skip to Main Content

ফিচার I ফ্যাশনে ফোক

পোশাকে আপন শিকড়ের প্রকাশ ঘটছে লোকজ মোটিফে। ডিজাইনাররা কাজ করে চলেছেন এতে নতুনত্ব সৃষ্টির জন্যপ্রতিযোগিতার এই বিশ্বে যেকোনো নতুন পণ্য রাতারাতি হয়ে যাচ্ছে পুরোনো। এক জরিপে দেখা গেছে, যেকোনো নতুন পণ্য উৎপাদনের ঠিক দেড় বছরের মাথায় তার চাহিদা কমে যায় আর নতুন কিছুর চাহিদা সৃষ্টি হয়, যা সবচেয়ে বেশি চোখে পড়ে ফ্যাশনে।
কাপড়ের অনেক পরে এসেছে ফ্যাশনের ধারণা। অনুমান করা হয়, ১ লাখ ৭০ হাজার বছর আগে থেকে মানুষের মধ্যে কাপড় পরার চল শুরু হয়। এবং প্রায় লাখ বছর আগে থেকে ফ্যাশনের একটা ধরন লক্ষ করা যায়, তা হলো কাপড়ে বীজ সেলাই করে লাগানো।
অষ্টাদশ শতাব্দীর শুরুর দিকে শিল্পবিপ্লবের পূর্ব সময়ে নতুন নতুন ধারার চর্চা শুরু হতে থাকে ফ্যাশনে। শিল্পবিপ্লবের বদৌলতে চলে এলো টেক্সটাইল মেশিন, ফ্যাক্টরি; শুরু হয়ে গেল বিপুল পরিমাণ কাপড়ের উৎপাদন। সবচেয়ে বেশি পরিবর্তন আসে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর যখন মধ্যবিত্ত শ্রেণির বিকাশ ঘটে পূর্ণমাত্রায়, তাদের মধ্যে কাপড় কেনার প্রবণতা বেড়ে যায়।
ঊনবিংশ শতাব্দীর শুরুর দিকে যোগাযোগব্যবস্থা উন্নত ছিল না। ফলে বিভিন্ন জায়গার ফ্যাশনে মানুষ নিজেদের মতো করেই পরিবর্তন ঘটাতে লাগল। সেই ডিজাইনে বা স্টাইলে নিজস্বতা ও স্থায়িত্ব- দুটোই বজায় থাকত। পরবর্তী সময়ে ষাটের দশকে যোগাযোগব্যবস্থার উন্নতির ফলে খুব তাড়াতাড়ি আদান-প্রদানের মাধ্যমে পরিবর্তন শুরু হয়ে গেল ফ্যাশনে। সেই সঙ্গে বাড়তে লাগল প্রতিযোগিতা। ধীরে ধীরে বদলে যেতে থাকল বিভিন্ন দেশের পোশাকরীতি। শুরু হয়ে গেল ফিউশন বা মিশ্র ধারা।
প্রকৃত অর্থে এই পরিবর্তন শুধু কাপড়ে নয়, প্রথমে শুরু হয় সাহিত্যে, তারপর চিত্রকর্মে, তারপর মানুষের পরিধানে। তবে ফ্যাশনের পরিবর্তন খুব দ্রুততার সঙ্গে ছড়িয়ে পড়ে। কারণ, মানুষ নিজেকে আলাদা ও নতুন করে উপস্থাপন করতে চায় সব সময়। এই আকাঙ্ক্ষার আরেকটি দিক হলো ইনডিভিজ্যুয়ালিটি। বাহ্যিক উপস্থাপনে নিজেকে অনন্য করে তোলা এর মূলকথা। ফলে হারিয়ে যাচ্ছে নিজেদের ঐতিহ্যগত মৌলিকত্ব, যার প্রধান নিয়ামক সেই জায়গার প্রচলিত উপাদান, বিশ্বাস, প্রথা, অভ্যাস, যেগুলোকে বলা হয় লোকজ উপাদান।
