skip to Main Content

ফিচার I প্রিয় গন্তব্যে

মধুচন্দ্রিমা কাটানোর জন্য দূরের ঠিকানা। কোথাও সমুদ্রের নীল, কোথাওবা পাহাড়ের সবুজ

নবদম্পতির নিবিড় নিভৃতি হানিমুন বা মধুচন্দ্রিমা ছাড়া অকল্পনীয়। একে অন্যকে অখ-ভাবে পাওয়ার জন্য এর চেয়ে ভালো কিছু আর হতে পারে না। এই ভাবনায় বিয়ের আগে বুঁদ হয়ে থাকেন বর-কনে। কোথায়? কীভাবে সুখকর একটা সময় কাটানো যায়- এ নিয়ে কতো স্বপ্নকল্পনা তৈরি হয়ে যায় উভয়ের মনে! দুজনেই সিদ্ধান্ত নেন, একান্তে সময় কাটানোর জন্য যেতে হবে দূরে কোথাও। কিন্তু মধুচন্দ্রিমা কোথায় হবে, এই ভাবনায় অনেকেই দ্বিধায় পড়েন। কোথায় যাবেন? দেশে নাকি দেশের বাইরে? পুরোটাই নির্ভর করে সামর্থ্যরে ওপর। যদি সামর্থ্য থাকে, ঘুরে আসুন বিদেশ থেকে।
দুবাই
বিলাসী গন্তব্য হিসেবে এ শহরের রয়েছে আলাদা সুনাম। কারণ, এখানে বিনোদনের অভাব নেই। জেবিআর বিচের বেলাভূমি, সমুদ্রের ওপর ভেসে বেড়ানো অতিকায় ভাসমান ওয়াটারপার্কে সুইং, স্লাইড, বাউন্স, ক্লাইম্ব কিংবা জলে ঝাঁপাঝাঁপি- সব মিলিয়ে সেখানে সময় হয়ে ওঠে উপভোগ্য। দম্পতিরা দুবাইয়ে ল্যান্ড করার সঙ্গে সঙ্গেই সোজা সৈকতের দিকে ছুটে যান। এখানকার অনেক রিসোর্টেই আছে বিশেষভাবে সাজানো ব্যক্তিগত সৈকত। রয়েছে স্পা, যা পুরোপুরি ছুটির আমেজ পাইয়ে দেবে। অনেক রিসোর্ট স্পাতেই আছে দম্পতিদের জন্য বিশেষভাবে তৈরি কক্ষ।
পরের দিন, রোমাঞ্চের জন্য একটি গরম বাতাসের বেলুনে চড়ে দেখে নিতে পারেন দুবাইয়ের সোনালি মরূদ্যান। দিনের সূচনায় হোটেল থেকে শুরু হয় এই অ্যাডভেঞ্চার। তবে চোখধাঁধানো সূর্যোদয় দেখতে হলে বেলুনে আগেই চড়ে বসতে হবে। এরপর বুর্জ খলিফায় থাকা বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু রেস্তোরাঁ অ্যাটমোসফিয়ারে বসে সেরে নেওয়া যায় বিকেলের চা পর্ব।
প্রিয়জনকে উপহার দিতে পারেন একটি ঝলমলে হীরার আংটি কিংবা অন্য কোনো গয়না। দুবাই হলো বিশ্বের সবচেয়ে বড় স্বর্ণের বাজার, যেকোনো স্থানের চেয়ে এখানে গয়না সস্তা। দেইরার পুরোনো গোল্ড সুকে যান অথবা যেতে পারেন আল কুওজে থাকা আধুনিক বাজার গোল্ড অ্যান্ড ডায়মন্ড পার্কে।
খানিকটা পুরোনো আবহে ফিরে যেতে চাইলে আল ফাহিদির ঐতিহাসিক পরিবেশে ছড়িয়ে থাকা আঁকাবাঁকা সড়কগুলোতে ঘুরতে যেতে পারেন। সেখানে দেখতে পাবেন উইন্ড-টাওয়ার বাড়ি, আর্ট গ্যালারি এবং কোর্টইয়ার্ড ক্যাফেতে জলখাবারের আয়োজন। ইতিহাসের এ সড়ক ধরে গেলে মিলবে খাঁটি আরব সুক, যেখানে কল্পনার সব রঙের সিল্ক ও পোশাকের দামদর করা যায়।
