skip to Main Content

বাইট

শেরাটন ঢাকায় বর্ষবরণ

১৪২৬ বঙ্গাব্দকে বরণ করে নিতে ফোর পয়েন্টস বাই শেরাটন ঢাকা আয়োজন করে বাংলা বর্ষবরণ। বাংলার শিল্প, সংগীত, সাজসরঞ্জামে মেতে ওঠে পাঁচ তারকা হোটেলটি। ফোর পয়েন্টস বাই শেরাটনের র‌্যাপড ক্যাফে ও ওয়েসিস লাউঞ্জে আয়োজন করা হয় চটপটি-ফুচকা কর্নার, বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী নানা মিষ্টান্ন, পিঠাপুলিসহ ডেজার্টের স্টল। সারা দিন ধরে চলে নানান সাংস্কৃতিক ও বিনোদনমূলক অনুষ্ঠান। বছরের সূচনায় নারী যাতে নিজেকে সাজিয়ে নিতে পারেন, তার জন্য চলে মেহেদি উৎসব। এ ছাড়া ইটারি রেস্তোরাঁয় আয়োজন করা হয় ঐতিহ্যবাহী বাঙালি খাবারে মধ্যাহ্ন ও নৈশভোজ।

বাংলা খাবার উৎসব

কুকিং স্টার ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে ঢাকার একটি হোটেলে অনুষ্ঠিত হয় কিষোয়ান গুঁড়া মশলা নিবেদিত বাংলা খাবার উৎসব ১৪২৬। এতে উপস্থিত ছিলেন কুকিং স্টার ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মেহনাজ বিনতে বশির। প্রধান অতিথি ছিলেন আর কিউ এম ফোরকান, ফরেন্দ্রনাথ ওঝা, আরিফুল ইসলাম শামীম, মোহাম্মদ নিজামউদ্দিন জিটু, মোহাম্মদ আলী নূর, খালেদ সাইফুল্লাহ মাহমুদসহ অন্যরা। অনুষ্ঠানে রন্ধনশিল্পে বিশেষ অবদানের জন্য মাকসুদা শাফিউন্নেসা ও লাইজু নিপাকে সম্মাননা দেওয়া হয়। এ ছাড়া উদ্যোক্তা হিসেবে জুলিয়েটস জিল ফ্যাশনের স্বত্বাধিকারী ডিজাইনার জেসমিন কাউসারী জুলিয়েট এবং সাংবাদিকতায় গাজী মুনছুর আজিজকে সম্মাননা দেওয়া হয়। প্রতিযোগিতার প্রধান বিচারক ছিলেন পর্যটন করপোরেশনের ফুড অ্যান্ড বেভারেজ প্রোডাকশন বিভাগীয় প্রধান শেফ জাহিদা বেগম, রন্ধনশিল্পী মামুন চৌধুরী, মেহনাজ রহমান ও রুমানা রহমান। প্রোগ্রামটির পার্টনার নান্দনিক সলিউশন ও ডোনা মিডিয়া, ইনানী রয়েল রিসোর্ট, ক্যানভাস, রেডিও আমার, রেক্স ডিজিটাল।

টেস্টি টিবেতে ফ্রোজেন মমো

দেশের বাজারে প্রথমবারের মতো নেপালি মমো নিয়ে এসেছে টেস্টি টিবেত। এবার তাদের নতুন সংযোজন ফ্রোজেন মমো। সম্প্রতি প্রতিষ্ঠানটি ইন্টারন্যাশনাল ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির (আইডিসি) সঙ্গে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। টেস্টি টিবেতের মমো এখন মিলবে ঢাকার বিভিন্ন সুপারশপ এবং গ্রোসারি শপগুলোতে। চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন টেস্টি টিবেতের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাব্বির রহমান তানিম এবং আইডিসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক আশরাফ বিন তাজ।
ফ্রোজেন মমো বাজারে পাওয়া যাবে বিফ ও চিকেনের ২টি ভিন্ন স্বাদে। ৬ পিস, ১২ পিস ও ২৪ পিস— এই তিন ধরনের প্যাকেটে। টেস্টি টিবেতের সব আউটলেটসহ সুপারশপে মিলবে এই মমো। এ ছাড়া অনলাইন শপ চালডাল ডটকমে পাওয়া যাবে।