বিখ্যাত শিল্পবিশারদ আনন্দ কুমার স্বামী জানিয়েছেন, বাংলার (অবিভক্ত বাংলা) লোকজ শিল্পের উৎপত্তি সেই প্রাচীন হরপ্পা ও সিন্ধু সভ্যতা থেকে, যা ছিল আজ থেকে পাঁচ হাজার বছরের পুরোনো। পৃথিবীর সব দেশই যে তাদের নিজস্ব লোকজ মোটিফ নিয়ে কাজ করে, তা নয়। বিশেষ করে দক্ষিণ এশীয় দেশগুলো। এ ছাড়া আফ্রিকান লোকজ মোটিফ ধারণ করেছে পাশ্চাত্যের অনেক দেশ। বাংলাদেশের লোকজ শিল্পে গ্রাম এবং সেখানকার মানুষের জীবনচিত্র ফুটে উঠেছে। এসব শিল্পে রয়েছে নকশি পিঠা, টেপা পুতুল, শীতল পাটি, মাদুর, শতরঞ্জি, কাঁথা, লক্ষ্মীর সরা, শখের হাঁড়ি, কাগজ কাটা, আলপনা, সন্দেশ ইত্যাদি।
ইতিহাস বলছে, ৪৫০ খ্রিস্ট পূর্বাব্দে লোকজ শিল্পের প্রচলন শুরু। প্রাচীন লোকশিল্পের অনেক উপাদান পাওয়া গেছে উয়ারী-বটেশ্বরে। ৭৫০ থেকে ১১৭৪ খ্রিস্টাব্দের সময়কে লোকশিল্পের বিকাশপর্ব বলা যেতে পারে। তা ঘটে পালদের হাতে। তবে মৌর্য যুগের ভাস্কররাও লোকশিল্প নিয়ে কাজ করেছেন। পরে সেন ও মোগল শাসনামলেও এটি পৃষ্ঠপোষকতা পায়। ব্রিটিশ শাসনামলে লোকশিল্পের সঙ্গে সমকালীন ঘরানার সংমিশ্রণ লক্ষ করা যায়। অন্যদিকে, লোকশিল্পের ফর্মগুলো ধীরে ধীরে পরিবর্তিত হয়েছে এ দেশের মানুষের জীবনযাত্রা, চাহিদা ইত্যাদির সঙ্গে মিল রেখে।
আমাদের লোকজশিল্পের সঙ্গে ধর্মীয় সংস্কৃতির মেলবন্ধন ঘটেছে ব্রিটিশ শাসনামলে। পুরাণের নানা কাহিনি, মন্দির, মসজিদ, মিনার, সূর্য, তারা, গাছপালা, ফুল, পাখি, লতাপাতা, মাছ, ময়ূর, হাতি, নদী, ঢেউ, প্রকৃতি, কৃষিব্যবস্থা- সবকিছুর প্রতিফলন দেখা যায় লোকজ শিল্পকলায়। রয়েছে বিভিন্ন কথা ও বাণী লেখার প্রচলন। যেমন- ভুলোনা আমায়, মা কথাটি অনেক মধুর, মানুষ দূরে যায় রেখে যায় স্মৃতি, একটি ফুল দুটি কুঁড়ি ইত্যাদি। আগে এর প্রচলন ছিল রুমালে, পাখায়, রিকশায়। তবে রিকশায় এর প্রচলন এখনো রয়েছে। আজকাল এগুলো ব্যবহৃত হয় বিভিন্ন ব্যাগে, কাপড়ে, টি-শার্টে এবং নোটবুকের কভারে।