তুরস্ক
প্রিয়জনকে নিয়ে ‘হানিমুনে’ নতুনত্বের স্বাদ নিতে চাইলে ঘুরে আসতে পারেন তুরস্ক। এ দেশে বেশ কিছু সিগনেচার ট্যুরিস্ট স্পট আছে, যেগুলোতে না গেলেই নয়। যেমন-
হাজিয়া সোফিয়া
এটি সম্ভবত তুরস্কের সবচেয়ে বিখ্যাত পর্যটন স্থান এবং বিশ্বের প্রাচীনতম ভবনগুলোর একটি। ষষ্ঠ শতকে বাইজেনটাইন সম্রাট জাস্টিনিয়ান ভবনটি মূলত অর্থডক্স গির্জা হিসেবে নির্মাণ করেন, যা পরবর্তীকালে মসজিদে রূপান্তরিত হয়। বর্তমানে এটি একটি মিউজিয়াম। এর অসাধারণ স্থাপত্য এবং বাইজেনটাইন ও মুসলিম অলংকরণের সমন¦য় দর্শনার্থীদের বিমোহিত করে।
ইফেসাস
তুরস্কের জনপ্রিয় স্থানগুলোর একটি ইফেসাস, যা সেলকাকের কাছে অবস্থিত। ইস্তাম্বুল বা আঙ্কারা, যেখানেই থাকুন না কেন, এটি বেশ দূরে। তাই সরাসরি ফ্লাই করে আসাই ভালো। বিশ্বের সেরা গ্রিক ও রোমান স্থাপত্যের ধ্বংসাবশেষ এখানে সংরক্ষিত আছে। প্রাচীন যুগের সপ্তম আশ্চর্যের একটি এই ইফেসাস শহরটি, যা একসময় আর্টেমিসের মন্দিরের জন্য বিখ্যাত ছিল। মন্দিরটি স্থাপত্যশিল্পে অসাধারণ। ইফেসাসের কিছু আকর্ষণীয় স্থান হচ্ছে লাইব্রেরি অব সেলসিয়াস, টেম্পল অব হেড্রিয়ান এবং থিয়েটার। এখানে আরও রয়েছে আর্টেমিসের মন্দির, পাহাড়ের ওপর ঈসা বে মসজিদ, অটোমান এস্টেট, গ্র্যান্ড দুর্গ, ভার্জিন মেরির ভবনসহ আরও অনেক পুরোনো ঐতিহাসিক ভবন।
কাপাদ্দোসিয়া
মোসেন সময়কালে ভলকানোর অগ্ন্যুৎপাতে জন্ম নেওয়া প্রাকৃতিক শিলা এবং অনন্য ঐতিহাসিক শিল্পকর্মের জন্য বিখ্যাত। এই ভূগর্ভস্থ শহরটি পর্যটকদের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে বেশ আগেই। কাপাদ্দোসিয়ায় সবচেয়ে বড় আকর্ষণ হলো বেলুন ট্যুর। বাংলাদেশি টাকায় ৮ হাজার থেকে শুরু করে আরও দামি বেলুনও আছে। তবে সব কটিতেই ভ্রমণের অভিজ্ঞতা প্রায় এক রকম। খরচ যা-ই হোক, ভূপৃষ্ঠ থেকে হাজার ফুট উপরে এক-দেড় ঘণ্টার জন্য ভেসে বেড়াতে এবং মনোমুগ্ধকর প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দেখতে কে না ভালোবাসবে? এ ছাড়া তুরস্কের আরও কিছু আকর্ষণীয় স্থান হচ্ছে নমরুদের পাহাড়, ট্রয়, বোদ্রাম ক্যাসেল, পামুকালে, পাতারা বিচ, এস্পেন্ডোস থিয়েটার, অলোডেনিজ, বেসিলিকা সিস্টারন ইত্যাদি।
মালয়েশিয়া
