skip to Main Content

ফিচার I শাড়িতে সাবলীল

ফ্যাশনে শাড়ি কখনোই সেকেলে হয়নি। এটি যেমন বাসায় পরার, তেমনই দাওয়াতে যাওয়ার আবার ফরমালও। রোজকার অফিস, মিটিং প্রেজেন্টেশন পেরিয়ে দেশের বাইরে যেকোনো দাপ্তরিক কাজে পরিধেয় হতে পারে শাড়ি।
অফিসে জামদানি, টাঙ্গাইল, জর্জেট, তাঁত, সিল্ক, লিনেন, ক্রেপ ও কটন শাড়ির তুলনা চলে না। কর্মজীবী নারীর জন্য শাড়ির ম্যাটেরিয়াল হবে এমন, যেন তা কুঁচকে না যায়। রঙ হবে হালকা। অতি মাত্রায় এমবেলিশড শাড়ি না পরাই ভালো। অর্থাৎ, প্রফেশনাল লুক ঠিক রেখে শাড়ি নির্বাচন করা প্রয়োজন। উচ্চ পদে অধিষ্ঠিত অনেকেই কর্মক্ষেত্রে শাড়ি পরেন। তবে তরুণী কর্মজীবীরা শাড়ি পরে অফিস করতে তেমন একটা স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন না। এর কারণও মেলা। যেমন—সনাতনি ব্লাউজ শরীরকে পুরোপুরি আবৃত করে না। শাড়ি সামাল দিতেও হিমশিম খেতে হয় অনেককে। শাড়ি পরার এই বিপত্তি ও অস্বস্তি অজান্তেই বাদ সাধে কাজে।

তবে এর সমাধান সম্ভব। বরং একটু অদলবদল আর খানিকটা অ্যাকসেসরাইজ করে নিলে শাড়িও হয়ে উঠতে পারে প্রতিদিনকার স্বাচ্ছন্দ্য পরিধেয়। যেমন, সনাতনী ব্লাউজের বদলে পরে নেওয়া যেতে পারে সময়ের ট্রেন্ডি ডিজাইনের লম্বা টপ। কাট-প্যাটার্নে আধুনিক এ টপগুলো সেকেলে শাড়ি লুককে পাল্টে দিতে পারে নিমেষেই। দেখায় সাবলীল। সেই সঙ্গে সহজে পরা যায়। সামলানোর ঝামেলাও থাকে না। শাড়ির সঙ্গে যোগ হতে পারে বেল্টও। তাতে শাড়ি সামলে রাখার উদ্বেগ থাকবে না। এ ছাড়া বেল্ট থাকায় শরীরে সেট হয়ে থাকবে শাড়ি। ফলে এদিক-সেদিক যাওয়া কিংবা অফিসের কাজকর্ম সেরে নেওয়া যায় সচ্ছন্দে। বেল্ট বাদেও শাড়ির আঁচল সামলানোর উপায় আছে। সেফটিপিন। আঁচল টেনে প্লিট করে পিনআপ করলেই চলবে। শাড়ির সঙ্গে মানিয়ে যায় জ্যাকেটও। কনটেম্পরারি ডিজাইনের জ্যাকেট ক্ল্যাসিক শাড়ি সাজকে করে তুলবে আরও আকর্ষণীয়। পরা যেতে পারে কোট কিংবা ব্লেজার। তবে মাথায় রাখা চাই শাড়ির ম্যাটেরিয়াল আর রঙ মানানসই কিনা। তাতে ব্যক্তিত্ব যেন সুস্পষ্ট হয়ে ওঠে।

মডেল: মায়িশা ও এফা
শাড়ি: চন্দন
ব্লেজার ও টপ: আইকনিক ফ্যাশন গ্যারেজ
মেকওভার: পারসোনা
ছবি: সৈয়দ অয়ন

This Post Has One Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Back To Top