পাঙাশের পাউডার ও আচার

পাঙাশ মাছ থেকে পাউডার ও আচার তৈরি করেছেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদের অধ্যাপক ড. এ কে এম নওশাদ আলম ও তাঁর গবেষকেরা। দুটিই বেশ পুষ্টিগুণসমৃদ্ধ।
৯ এপ্রিল বিশ্ববিদ্যালয়ের মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদের ল্যাবরেটরিতে এক সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য দেন নওশাদ আলম। তিনি বলেন, ‘পাঙাশ মাছের দাম কম। এটি সহজলভ্যও। মাছের চর্বি ও আমিষকে জৈবিক প্রক্রিয়ায় সংরক্ষণের উপযোগী করে পাউডার ও আচার তৈরি করা হয়েছে। এ পাউডার দিয়ে মাছের ভর্তা, স্যুপ, নুডলস, খিচুড়িসহ বিভিন্ন বেকারি পণ্য তৈরি করা যাবে।’
তিন গ্রাম পাউডারের দাম পড়বে দেড় টাকা। এ পরিমাণ পাউডার দিয়ে ২৫০ মিলি পাঙাশ স্যুপ কিংবা ৮০ গ্রাম নুডলস তৈরি করা সম্ভব। এ পাউডারে ৪৫ ভাগ আমিষ, ৩২ ভাগ চর্বি, ১ ভাগ খনিজ ও ৯ ভাগ ফাইবার বিদ্যমান। এক কেজি ওজনের একটি পাঙাশ মাছ থেকে ২০০ থেকে ২৫০ গ্রাম পাউডার তৈরি সম্ভব বলে জানা গেছে।
পাঙাশের আচার সম্পর্কে নওশাদ আলম বলেন, ‘এ আচার শুকনা ও মচমচে। কক্ষ তাপমাত্রায় এক বছরের বেশি সময় ধরে সংরক্ষণ করা যাবে। এতে শতকরা ৩৭ ভাগ আমিষ, ২৮ ভাগ স্নেহ, ১৬ ভাগ খনিজ ও ১১ ভাগ ফাইবার আছে। এক কেজি পাঙাশ থেকে ৩৫০ গ্রাম আচার পাওয়া যায়, যা উৎপাদন করতে মোট ১২০ থেকে ১৫০ টাকা খরচ হয়। ৩৫০ গ্রাম আচার ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকায় বিক্রয় করা যাবে।’
নওশাদ আলম ও তাঁর গবেষক দল দুই বছর গবেষণা করে পাঙাশের পণ্য দুটি উৎপাদন করেছেন। শিগগিরই বাজারে পাওয়া যাবে বলে জানা গেছে।