এশিয়ার একটি দ্বীপরাষ্ট্র মালয়েশিয়া। নৈসর্গিক সৌন্দর্যে সমৃদ্ধ। দেশজুড়ে রয়েছে বিস্তৃত পাহাড়। পাহাড়ের কোলঘেঁষে গড়ে উঠেছে আধুনিক শহর। না শীত না গরম- চমৎকার একটা আবহাওয়া বিদ্যমান মালয়েশিয়ায়। প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, ঐতিহ্য ও প্রাচুর্যে ভরা শহর পেনাং। ‘প্রাচ্যের মুক্তা’ হিসেবে পরিচিত। পেনাং এশিয়ার বিখ্যাত দ্বীপ। যেখানে অসংখ্য রেস্তোরাঁ, ক্যাফে, ডিপার্টমেন্ট স্টোর ও সমুদ্রসৈকত রয়েছে।
এশিয়ার একটি ছিমছাম গোছানো দেশ মালয়েশিয়া। প্রতিবছর অসংখ্য বাংলাদেশি মালয়েশিয়ায় ঘুরতে যায়। এদের পছন্দের ভ্রমণগন্তব্যের তালিকায় মালয়েশিয়ার নাম প্রথম তিনটি দেশের মধ্যেই থাকে। এখানে মাত্র একটিই ঋতু, বর্ষা। তাই প্রায় প্রতিদিন কমবেশি বৃষ্টি হয়। দেশজুড়ে পাহাড়ি রাস্তা আর বন-জঙ্গল। মালয়েশিয়া গিয়ে লাঙ্কাউই না গেলে হয়তো পুরো খরচই বৃথা। কুয়ালালামপুর থেকে ৪১৩ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত এই সমুদ্রসৈকত অঞ্চল আন্দামান সমুদ্রের ১০৪টি দ্বীপের সমষ্টি। ক্যাবল কার, ঝরনার ধনি, সমুদ্রের নিচ দিয়ে রাস্তা, ম্যানগ্রোভ ফরেস্ট- আরও অনেক কিছু রয়েছে এখানে। হানিমুনটা তাই এখানেই সেরে আসতে পারেন। এ ছাড়া পেনাং মালয়েশিয়ার আরেকটি জনপ্রিয় পর্যটন স্থান। এটি কুয়ালালামপুর থেকে ৩৫৫ কিলোমিটার দূরে। পেনাংয়ের মূল আকর্ষণ ক্যাবল ট্রেন। প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য আট আর ছোট ও বৃদ্ধদের জন্য চার রিঙ্গিতে এই ট্রেনে চড়ে যেতে পারবেন পেনাং পর্বতে। এটি দারুণ এক অভিজ্ঞতা। প্রিয়জনকে নিয়ে যেতে পারেন মালয়েশিয়ার মেঘের রাজ্য গেনটিং হাইল্যান্ডস, ভূপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ১ হাজার ৮৬৫ মিটার বা ৬ হাজার ১১৮ ফুট উঁচুতে। পাহাংয়ে গেনটিং অবস্থিত। কেএল সেন্ট্রাল থেকে গেনটিং হাইল্যান্ডসের দূরত্ব প্রায় ৬০ কিলোমিটার। বাসে যেতে সময় লাগে ১ ঘণ্টা ১০ মিনিট। ১৯৬৫ সালে গেনটিং রিসোর্ট চালু হয়। ম্যাক্সিমস, গেনটিং গ্র্যান্ড হাইল্যান্ডসহ বেশ কটি তারকা হোটেল, ক্যাসিনো সেখানে রয়েছে। সেখানকার আবহাওয়া কুয়ালালামপুরের ঠিক বিপরীত। মেঘ আর ঠান্ডা বাতাসে তাপমাত্রা অনেক নিচে। ১০/১২ ডিগ্রি। শীতবস্ত্র সঙ্গে রাখতে হবে। পাহাড়ের আঁকাবাঁকা পথ ধরে ঘণ্টাখানেকের মধ্যেই পৌঁছে যাবেন প্রকৃতির স্বর্গরাজ্য গেনটিং হাইল্যান্ডসে।
এ ছাড়া মালাক্কা সিটি অপেক্ষা করে তার সব ঐতিহাসিক সৌন্দর্য নিয়ে। মালয়েশিয়ার ইতিহাস, ঐতিহ্য সম্পর্কে জানতে চাইলে যেতে পারেন সেখানে।
