skip to Main Content

ফিচার I সেকেন্ডে সাফ

ক্লান্তি আমার ক্ষমা করো প্রভু কিংবা এখন অনেক রাত! দিন শেষে এমন সব অজুহাতে যখন ত্বক পরিষ্কার করা হয় না, তখনই বাড়ে বিপত্তি। বাজে ত্বকের বারোটা। কিছু বিকল্পে চটজলদি সব সমস্যার সমাধান

ব্রণ, অ্যাকনে কিংবা বুড়িয়ে যাওয়া। ফলাফলটা জানা। তারপরও মুখভর্তি মেকআপ পরিষ্কার না করেই ঘুমাতে চলে যান, এমন মানুষের সংখ্যা কম নয়। সম্প্রতি এক গবেষণায় জানা গেছে, দূষণের ফলে ত্বকের যে সমস্যা হয়, সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি একই মাত্রায় ক্ষতি করে। ফলাফল সুস্পষ্ট বলিরেখা আর হাইপারপিগমেন্টেশন। এ ছাড়া সারা দিন ধরে জমতে থাকা ব্যাকটেরিয়া আর ফ্রি র‌্যাডিকেল সন্ধ্যায় ত্বকের কোলাজেন ধ্বংসের মিশনে নেমে পড়ে। তাই ত্বক পরিষ্কার করা এত গুরুত্বপূর্ণ। দিন শেষে ক্লান্ত শরীরে কাজটা বিরক্তিকর মনে হয়। তাই অনেকেই বেছে নেন কেমিক্যালে ভরা ত্বক পরিষ্কারের সহজ অপশনগুলো। কিন্তু ভুলে গেলে চলবে না, নিয়মিত এসবের ব্যবহারেও ত্বকের বারোটা বাজতে পারে। আর্দ্রতা তো হারাবেই, ত্বক হারাবে স্বাভাবিক সৌন্দর্য। যারা মেকআপ রিমুভার, ওয়াইপস আর ওয়াশক্লথে অভ্যস্ত তাদের জানা জরুরি, পানি দিয়ে ভালোভাবে ত্বক পরিষ্কার না করে সপ্তাহে এক থেকে দুবারের বেশি এসব বিকল্পের ব্যবহার ত্বককে করে তুলবে ম্যাড়ম্যাড়ে, অনুজ্জ্বল। মসৃণতা হারিয়ে ত্বক হয়ে উঠবে খসখসে। ব্রণ আর র‌্যাশে ভরা। তাই যত যন্ত্রণাই হোক, ফেসওয়াশ দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলাই বেস্ট অপশন। তবে কিছু বিকল্পও আছে। যা নিরাপদেই পরিষ্কার করে তুলবে ত্বক।
মেকআপ রিমুভারের বদলে ক্লিনজিং অয়েল
তেল দিয়ে মেকআপ তুলতে হয়তো অনেকেরই অনীহা। কিন্তু কঠিন সব মেকআপ নিমেষেই মিলিয়ে যায় তেলে। ফলে ত্বক পরিষ্কারে এর থেকে সহজ ও কার্যকর উপায় আর হয় না।
আরগান থেকে সেসেমির মতো পরিপোষক সব তেলে তৈরি এসব ক্লিনজিং অয়েল চটজলদি ত্বক থেকে তুলে আনে ধুলা, ময়লা আর মেকআপ। ত্বককে শুষ্ক বা টান টান না করেই। ক্লিনজিং অয়েল ধুয়ে ফেলার পর ত্বক হয়ে ওঠে মাখনমসৃণ আর উজ্জ্বল। সাধারণত শুষ্ক আর মিশ্র ত্বকের জন্য সবচেয়ে উপযোগী এগুলো। তবে অ্যাকনের সমস্যা থাকলে এড়িয়ে যাওয়াই ভালো। শুকনো ত্বকে ব্যবহার করা হয় ক্লিনজিং অয়েল। মিনিটখানেক ম্যাসাজের পর ফোঁটা ফোঁটা পানি দিয়ে আবার ম্যাসাজ করতে হবে। তেল হালকা দুধের মতো টেক্সচার পেতে শুরু করবে। তারপর বেশি করে পানি দিয়ে ধুয়ে শুকিয়ে নিতে হবে।
ফেসওয়াইপের বদলে মাইসেলার ওয়াটার
ফেসওয়াইপ ব্যবহারে স্বচ্ছন্দ হলে অনায়াসেই এর বদলে বেছে নিতে পারেন মাইসেলার ওয়াটার। এতে মুখ পানি দিয়ে ধোয়ার ঝক্কি নেই। পানির মতো নন-ফোমিং এই সারফেন্ট দিয়ে পানি ছাড়াই যেখানে-সেখানে যখন-তখন সহজেই পরিষ্কার করে নেওয়া যায়। ব্যবহার করা যায় যেকোনো ধরনের ত্বকে। সহজ ব্যবহারযোগ্যতা আর কার্যকারিতার জন্য জনপ্রিয় সব মেকআপ আর্টিস্টের কাছেও দারুণ পছন্দের মাইসেলার ওয়াটার। ব্যবহার পদ্ধতিও একদম সহজ। কটন প্যাড এতে ভিজিয়ে নিয়ে মুখত্বক মুছে নিলেই চলবে। ফেসওয়াইপের মতো করেই।
ওয়াশক্লথের বদলে কঞ্জাক স্পঞ্জ
মডার্ন ডে ক্লিনজিং স্পঞ্জ বলা হয় একে। কার্যকর কিন্তু নিরাপদ। কঞ্জাক প্ল্যান্টের মূল দিয়ে তৈরি স্পঞ্জগুলো খুব নরম এবং দেখতে নেটের মতো। যা ত্বকের কোনো ক্ষতি না করেই মৃতকোষ সারাইয়ে সক্ষম। কিছু কিছু স্পঞ্জে ত্বকবান্ধব সব উপাদান, যেমন—অয়েল অ্যাবসরবিং চারকোল, গ্রিন টি আর লাইকোপেন মেলে। এগুলো ত্বক পরিষ্কার তো করেই, ক্ষতিও হতে দেয় না। প্রতিদিন ব্যবহারের জন্য উপযোগী হলেও সতর্কতা জরুরি। বেশি ঘষামাজা করা যাবে না। প্রথমে স্পঞ্জটাকে পানিতে ডুবিয়ে নরম করে নিতে হবে। চেপে অতিরিক্ত পানি বের করে নিয়ে, তাতে ক্লিনজার মাখিয়ে ম্যাসাজ করতে হবে ত্বকে। এর ন্যাচারাল ফাইবার প্রতিদিনকার এক্সফোলিয়েশনে সাহায্য করে। কিন্তু ত্বককে শুষ্ক কিংবা খসখসে হতে দেয় না।

 জাহেরা শিরীন
মডেল: লিন্ডা আয়শা
মেকওভার: পারসোনা
ছবি: সৈয়দ অয়ন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Back To Top