skip to Main Content

ফিচার I নজর নেকলাইনে

জানতে হবে মাপজোখ। মানতে হবে সমীকরণ। তবেই না স্টাইলিংয়ের পরিপূর্ণ সুফল মিলবে

যখনই পোশাকের কথা আসে, তখন প্রায়শই মুখের আকারের সঙ্গে পোশাকের মানানসই হওয়ার বিষয়টি উপেক্ষা করা হয়। তবে ডিজাইনারদের মত, নকশা যেমনই হোক, নেকলাইনটা যদি হয় স্পট অন, তাহলে সে পোশাক মানাবেই। মুখাবয়বের সবচেয়ে সুন্দর ফিচারগুলো ফুটিয়ে তোলা যায় সঠিক নেকলাইনের মাধ্যমে। তবে সে ক্ষেত্রে ধরন বুঝে নিতে হবে আগেভাগেই।
মানুষের মুখাবয়ব সাধারণত ৬ ধরনের আকৃতির হয়। ভিন্ন ভিন্ন মুখাকৃতির জন্য রয়েছে নানা ধরনের পোশাকের গলার ধরন। আকৃতির সঙ্গে মিলিয়ে জামার গলার ডিজাইনের গভীরতা এবং গলাটা কতটা চওড়া হবে, তা নির্ভর করে।
ওহ্! ওভাল
তত্ত্বমতে, মুখের আদর্শ আকৃতি এটি। সাধারণত ওভাল বা ডিম্বাকৃতির মুখের চোয়াল কপালের চেয়ে তুলনামূলকভাবে সরু। প্রায় সব ধরনের নেকলাইনই মানিয়ে যায় এ ধরনের মুখাকৃতিতে। তবে এ ক্ষেত্রে স্কুপ নেকলাইন ডিম্বাকার মুখের জন্য বেছে নেওয়া যেতে পারে সবার আগে। এতে চোয়াল আরও বেশি আকর্ষণীয় দেখায়। ফুটে ওঠে ফেমিনিন ভাব। এ ছাড়া নেকলাইন মুখের চেয়ে চওড়া হলে মুখ খানিকটা চওড়া দেখায়। এতে মুখাবয়বের দৈর্ঘ্যরে সঙ্গে সামঞ্জস্য বজায় থাকে।
ওভাল ফেসশেপ হলে গলার ডিজাইনে ক্রু নেক অথবা টার্টল চমৎকার দেখাবে। কারণ, এটি মুখ ছোট দেখানোর ইলিউশন তৈরি করবে।
হার্ট ইট আউট
এ ধরনের মুখের কপাল চোয়ালের চেয়ে চওড়া এবং চিবুক সূক্ষ্ম চিকন আকৃতির হয়। প্লাঞ্জ ভি-নেকলাইন এ ধরনের মুখাকৃতির সঙ্গে সবচেয়ে ভালো মানায়। কারণ, এতে চিবুকের সৌন্দর্য ফুটে ওঠে। নেকলাইন যেন খুব বেশি চওড়া না হয়, চাপা হয়। সুইটহার্ট আর এম্বায়ার নেকলাইনও থাকতে পারে তালিকায়। এগুলো মুখাবয়বে একটু গোলাকার ভাব নিয়ে আসবে। ট্রাই করে দেখা যেতে পারে ক্রু নেক আর টার্টল নেকও।

লাইক আ ডায়মন্ড
হার্ট শেপের মুখের আকৃতির মতোই এটি। কপাল চোয়ালের চেয়ে চওড়া। কিন্তু পার্থক্য বোঝা যায় টেপারড হেয়ারলাইনে যখন চুল পেছনে টেনে বাঁধা হয়।
ভি-নেকলাইনগুলো সরু চোয়াল আরও আকর্ষণীয় করবে। তবে মুখের গোলাকার ভাব যোগ করতে চাইলে স্কুপ বা রাউন্ড নেকলাইন বেছে নেওয়া যাবে অনায়াসে। মুখকে আরও ভারসাম্যপূর্ণ দেখাতে চওড়া নেকলাইনের জামা পরা যেতে পারে। হাইনেকলাইনে মুখাকৃতির সৌন্দর্য ফুটে উঠবে অনেক বেশি।
পার স্কয়ার
বাংলায় বর্গাকার। এ ধরনের মুখাকৃতি মোটামুটি যতটা লম্বা, ততটাই চওড়া। কপাল আর চোয়ালও চওড়ায় সমান সমান। চিবুক অন্যান্য ফেসশেপের তুলনায় কম সূক্ষ্ম এবং চোয়াল বর্গাকার। ভি-নেক, স্কুপ নেক, সুইটহার্ট নেকলাইনগুলো পরলে দারুণ দেখাবে। বর্গাকার বা কৌণিক নেকলাইন এড়িয়ে চলাই ভালো। মুখ আরও ভারসাম্যপূর্ণ দেখাবে প্রশস্ত নেকলাইনে। কাউল, রাউন্ড কাম ভি নেক অথবা সুইটহার্ট নেকলাইন এ ধরনের মুখাবয়বে তীক্ষè বাঁকগুলোকে কোমল দেখাতে সাহায্য করবে।
রক রাউন্ড
এ ধরনের মুখাবয়ব শিশুসুলভ দেখায়। বর্গাকৃতির মুখের সঙ্গে মিল আছে, তবে চোয়াল হতে হবে বৃত্তাকার। এ ধরনের মুখাকৃতির সঙ্গে মানানসই নেকলাইনের তালিকায় আছে এম্পায়ার, সুইটহার্ট, ভি-নেক, কুইন অ্যান-এর মতো নামগুলো। যার প্রতিটি বৃত্তাকার চোয়ালের ভারসাম্য বজায় রাখার জন্য দুর্দান্ত বিকল্প। তুলনামূলকভাবে চওড়া নেকলাইন এ ধরনের মুখাবয়বে ভালো মানায়। তবে ব্যাটো কিংবা গোলাকার জামার গলা এড়িয়ে চলাই ভালো। নেকলাইনের প্রস্থ ও গভীরতা নিয়ে নিরীক্ষা করা যেতে পারে।
এন্ড অবলং
মুখটি আয়তাকার আকৃতির কি না, তা বুঝতে চিবুকের দিকে লক্ষ করলেই চলবে। এ ধরনের মুখাবয়বের প্রধান বৈশিষ্ট্য দীর্ঘ চিবুক। আর চওড়ার চেয়ে লম্বায় বড় হবে মুখাকৃতি। বোট নেক, টার্টল নেক, স্কুপ নেক, কাউল বা মক নেক এবং অবশ্যই অফ শোল্ডার বা ওয়ান শোল্ডার নেকলাইন এ ধরনের মুখাবয়বে ভালো মানায়। ভি-নেক পরা যেতে পারে, তবে প্লাঞ্জিং ডেপথেরগুলো এড়িয়ে যাওয়াই ভালো।

 স্বর্ণা রায়
মডেল: মিলা
মেকওভার: পারসোনা
ছবি: হাদী উদ্দীন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Back To Top