থাইল্যান্ড
এশিয়ার মধ্যে বিশ্বসেরা হানিমুন স্পটের প্রথম সারিতে আছে থাইল্যান্ড। রোমান্টিক সমুদ্রসৈকত ‘পাতায়া’ এ দেশেরই। রাত নামলেই সেখানে আলোর ঝলকানি। সংগীতের মূর্ছনা। পাতায়ায় আছে অসংখ্য কোরাল দ্বীপ। এর একটি হলো কোলহার্ন। নীল জলরাশির মধ্যে চলে স্কুবা ডাইভ, সার্ফিং ও ফিশিং।
সমুদ্রতীরের ছিমছাম শহর পাতায়া ব্যাংকক থেকে মাত্র ২০০ কিলোমিটার দূরে। মূলত রাতের আঁধারে জেগে ওঠা যে কয়টি শহর রয়েছে, সেগুলোর মধ্যে সেরা। হানিমুন স্পট হিসেবে বিখ্যাত। এখানে পর্যটকের ভিড় ঠেলা দায়। নাইট ক্লাব, রেস্তোরাঁ, সমুদ্রের তীর- সব একাকার। অন্য এক জগৎ। দেড় শ কিলোমিটার দীর্ঘ ফ্লাইওভারের ওপর দিয়ে সোয়া শ কিলোমিটার গতিতে ছুটে চলবে বাস। সমুদ্রতীরের এই ছিমছাম শহরটি যেন বিনোদনের স্বর্গরাজ্য। ডিস্কো, পাব, গোগো ক্লাবগুলো সমুদ্রতীরজুড়ে সাজানো। সমুদ্রের ভেতরে আছে বিশাল সব নৌযান। সেগুলোর একেকটি যেন ভাসমান ছোট্ট শহর।
পাতায়া থেকে সমুদ্রের ভেতরে তাকালেই দেখা যায় অসংখ্য কোরাল দ্বীপ। সেগুলোও দৃষ্টিনন্দনভাবে সাজানো। সবুজের সমারোহের চারপাশে নীল জল। পাতায়া থেকে লাইট জাহাজযোগে যেতে পারেন তেমনই একটি দ্বীপ ‘কোলহার্ন’-এ। সারা দিন ঘুরে সন্ধ্যার আগেই ফিরে আসা যায় পাতায়ায়।
অন্যদিকে হানিমুনের আরেক স্বর্গরাজ্য ফুকেট। কী নেই এখানে? নবদম্পতিদের উপযোগী করে সবকিছুই এখানে তৈরি করা হয়েছে। ফুকেটের সবচেয়ে বড় আকর্ষণ জেমস বন্ড আইল্যান্ড এবং ফিফি আইল্যান্ড। এ দুটি জায়গায় ঘুরতে গেলে মনে হবে স্বপ্নিল কোনো জগতে বিচরণ করছেন। এ ছাড়া বাঘ-সিংহ থেকে শুরু করে জিরাফ, গন্ডার, ময়ূর, হরিণ, ভালুকসহ হরেক জীবজন্তু আর পাখপাখালির যেন মেলা বসে এখানকার সাফারি ওয়ার্ল্ডে। ০০৭-খ্যাত জেমস বন্ড সিরিজের চলচ্চিত্রের প্রদর্শনী দেখা যাবে এই পার্কে। সরাসরি আয়োজিত ৪৫ মিনিটের এই শো হলিউড সিনেমার নানা অ্যাকশন দৃশ্যে ভরপুর। হেলিকপ্টারের ভস্মীভূত হওয়ার দৃশ্য, আগুনে পুড়ে মানুষের কঙ্কাল হয়ে যাওয়া, সাগরের ভেতর দিয়ে দ্রুতগতিতে স্পিডবোটে হিরোইনের চলে আসা- এ রকম অনেক আকর্ষণীয় বিষয় দিয়ে সাজানো হয়েছে সাফারি ওয়ার্ল্ড।
শ্রীলঙ্কা