রমাদান র‌্যাপসোডি

রমজান উপলক্ষে ফোর পয়েন্টস বাই শেরাটন ঢাকা সেজে উঠেছে আরব্য রূপকথায়। দ্য অ্যারাবিয়ান নাইটস থিমে সাজানো হয়েছে এবারের আয়োজন। অর্থাৎ পাঁচ তারকা হোটেলটির ইটারি এবং বিস্ট রেস্টুরেন্টে মাসজুড়ে থাকছে ইফতার ও রাতের খাবার।
প্রতিদিন সন্ধায় রেস্টুরেন্ট দুটিতে ভোজনরসিকেরা উপভোগ করতে পারবেন বাহারি সব স্টার্টার এবং মেইন কোর্স। স্টার্টার হিসেবে থাকছে হামাস, মিউটেবল, গ্রিক স্যালাড, ট্রপিক্যাল সি-ফুড স্যালাড, তন্দুরি চিকেন স্যালাডসহ অনেক কিছু। অ্যাপেটাইজার হিসেবে থাকছে হানাঘুগনি, প্রন টেম্পুরা, ফালাফেল, ভেজিটেবল পাকোড়া, এগ চপ ইত্যাদি। যারা স্যুপ খেতে ভালোবাসে, তাদের জন্য থাকছে থাই ক্লিয়ার চিকেন স্যুপ। বাড়তি আকর্ষণ হিসেবে থাকছে মাটন ও বিফ হালিম। মেইন কোর্সে থাকছে বিফ তেহারি, চিকেন তেহারি, চিকেন বিরিয়ানি, কিউজি রাইস উইথ নাট, পট রোস্ট বিফ রিব আই, আফগানি চিকেন টিক্কা, চিকেন শিশ তোয়াক, মাটন রোগান জোশ, মুরগি লাজিজ, টিক্কা পাস্তা ইত্যাদি।
বিশেষ আকর্ষণ হিসেবে থাকছে লাইভ স্টেশন কর্নার। যেখানে পাওয়া যাবে মসলাদার বিফ নেহারি, গার্লিক নান, বাটার নান, চিকেন শর্মা। এ ছাড়া ডেজার্ট হিসেবে থাকছে বাকলাভা আল সারাইয়া, পিস্তাচিয় ক্রিম বরুলে, বাসবুসা, কুনাফা, কাতায়েব ইত্যাদি। এই আয়োজন উপভোগ করতে জনপ্রতি খরচ করতে হবে ৪ হাজার ৯৯৯ টাকা।

স্প্রিরিট অব রামাদান

চলছে রোজার মাস। অ্যারাবিক, লেবানিজ ও আন্তর্জাতিকভাবে প্রসিদ্ধ খাবারের বুফে ইফতারের সমারোহে মাসব্যাপী প্রস্তুত হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল। বিভিন্ন রকম খেজুর ও ফল, হামাস, বাবা গানুশ ও পিটা ব্রেড এতে থাকছে।
একই মেনু ইফতারকে একঘেয়ে করে তুলবে না। পরিবর্তিত হবে মেনু চার্ট। এই গরমে ইফতারে তৃষ্ণা দূর করতে থাকছে মিন্ট লেমনেড, আপেল ও কমলার জুস, ঐতিহ্যবাহী মিষ্টি। সল্টেড লাচ্ছিও আছে। আরও রয়েছে পিৎজা, পাস্তা ও শর্মা।
কাজী ভাতের সঙ্গে হোল ল্যাম্ব থাকবে কার্ভিং স্টেশনে। পাওয়া যাবে হার্ব গ্রিলড চিকেন, ল্যাম্ব উইথ ওক্রা এবং মাটন রোগান জোশ। মিক্সড গ্রিলের মধ্যে থাকবে বিফ লতা কাবাব, মাটন শিক কাবাব, বিফ বটি কাবাব ইত্যাদি। গরম অ্যাপেটাইজার হিসেবে পাবেন চানা ঘগনি, বেগুনি, মসলাদার আলুর চপ, বিফ জালি কাবাবসহ আরও বেশ কিছু পদ। মিষ্টি পদের মধ্যে ফরাসি প্যাস্ট্রি, কেক, আরব্য মিষ্টি ও ফল মিলবে। পাশাপাশি থাকবে ঐতিহ্যবাহী আরব্য ডেজার্ট উম-আলী। এ ছাড়া থাকবে স্যাফরন জিলাপি। ইফতারের এই আয়োজন চলবে প্রতিদিন রাত ৮টা পর্যন্ত। মাথাপিছু ৪ হাজার ৫০০ টাকা খরচ পড়বে এক দিনের ইফতারে। কিছু ব্যাংকের নির্দিষ্ট কিছু কার্ডের ক্ষেত্রে ‘বাই ওয়ান গেট ওয়ান’ অফার থাকবে।
ইফতার ছাড়াও বৃহস্পতি ও শুক্রবার রাতে সেহরির ব্যবস্থাও রাখা হয়েছে। এ জন্য রয়েছে চমৎকার পরিবেশ। ইংলিশ ব্রেকফাস্ট ছাড়াও বিভিন্ন প্রকারের স্বাস্থ্যকর ও সুস্বাদু পদ থাকবে। রাত সাড়ে ১২টা থেকে শুরু করে ফজরের আজান পর্যন্ত চলবে সেহরি। এক দিনের সেহরির জন্য মাথাপিছু খরচ পড়বে ৩ হাজার টাকা। এ ক্ষেত্রে কিছু ব্যাংকের নির্দিষ্ট কিছু কার্ডের জন্য ‘বাই ওয়ান গেট ওয়ান’ অফার থাকবে।
করপোরেট বা পরিবারসহ ইফতার কিংবা সেহরির ব্যবস্থাও রেখেছে ইন্টারকন্টিনেন্টাল। সাত-আট প্রকারের পদ থাকবে করপোরেট বা পারিবারিক ইফতার ও সেহরিতে। প্রায় ২০০ ব্যক্তি নিয়ে একটি করপোরেট ইফতার বা সেহরি করার ব্যবস্থা আছে।

