিংও সেখানে। একটা ছোট ব্যাগপ্যাক। আমি আর হারমিন কয়েকবার এসেছি। সবশেষ আমরা দুজন ছাড়া ছিলেন শৈলেন্দুদা আর শামস ভাই। সেদিনের অভিজ্ঞতা হরিষে বিষাদময়। সেই বোকামির দায় মলের নয়, আমাদের।
শুভ জন্মাষ্টমী উপলক্ষে সকালে উঠে শৈলেন্দুদা মন্দিরে যান রীমাকে নিয়ে। আমিও জুড়ে যাই সঙ্গে। কারণ, আমারও আবার বিভূতিভূষণের অপুর মতো যতেক কৌতূহল। গেমস ভিলেজ থেকে অনতিদূরে পাসার বারুকে বাঁয়ে রেখে এগিয়ে গেলে সারি সারি মন্দির। গুরুদুয়ারা, শিবমন্দির, হরেকৃষ্ণমন্দির। শৈলেন্দুদা প্রথমে হরেকৃষ্ণমন্দিরে গেলেন। ওদের জন্মাষ্টমী পরের দিন। প্রস্তুতি চলছে। সেখানে পূজার আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করে চলে এলেন পাশের শিবমন্দিরে। পূজা শেষে বেরিয়ে তিনে মিলে ধরি ভিলেজের পথ।
sksaifurrahman@gmail.com
ছবি: লেখক

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Back To Top