ভারতের দক্ষিণ উপকূলে অবস্থিত শ্রীলঙ্কা এশিয়ার সেরা একটি হানিমুন স্পট। অপরূপ প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর সমুদ্রসৈকত, সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য পর্যটকদের মুগ্ধ করে। প্রাচীনকাল থেকেই এটি বৌদ্ধধর্মাবলম্বীদের তীর্থস্থান। এখানে রয়েছে সুন্দর সুন্দর মন্দির। কম খরচে ঘুরে আসতে পারেন এই দেশ থেকে।
বালি দ্বীপ
হানিমুনের জন্য ইন্দোনেশিয়ার বালি দ্বীপ প্রসিদ্ধ। সুন্দর, পরিচ্ছন্ন ছবির মতো দেখতে দ্বীপটি। চাইলে সম্পূর্ণ একটা বিচ ভাড়া করে নিতে পারেন। এখানে রয়েছে অনেক দৃষ্টিনন্দন মন্দির। বালির বিশ্ববিখ্যাত কুটা সমুদ্রসৈকত না দেখলে সেখানে যাওয়াই বৃথা। এখানকার পানির রঙ গাঢ় নীল।
মালদ্বীপ
এশিয়ায় আরেকটি নয়নাভিরাম প্রাকৃতিক সৌন্দর্যমন্ডিত দ্বীপরাষ্ট্র মালদ্বীপ। ছোট হলেও সৌন্দর্যের দিক থেকে অনেক উপরে এই দেশ। প্রতিবছর বিশ্বের নানা প্রান্ত থেকে লাখ লাখ পর্যটক মালদ্বীপের সৌন্দর্য উপভোগ করতে ছুটে আসেন। দেশটির উত্তর, দক্ষিণ, পূর্ব, পশ্চিম মিলে রয়েছে প্রায় আড়াই হাজার ছোট ছোট দ্বীপ। আর এই দ্বীপগুলোকে নিয়েই মালদ্বীপ। এখানে রয়েছে অনেক রিসোর্ট। প্রতিটি গড়ে উঠেছে আলাদা দ্বীপে।
মেক্সিকো
এখানে সাগরতীরের আঙিনায় রোমাঞ্চকর সবকিছুই করতে পারবেন হানিমুনে আসা যুগলেরা! এ ছাড়া আর্জেন্টাইন স্টিক হাউজ ও থাই রেস্তোরাঁ থেকে আনা আন্তর্জাতিক মানের খাবার এবং মেক্সিকোর বিভিন্ন ধরনের টাকিলার স্বাদও নিতে পারবেন। গ্রামের মাঝখানে রয়েছে একটি ঝিলিমিলি জলাধার, যেখানে স্বামী-স্ত্রী মিলে গোসল ও সাঁতার কাটতে পারবেন। ধারণা করা হয়, এ জলাধার একসময় জলদস্যুদের খাওয়ার পানির উৎস ছিল।
মরিশাস
বালাকলাভা সৈকতের মরিশাস বেশ রোমান্টিক। এখানে জীবনসঙ্গীকে নিয়ে কাটানো মুহূর্ত চিরজীবন অমলিন হয়ে থাকবে। বিলাসবহুল রিসোর্ট, সাগরের নীল জলরাশি, রাতে সমুদ্রপাড়ে ক্যান্ডেল লাইট দম্পতিদের জন্য বাড়তি পাওয়া। হানিমুন কাপলদের জন্য এখানে প্রতিবছরই পর্যটন কর্তৃপক্ষ বিশেষ ব্যবস্থা নিয়ে থাকে।
গোয়া
নবদম্পতিদের ঘুরে বেড়ানোর জন্য ভারতের গোয়া অসাধারণ। এখানে রয়েছে অনেক প্রাচীন স্থাপনা। আরব সাগরের সৈকতে প্রিয়জনকে নিয়ে রোমান্টিক মুহূর্ত কাটাতে ঘুরে আসতে পারেন গোয়া থেকে।
নৈনিতাল নবদম্পতিদের বেড়ানোর জন্য সেরা এক স্থান। পর্বতের জন্য বিখ্যাত। এখানকার প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে সব সময় মিশে থাকে একটা প্রেমের গন্ধ। নৈনির ঠান্ডা জলের লেক, কেনাকাটার জন্য জমজমাট বাজার, হাতে হাত রেখে পাশাপাশি হাঁটতে নির্জন পাহাড়ি রাস্তা- আর কী চাই?
