skip to Main Content

বাইট

প্রথম ট্রান্সজেন্ডার প্রতিযোগী

বিশ্বজুড়ে সৌন্দর্যের যে ছক, তা ভাঙছে প্রতিদিনই। ব্র্যান্ড থেকে শুরু করে সৌন্দর্যের সঙ্গে জড়িত গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্বরা প্রতিদিনই মদদ দিচ্ছেন, জোগাচ্ছেন অনুপ্রেরণা। সম্প্রতি বদল ঘটেছে সৌন্দর্য প্রতিযোগিতার মঞ্চে। ফলাফল- ইতিহাসে প্রথমবারের মতো আন্তর্জাতিক সৌন্দর্য প্রতিযোগিতার মঞ্চে অংশ নিতে যাচ্ছেন একজন ট্রান্সজেন্ডার ফাইনালিস্ট। অ্যাঞ্জেলা পোন্স, ২৬ বছর বয়সী এ হিস্পানি তরুণী জিতেছেন মিস ইউনিভার্স স্পেনের খেতাব। মোট ২২ জন প্রতিযোগীকে পেছনে ফেলে মুকুট উঠেছে অ্যাঞ্জেলার মাথায়। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম সিএনএনের মতে, ২০১২ সালের আগে ‘মিস ইউনিভার্স’ প্রতিযোগিতায় ট্রান্সজেন্ডার প্রতিযোগীদের অংশগ্রহণে নিষেধাজ্ঞা ছিল। পরে মিস ইউনিভার্স কানাডা জেনা তালাককোভার একটি আইনি পদক্ষেপ পাল্টে দেয় পুরো চিত্র। জন্মগতভাবে নারী না হয়ে জন্মানোর জন্য প্রতিযোগিতা থেকে বাদ পড়ে যান জেনা। মামলা ঠুকে দেন প্রতিযোগিতার বিরুদ্ধে। জিতেও যান। এরপর থেকেই ট্রান্সজেন্ডার প্রতিযোগীরা অবাধে অংশ নিতে পারেন মিস ইউনিভার্সের মঞ্চে। তবে এবারই প্রথম প্রাদেশিক পর্যায়ে মুকুট গেছে ট্রান্সজেন্ডার প্রতিযোগীর মাথায়।

চুমুতে চমৎকার

তেল কিংবা প্যাস্টেল রঙে নয়, তিনি পোর্ট্রেট আর স্টিল লাইফ ফুটিয়ে তোলেন লিপস্টিকের রঙে। তা-ও আবার ক্যানভাসে চুমু খেয়ে। ফ্লোরিডা বেসড এ চিত্রশিল্পীর নাম এলেক্সিস ফ্রেজার। তবে বিশ্বব্যাপী পরিচিত ‘লিপস্টিক লেক্স’ নামে। ইনস্টাগ্রামের বদৌলতে। শুরুতে প্রচলিত পদ্ধতিতেই ছবি আঁকতেন তিনি। ২০১২ তে সনাতন প্রক্রিয়ার বাইরে গিয়ে ছবি আঁকার একটি প্রকল্প দেওয়া হয় ফ্রেজারকে। বিষয়বস্তু মেরিলিন মনরো। ক্ল্যাসিক হলিউড পিরিয়ডের জনপ্রিয় সেক্স সিম্বল। তার কথা চিন্তা করতে গিয়েই লিপস্টিক দিয়ে কিস প্রিন্ট করে ছবি আঁকার কথা মাথায় খেলে ফ্রেজারের। সেই থেকে শুরু। প্রতিটি ছবি তিনি শুরু করেন হালকা স্কেচিং দিয়ে। তারপর রঙ বাছাইয়ের কাজ সেরে শুরু হয় চুমুতে ছবি ফুটিয়ে তোলার প্রক্রিয়া। এ ক্ষেত্রে তার পছন্দের লিপস্টিক ব্র্র্যান্ডগুলোই বেছে নেন ফ্রেজার। তালিকায় আছে এনওয়াইএক্স, ম্যাক আর কেট ফন ডি এর নাম। গেল মাসে সাউথ চায়নার হংকংয়ে তার তৈরি চিত্রকর্মগুলো নিয়ে একটি একক প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়। ২২টি ছবি নিয়ে। যেগুলোর মধ্যে ‘ভিক্টোরিয়া হারবার সানসেট’ নামের কাজটি সবচেয়ে বেশি প্রশংসিত হয়। প্রায় দশ হাজার চুমুতে তৈরি ছবিটি ফ্রেজারের সবচেয়ে বড় কিস প্রিন্ট আর্ট।

আলোয় ভুবন ভরা

সৌন্দর্যবিশ্বে আলোর ব্যবহার এখন অহরহ। হাই এন্ড বিউটি স্যালন আর ক্লিনিকগুলোতে লাইট থেরাপি টেকনোলজির সুবিধা তাই মিলে যায় সহজেই। তবে এই প্রযুক্তিতে যুগান্তকারী পরিবর্তন ঘটেছে সম্প্রতি। বিউটি কোম্পানি এবং ব্র্যান্ডগুলো অ্যাট হোম লাইট কিট তৈরি শুরু করেছে। ফলে বাজারে মিলছে এলইডি লাইট মাস্ক। যা বাসাতেই দিচ্ছে হাই এন্ড স্কিন ট্রিটমেন্টের ফল। চটজলদি। সাধারণত তিন ধরনের লাইটের ব্যবহার হয় এ মাস্কগুলোতে। আলোর রঙ ভেদে পাল্টে যায় কার্যকারিতাও। লাল আলো ব্যবহৃত হয় বলিরেখা রোধে। নীল আলো ব্রণ বাড়তে দেয় না। আর সবুজ আলো সূর্যের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত ত্বকের বুড়িয়ে যাওয়া ভাব রোধ করে, বিবর্ণতা সারাইয়ে সাহায্য করে। মাস্কগুলোর আকারেও বিভিন্নতা দেখা যায়। এলইডি টেকনোলজিতে তৈরি এ মাস্কগুলোর সবচেয়ে বড় সুবিধা হচ্ছে এগুলো ব্যথা দেয় না। কোনো ধরনের কাটাছেঁড়া ছাড়াই ত্বককে সুন্দর করে তোলে। ফলে এগুলো ব্যবহারের পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। এমনকি পল পগবার মতো তারকা ফুটবলার থেকে শুরু করে জেসিকা আলবা, কার্টনে কার্দাশিয়ান আর কেট হাডসনের মতো সেলিব্রিটিরাও মজেছেন এসব এলইডি মাস্কে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Back To Top