আশির দশকে আমাদের দেশের বুটিকের পোশাকে লোকজ মোটিফের ব্যবহার শুরু হয়। আড়ং, কারিকা, কুমুদিনীর পোশাকে লোকজশিল্পের নানা মোটিফ সেলাইয়ের মাধ্যমে ফুটিয়ে তোলা হয়। পরে যাত্রা, বিবিআনা, কে ক্রাফট, নিত্য উপহার, নাগরদোলা, অঞ্জন’স, প্রবর্তনা, সাদাকালো, রঙ, দেশাল, বাংলার মেলা, নিপুণসহ দেশীয় ফ্যাশন হাউজগুলো বৈশাখের পোশাকে ব্লক, স্ক্রিন প্রিন্ট ও হ্যান্ড পেইন্টের মাধ্যমে লোকজ মোটিফ তুলে ধরেছে ডিজাইনে। এই ধারাবাহিকতায় প্রতিবছরই ডিজাইনাররা এগুলো ব্যবহার করছেন উৎসব পার্বণে। এখন পোশাকের ডিজাইনে গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম হিসেবে দেখা যায়। শুধু বাংলাদেশে নয়, ভারতেও তাই। বিশেষ করে পশ্চিম বাংলা, উড়িষ্যা, গুজরাট, পাঞ্জাবেও রয়েছে লোকজ মোটিফের প্রচলন। এর সুবিধা হলো এমব্রয়ডারি, উইভিং, কারভিংসহ সবকিছুতে ব্যবহার করা যায়। ডিজাইনার হিসেবে যারা কাজ করেন, তাদের পোশাক নকশার ক্ষেত্রে মৌলিক ডিজাইন বাছাই করতে পারাটা খুব জরুরি। যেমন টেপা পুতুল, লক্ষ্মীর সরা, আলপনার ডিজাইনকে ভেঙে অন্যভাবেও তারা উপস্থাপন করতে পারেন।
প্রতিযোগিতার এই সময়ে লোকজ মোটিফ ব্যবহার করে নতুনত্ব আনতে পারার মধ্যে শ্রেষ্ঠত্ব নিহিত। প্রাচ্য ও পাশ্চাত্য- দুটোকেই প্রাধান্য দিতে হয়। তবে প্রাচ্যকে প্রাধান্য দিয়ে পাশ্চাত্যের সংমিশ্রণ ঘটানো হলে তা হয়ে ওঠে এই অঞ্চলের ডিজাইনারের দক্ষতার চিহ্ন। কারণ, এতে করে জাতিগত স্বকীয়তা বজায় থাকে। যদিও এটা অনেকটাই নির্ভর করে ডিজাইনার বা ফ্যাশন হাউজগুলোর ওপর।
বাংলাদেশে নকশিকাঁথার চমৎকার নমুনা পাওয়া যায় ঊনবিংশ শতাব্দীতে- যশোর, খুলনা, ফরিদপুর ও বরিশাল জেলার বেশ কিছু গ্রামে। অন্যদিকে ভারতের পশ্চিম বাংলার হুগলি, বীরভুম এবং চব্বিশ পরগনায় পাওয়া যায়। কাঁথার মধ্যে ধৈর্য ও সৃষ্টিশীলতার সঙ্গে গ্রামীণ জীবনের চিত্র তারা তুলে ধরেন, যেমন গ্রামের হাটে শিশুদের মেলা, পুকুরে হাঁস, পদ্ম, ব্যাঙ আর সাপের দৃশ্য, কলসি কাঁখে রমণী, আরও কত কী! এই নকশিকাঁথার শিল্পকলা উঠে এসেছে শাড়িতে, কামিজে, ওড়নায়, চাদরে, সোফার কুশন কভারে।
বাংলার লোকজ মোটিফগুলোর মধ্যে রয়েছে লক্ষ্মীর সরা, টেপা পুতুল, কলকি, মাছ, হাতি, শঙ্খ, কলস, পদ্ম, তোতা পাখি। প্রতিটি আলাদা অর্থ বহন করে। বুঝিয়ে দেয় স্থানিক সংস্কৃতি, ধর্ম, রীতি ও প্রথা। দেবী লক্ষ্মীর আরাধনা করেই তৈরি করা হয় লক্ষ্মীর সরা। ১১০ বছর আগে আমতার সন্তোষ কুমার পালের হাত ধরে এই সরাশিল্পের শুরু হয়েছিল। গঙ্গার পাড়ে গঙ্গার মাটি দিয়ে তৈরি সেই চিত্রিত সরাই ছড়িয়ে পড়ে সারা বাংলায়।