এসেন্স অব অ্যারাবিয়া

এই রমজানে র‌্যাডিসন ব্লু ঢাকা ওয়াটার গার্ডেন আয়োজন করছে ‘এসেন্স অব অ্যারাবিয়া’। পাঁচ তারকা হোটেলটির উৎসব মিলনায়তনে মাসজুড়ে থাকবে আরবের ইফতার। ফলে ঢাকাতেই পাওয়া যাবে উটের মাংস, মধ্যপ্রাচ্যের খেজুর, মিষ্টি, শরবতসহ অনেক কিছু। ইফতারের বুফেতে থাকবে আরবের উজি থেকে শুরু করে খুসখুস, হামাস, বিভিন্ন রঙের শরবত, মিষ্টান্নসহ নানান স্বাদের খাবার। মিষ্টির মধ্যে উম আলী, বাসবুসা, কুনাফা, আইস-এল-সরায়া আর বাবা গানুস ও ৩০ রকমের বেশি জাতের খেজুর মিলবে। আরও থাকছে উটের মাংস দিয়ে বানানো কয়েকটি খাবার।
র‌্যাডিসন ব্লুতে ইফতার করতে আসা অতিথির জন্য রয়েছে আকর্ষণীয় পুরস্কার জেতার সুযোগ। প্রথম পুরস্কার তুরস্কের ঐতিহাসিক শহর ইস্তাম্বুলে যাওয়ার জন্য টার্কিশ এয়ারলাইনসের দুটি রিটার্ন টিকিট। দ্বিতীয় পুরস্কার র‌্যাডিসন ব্লু ঢাকা ওয়াটার গার্ডেনে সঙ্গীসহ এক রাত থাকার সুযোগ। তৃতীয় পুরস্কার পরিবারের জন্য ডিনার বুফেসহ আরও অনেক পুরস্কার। র‌্যাডিসন ব্লু ঢাকা ওয়াটার গার্ডেনে রয়েছে আরবের ইফতার। র‌্যাডিসনে ইফতার কিংবা ডিনারের দাম জনপ্রতি ৩ হাজার ৯০০ টাকা। তবে ৪ থেকে ১০ বছরের শিশুদের জন্য বুফে খাবারের মূল্য পড়বে ১ হাজার ৯০০ টাকা। বিভিন্ন ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারকারীদের জন্য রয়েছে একটি কিনলে একটি ফ্রি অফার।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Back To Top