skip to Main Content

ফিচার I ফেসওয়াশিং ফর্মুলা

ত্বকচর্চার একদম প্রাথমিক পদক্ষেপ। সুস্থ, সুন্দর ত্বকের জন্য অপরিহার্য। তাই গোড়ায় গলদ করা যাবে না কোনোভাবেই

ফেসওয়াশিং। ত্বক পরিষ্কারের প্রথম ধাপ। ফেসওয়াশ কিংবা ক্লিনজার- যেটাই ব্যবহার করা হোক না কেন, মুখ ধুতে হবে নিয়মিত। দিনে দুবার করে। সকাল-সন্ধ্যায়। ঘুম থেকে উঠে, ঘুমাতে যাবার আগে। আর বাইরে থেকে ফিরলে তো ফেসওয়াশিং মাস্ট। পরিপূর্ণ পরিচ্ছন্নতার জন্য।
আগে শুধু ত্বকের পরিচ্ছন্নতাকে প্রাধান্য দেওয়া হতো ফেসওয়াশিংয়ে; যা একদম গোড়া থেকে ধুলা, ময়লা, ঘাম, সেবাম তুলে নিয়ে আসবে। দূর করবে ত্বকের মৃত কোষ। সরাবে মেকআপ। কিন্তু এখন এক ফেসওয়াশিংয়ের মাধ্যমেই মিলছে হরেক রকম সুবিধা। ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ানো থেকে শুরু করে ব্রণের বিনাশ- সবই করবে ফেসওয়াশিং। কারণ, ফেসওয়াশের ফর্মুলা নিয়ে খেলছে এখনকার বিউটি ব্র্যান্ডগুলো। হচ্ছে নানান পরীক্ষা-নিরীক্ষা। ফলে শুষ্ক, তৈলাক্ত আর স্পর্শকাতর ত্বকভেদে ফেসওয়াশ তৈরি তো হতোই, সঙ্গে যুক্ত হয়েছে অ্যান্টি-অ্যাকনে, অ্যান্টি-এজিংসহ নানান রকমের ফেসওয়াশ। শুধু কেমিক্যালে নির্ভরশীল না থেকে উপাদানের তালিকায় যুক্ত হচ্ছে শত বছরের পুরোনো আয়ুর্বেদিক তত্ত্বও। লিকুইড এবং ফোম ফর্ম তো ছিলই, তৈরি হচ্ছে পাউডার আর জেল ফর্মের ফেসওয়াশও। সময়ের সঙ্গে সৌন্দর্য সচেতনদের কাছে কদর বাড়ছে এগুলোর। বিশ্বজুড়ে বিকোচ্ছেও দেদার। সম্প্রতি ইউনিলিভার বাংলাদেশ দেশের বাজারে নিয়ে এসেছে এমনই আনকোরা কিছু ফেইসওয়াশ। কোনোটা এডভান্সড ফর্মুলায় তৈরি, তো কোনোটায় প্রাণ যুগিয়েছে প্রকৃতি। সবই ব্যবহারকারীদের ত্বকের সুস্থতা ও সুন্দর ভাব ধরে রাখার জন্য।
ইনস্টা গ্লো
মাল্টিভিটামিনে পরিপূর্ণ থাকা ফেসওয়াশগুলো ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে দারুণ কার্যকর। এগুলো মূলত ত্বকে জমে থাকা ধুলাময়লা, তেল আর দূষণ দূর করে একদম গভীর থেকে। ফলে ফেসওয়াশে থাকা মাল্টিভিটামিন ত্বকের ভেতরে প্রবেশ করে সহজে। দেয় নজরকাড়া উজ্জ্বলতা, একদম ইনস্ট্যান্টলি। ফলে প্রথমবার ব্যবহারেই ত্বকের পরিবর্তনটা টের পাওয়া যায়।
অ্যান্টি-পিম্পল
জাপানিজ গ্রিন টি। ত্বকের ব্রণ সারানোয় দারুণ কার্যকর উপাদান। ফলে এ দিয়ে তৈরি ফেসওয়াশগুলো ত্বকে থাকা ব্রণের উপর হামলে পড়ে একদম প্রথম ওয়াশ থেকেই। দাগ দূর করে। সেই সঙ্গে ব্রণ যেন পুনরায় ফিরে না আসে, সেই ব্যবস্থাও করে দেয়। শুধু উপরের অংশই নয়, ফেসওয়াশগুলো একদম ভেতরে গিয়ে পরিষ্কার করে ত্বক। ফলে ব্রণের ব্যাকটেরিয়া কোনোভাবেই বাড়তে পারে না। ফল ব্রণবিহীন, দাগছোপমুক্ত, স্বাস্থ্যোজ্জ্বল ত্বক।
আয়ুর্বেদিক
কুমকুমাদি তেল- আয়ুর্বেদীয় রূপচর্চায় এর ব্যবহার অনবদ্য। বছর পুরোনো। জাফরান, মঞ্জিষ্ঠা আর চন্দনের মতো চৌদ্দটি ভিন্ন ভিন্ন প্রাকৃতিক ত্বক উজ্জ্বলকারী উপাদানের নির্যাস নিয়ে তৈরি অনন্য এই আয়ুর্বেদিক ব্লেন্ড ত্বকের ভেতর থেকে বাড়ায় উজ্জ্বলতা। ত্বকে চটজলদি এনে দেয় নজরকাড়া দ্যুতি। তাই এ থেকে তৈরি ফেসওয়াশগুলো কাজ করে জাদুর মতো। সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক ফর্মুলার এবং সব ধরনের ত্বকে ব্যবহারের উপযোগী হওয়ায় উজ্জ্বলতা বাড়াতে এর থেকে ভালো অপশন মিলবে না বাজারে।

 জাহেরা শিরীন
মডেল: শ্রাবস্তী
মেকওভার: পারসোনা
ছবি: ক্যানভাস

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Back To Top