মৃৎশিল্পের একটি উল্লেখযোগ্য অংশ টেপা পুতুল। টেপা পুতুলের পেছনে রয়েছে ফসল ধ্বংসকারী শত্রু নিধনের আকাঙ্ক্ষা, সংস্কার। আজও এমনটি তুলে ধরা হয় ভিন্ন প্রতীকী আবেদনে, রাজনীতির মতো গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে। সন্দ্বীপ বন্দ্যোপাধ্যায় তার ‘পট পুতুলের বাংলা’ (কলকাতা, ১৯৭৯) বইয়ে বলেছেন, বাংলার মাটির পুতুলকে লক্ষ্মণবেষ্টিত ইত্যাদি দিক দিয়ে বিচার করে মোটামুটি দুটি ভাগে ভাগ করা যায়। প্রতীকধর্মী বা সিম্বলিক আর বাস্তবধর্মী বা ন্যাচারালিস্টিক। প্রত্নতত্ত্বের মধ্যে পাওয়া পুতুলগুলোর প্রায় সবই প্রতীকধর্মী। এই পুতুলে কোনো ছাঁচ লাগে না। হাতে টেপা পুতুল হিসেবেই এর পরিচিতি।
কলকি ব্যবহৃত হয় পাতা ও গাছের প্রতীকী রূপে। ফ্যাশনে এর ব্যবহার সম্ভবত সবচেয়ে বেশি। বিভিন্ন মাধ্যমে, বিচিত্র আকারে।
হিন্দু মিথোলজিতে তোতা পাখি ভালোবাসার প্রতীক। এর ব্যবহার বেশি উড়িষ্যা ও গুজরাটে।
ময়ূর উর্বরতা, ক্ষমতা, ভালোবাসা ও পবিত্রতার প্রতীক।
শঙ্খ আশপাশের পরিবেশকে শুদ্ধ করে, শত্রু থেকে দূরে রাখে এমন বিশ্বাস রয়েছে। পদ্ম পবিত্রতা, শান্তি, মহাজাগতিক সংগীত এবং সম্পদের দেবী লক্ষ্মীর প্রতীক হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
হাতি জ্ঞান, শক্তি, উন্নতি, আভিজাত্য ও ইন্দ্রের বাহন হিসেবে প্রতীকায়িত। এভাবেই প্রতিটি লোকজ মোটিফের আলাদা অর্থ রয়েছে। এসবের উৎস গ্রামীণ মানুষের অনুভূতি, বিশ্বাস ও আকাঙ্ক্ষা। তবে বর্তমানে এগুলোর অর্থবহতার গুরুত্ব তেমন নেই। পোশাকে সৌন্দর্য সৃষ্টির প্রয়োজনে এসবের ব্যবহার ঘটছে।
বেশ কিছু ফ্যাশন হাউস গ্রামের মহিলাদের কাছ থেকে এসব ডিজাইন করিয়ে আনে। যাদের পেশা লোকজ মোটিফ নিয়ে কাজ করা। এই ধারা তারা বংশপরম্পরায় ধরে রেখেছেন। যদিও প্রশ্ন থেকে যায়, তাদের প্রাপ্য ন্যায্য পারিশ্রমিক তারা পান কি না। কোনো রকম প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা ছাড়াই তারা নিজেদের কল্পনার জগৎ থেকে বিভিন্ন রকম কাপড়ে ফুটিয়ে তোলেন মোটিফগুলো।
অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশে স্থানীয় কাপড়ের ও ডিজাইনের প্রচলন বেশি। কিন্তু পাশ্চাত্যের প্রভাবের কারণে লোকজ মোটিফগুলোতে নতুনত্ব আসেনি বললেই চলে। বাঙালিয়ানা অটুট রাখার পাশাপাশি কোনো ফিউশন যদি সৃষ্টি করা যেত, তবে আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে এদেশের স্বকীয়তা দেখানো অনেক সহজ হতো। বাংলাদেশে এখন একটা প্রথা চলছে যে জাতীয় উৎসবগুলোতে খুব বাঙালি হয়ে যাওয়া, বাকি সময়টাতে পাশ্চাত্যের বা আমাদের আশপাশের দেশগুলোর ফ্যাশন ফলো করা। এটাও ঠিক, সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে হয় সবাইকে। কিন্তু পোশাকে থাকতে হয় স্বকীয়তা, কৃষ্টি ও মূল্যবোধের প্রকাশ।
বিশ্বব্যাপী চলছে প্রতিযোগিতার ৫২ মাইক্রো সিজন। যার মানে হলো, একটি নতুন ডিজাইনের স্থায়িত্ব তিন দিন। প্রতিদিন আসছে নতুন ফ্যাশন, নতুন ধারা। সঙ্গে চলছে বিশ্বের বিখ্যাত ব্র্যান্ড, যেমন- শ্যানেল, বারবেরি, হারমেস, প্রাদা, ভারসাচি, গুচি ইত্যাদির ফ্যাশন ট্রেন্ড। প্রতিযোগিতায় এই হাউসগুলো সামনেই থাকছে প্রতিনিয়ত। নতুন নতুন কালেকশন নিয়ে। অন্যদিকে, অতিমাত্রায় উৎপাদনের চাপে হারিয়ে যাচ্ছে সৃষ্টিশীলতা। দেখা যায়, পুরোনো ফ্যাশন একটু নতুন হয়ে আসছে বাজারে। কারণ, সৃষ্টিশীল ও নান্দনিক কিছু করার জন্য যে ইনক্যুবেশন টাইম প্রয়োজন, সেটা ডিজাইনাররা পাচ্ছেন না। সেই হিসেবে বাংলাদেশ এবং আমাদের আশপাশের দেশগুলোতে পাশ্চাত্যের ফ্যাশন এলেও পুরোটা বাজার দখল করে নিতে পারেনি এখনো। এখানে রয়েছে বিভিন্ন রকমের কাপড়ের পাশাপাশি লোকজ মোটিফের ব্যবহার, যা শুরু হয়েছিল নব্বইয়ের দশকে, মধ্যবিত্ত ও নি¤œমধ্যবিত্ত শ্রেণির মধ্য থেকেই।
তাদেরই হাত ধরে শহুরে সমাজে চলে আসে আমাদের লোকজ মোটিফগুলো। খাবারের পাত্র থেকে শুরু করে পরিধেয় বস্ত্র, প্রায় সবকিছুতেই চোখে পড়ে আমাদের লোকজ মোটিফগুলো। বিভিন্ন উজ্জ্বল রঙের প্রয়োগে এসব হয়ে ওঠে প্রাণবন্ত। খুব সহজেই সবার নজর কাড়ে। বাংলাদেশের লোকজ মোটিফ নিয়ে করা বৈশাখের মঙ্গল শোভাযাত্রার বিশ্ব-স্বীকৃতি এই ধারাকে বেগবান করেছে। ফ্যাশনের আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে একদিন বাংলাদেশের মোটিফগুলো নিজস্ব জায়গা তৈরি করে নিতে পারবে- সে আশা অমূলক নয়।

ু উম্মে তানিয়া
মডেল : কারিশমা
মেকওভার : পারসোনা
ওয়্যারড্রোব: কে ক্রাফট, অঞ্জন’স
ছবি : সৈয়দ অয়ন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Back To Top