skip to Main Content

বিউটি সার্ভিস I স্পা অরেঞ্জ ফেশিয়াল

স্বাস্থ্য সুরক্ষায় তো বটেই, সৌন্দর্যচর্চায়ও কমলার গুণপনার শেষ নেই। ভিটামিন সিতে পরিপূর্ণ হওয়ায় প্রাকৃতিকভাবেই এর ব্যবহার ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায়। পাশাপাশি কোলাজেন ও ইলাস্টিনের উৎপাদনের মাত্রা বাড়িয়ে ত্বককে দেখায় তারুণ্যদীপ্ত। কমায় অতিরিক্ত তেলে ভাব, বাড়ায় আর্দ্রতা। ফলে ত্বক হয় কোমল, মসৃণ। দাগছোপ দূরীকরণেও কমলা অব্যর্থ। হোক তা রোদে পোড়া কিংবা ব্রণের। দারুণ ব্যাপার হচ্ছে, এই ফল দিয়েই তৈরি হচ্ছে বিশেষায়িত সব স্কিন কেয়ার ট্রিটমেন্ট। যেমন স্পা অরেঞ্জ ফেশিয়াল। স্পার বিশেষ পরিচর্যার পাশাপাশি এর সঙ্গে যোগ হচ্ছে কমলার সব ফায়দা। তবে সব ধরনের ত্বকে এটা ব্যবহারযোগ্য নয়। র‌্যাশযুক্ত শুষ্ক ত্বকে এই ফেশিয়াল একদম মানা। কারণ, এতে শুষ্কতা আরও বাড়বে। র‌্যাশের জ্বালাপোড়াও বেড়ে যেতে পারে। তৈলাক্ত ত্বকের অধিকারীরা অনায়াসেই করিয়ে নিতে পারেন ফেশিয়ালটি। স্বাভাবিক ত্বকের জন্যও সমান কার্যকর স্পা অরেঞ্জ ফেশিয়াল। এর মূল কাজ ত্বকের সানবার্ন সারানো, ব্রাইটনেস বাড়ানো আর দাগছোপ সারাই। সঙ্গে ত্বকের পূর্ণ সুস্থতা রক্ষায়ও স্পা অরেঞ্জ ফেশিয়াল দারুণ।
ফেশিয়ালের শুরুতেই দেওয়া হয় বিশেষায়িত ম্যাসাজ। মুখ, মাথাসহ শরীরের উপরের অংশে রিল্যাক্সিং ম্যাসাজ দিয়ে শুরু হয় এটি। এ প্রক্রিয়া চলে গ্লাইডিং, নিডিং আর ফ্রিকশনের স্ট্রোকে বিভিন্ন মাত্রার চাপ প্রয়োগ করেই। মিনিট পাঁচেকের এই ম্যাসাজ পুরো শরীরের ক্লান্তি দূর করে। সঙ্গে ফেশিয়ালের জন্যও প্রস্তুত করে নেয় ত্বককে। তারপর শুরু হয় পরিষ্কারের প্রক্রিয়া। বিশেষ ধরনের ক্লিনজার দিয়ে মিনিট পাঁচেক ম্যাসাজ করা হয়। যা ত্বকের গভীর থেকে তেল, ময়লা আর দূষণ দূর করে। এর পরপরই ফেশিয়ালের জন্য উপযোগী করে তৈরি কফি ফ্লেবারড স্ক্রাব ব্যবহার করা হয়। এটি রক্তসঞ্চালন বাড়ায়, করে তোলে দাগছোপমুক্ত। কফিতে থাকা অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ত্বকের টক্সিন দূর করতে সক্ষম। ক্লিনজিং আর স্ক্রাবিংয়ের পরপরই ব্ল্যাক হেডস রিমুভিংয়ের মাধ্যমে পরবর্তী ধাপগুলোর জন্য প্রস্তুত হয় ত্বক। তারপর ম্যাসাজ ক্রিম দিয়ে চলে মিনিট দশেকের ম্যাসাজ। টোনার দেওয়া হয় এর পরপরই। মুখে দেওয়া হয় ওজন মেশিন। এর ফলে ত্বকের রক্তকোষগুলোতে অক্সিজেনের চলাচল বাড়ে। রক্তসঞ্চালন বৃদ্ধি পায়। ফলে ত্বক হয়ে ওঠে স্বাস্থ্যোজ্জ্বল। তারপর দেওয়া হয় ফেস মাস্ক। ডাবল মাস্ক ব্যবহার করা হয় স্পা অরেঞ্জ ফেশিয়ালে। প্রথমটা কোল্ড মাস্ক। যা রোদে পোড়া ত্বকের জ্বালাপোড়া কমায়। লোমকূপগুলোর বাড়তি যত্নেও এ মাস্ক দারুণ। মিনিট বিশেক এই মাস্ক ত্বকে রাখার পর শুকিয়ে গেলে তা উঠিয়ে দেওয়া হয় আরেকটি প্যাক। ভিটামিন সি সমৃদ্ধ এ মাস্ক ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায় চটজলদি। দাগছোপ আর রোদে পোড়ার চিহ্নও সারায়। ফলে ত্বক দেখায় খুঁতমুক্ত। পুরো মুখে আবার টোনার মাখিয়ে শেষ করা হয় ফেশিয়াল। ঘণ্টা দেড়েক সময় হাতে নিয়ে যেতে হবে পুরো ফেশিয়াল করাতে। বোনাস হিসেবে এর সঙ্গে থাকছে হাত-পা আর ব্যাক স্ক্রাবিংয়ের সুযোগ। ২ হাজার ২০০ টাকা খরচ হতে পারে ফেশিয়ালটি করাতে।

 জাহেরা শিরীন
মডেল: হীরা
মেকওভার: পারসোনা
ছবি: ক্যানভাস

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Back To Top