লাক্ষা দ্বীপ
নিরিবিলি সুন্দর-পরিষ্কার সমুদ্র ভালোবাসেন! তাহলেই হানিমুনের ফেবারিট ডেস্টিনেশন হতে পারে লাক্ষা দ্বীপ। ভারতের একটা অংশ এই দ্বীপ। পরিষ্কার সাদা বালি এবং নীলাভ সবুজ সমুদ্র দুজনের আনন্দময় নৈকট্য আরও বাড়িয়ে তুলবে।
কেরালা
নবদম্পতিদের জন্য এটি স্বর্গের মতো। এখানকার ব্যাকওয়াটার হ্রদ, খাল এবং নদীর অনন্য রূপ কেরালাকে সম্পূর্ণ আলাদা করে তুলেছে। কম খরচে এই সুন্দরের কাছে গিয়ে শুরু করতে পারলে দাম্পত্যের প্রথম পর্ব।
আন্দামান
নীল জলরাশি। তার মাঝে স্থলভূমি। রয়েছে সবুজ পাহাড়ি অরণ্য আর রুপোলি বালুকাবেলা। প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্যে গা ভাসাতে মধুচন্দ্রিমার জন্য আন্দামান নিকোবরে যেতে পারেন নবদম্পতিরা। নারকেলগাছের ছায়ায় নির্জন দ্বীপপুঞ্জের কোথাও কোথাও দেখা যাবে হরিণের দল। হাত বাড়ালেই সমুদ্রের জলে মিলবে বিবিধ রঙের প্রবাল ও রঙিন মাছের দেখা।
লুকালা দ্বীপ
নবদম্পতিদের জন্য ফিজির লুকালা সবচেয়ে ভালো জায়গা। গ্রামীণ পরিবেশে বিলাসবহুল রিসোর্ট এনে দেবে আনন্দদায়ক সময় যাপনের অসাধারণ অভিজ্ঞতা। ২৫টি বিলাসবহুল হোটেলের প্রতিটিতেই আছে বড়সড় লেগুন পুল। এখানে ঘোড়া নিয়ে ঘুরে বেড়াতে পারবেন।
সেন্ট লুসিয়া
হানিমুনের জন্য সেন্ট লুসিয়া দ্বীপটি সেরা। এখানে প্রায় সবার জন্যই কিছু না কিছু আছে! রোমাঞ্চপ্রিয় দম্পতির জন্য আছে পাহাড়ের গা বেয়ে উপরে ওঠার সুযোগ, আছে শান্ত সমুদ্রের তীর ঘেঁষে বানানো অসংখ্য রিসোর্ট!
সারা জীবনের জন্য বেছে নেওয়া প্রিয় মানুষটির সঙ্গে পরিবার-পরিজনের চোখের আড়ালে দূরে কোথাও সময় কাটাতে চায় প্রায় সব দম্পতিই। তাই কেউ ছুটে যায় পাহাড়ের কোলে, কেউবা আবার সমুদ্রের তীরে। সাজিয়ে ফেলুন ট্রিপ প্ল্যান। কোথায় যাবেন প্রিয়জনকে নিয়ে, প্রিয় মুহূর্তগুলো স্মরণীয় করে তোলার জন্য!

 গোলাম কিবরিয়া
ছবি: ইন্টারনেট

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Back To Top