skip to Main Content

ব্লগার’স ডায়েরি I মি লে নি য়া ল

মিলেনিয়াল বা ওয়াই জেনারেশন। এককথায় ১৯৮০ থেকে ২০০০ সাল- এই সময়ে যারা জন্মেছে, তাদের এই জেনারেশনের ধরা হয়। কিন্তু এ নিয়েও ইতিহাসবিদদের মধ্যে রয়েছে দ্বিমত। টার্মটি গবেষক নিল হাউ ও উইলিয়াম স্ট্রাউস প্রথম ব্যবহার করেন। মিলেনিয়াল প্রজন্মের অস্তিত্ব ১৯৮২ থেকে ২০০৪ সালের মধ্যেই। গবেষণা অনুযায়ী, এই প্রজন্মের কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো ডিজিটাল জ্ঞান। তবে মানবিক গুণাবলি অর্জনেও যত্নশীল এই প্রজন্ম। আবার অনেক ইতিহাসবিদ ১৯৭০-এর মাঝামাঝি থেকে শুরু করে ১৯৯০ সালের আগের প্রজন্মকে জেনারেশন ওয়াই হিসেবে চিহ্নিত করেছেন। অন্তর্র্বর্তীকালীন একটি প্রজন্ম হিসেবে একে ধরা হয়। কারণ, তারা জেনারেশন এক্সের মতো হতে পারেনি, আবার মিলেনিয়াল প্রজন্মের সঙ্গেও খাপ খাওয়াতে পারেনি। মত দ্বিমত যা-ই থাকুক, মিলেনিয়াল জেনারেশনকে গুরুত্বের সঙ্গেই পর্যবেক্ষণ করেছেন গবেষকেরা। বলা হয় প্রযুক্তি এবং মিলেনিয়াল জেনারেশন পাশাপাশি বেড়ে উঠেছে। এই সময়ে পুরো পৃথিবীর আর্থসামাজিক, রাজনৈতিক নানা প্রেক্ষাপটে জন্ম নিয়েছে নতুন কিছু চিন্তা। এসবের প্রভাব পড়েছে মিলেনিয়াল জেনারেশনের জীবনযাপন, পোশাক-পরিচ্ছদ আর আচার-আচরণে। এককথায় বলতে গেলে নতুন এক লাইফস্টাইলে বেড়ে উঠেছে তারা। তাদের অভিব্যক্তি সীমানা ছাড়িয়েছে। বিশেষত ফ্যাশনে। বলা যায় মিলেনিয়াল জেনারেশনেই ফ্যাশন দেশের গন্ডি পেরিয়েছে এবং আজও এর প্রভাব দেখা যায়। কেননা ২০১৮ তে এসে আমি নিজের স্টাইল স্টেটমেন্টে মিলেনিয়াল ফ্যাশনেরই প্রতিচ্ছবি দেখতে পাই। অনেক ক্ষেত্রে হয়তো ফ্যাশনের ধারা কিছুটা ম্লান হয়েছে, কিন্তু সে সময়ের স্টাইল আজও প্রাণবন্ত।
আমি মনে করি, ফ্যাশন সব সময়ই ওভাররেটেড। আমার কাছে এটি আর্ট, পোশাকের মাধ্যমে নিজের অভিব্যক্তি প্রকাশের আর্ট। এই প্রকাশভঙ্গি হয়তো সবাই বুঝবে না। সবার বোঝার প্রয়োজনও নেই। মিলেনিয়াল ফ্যাশন আমাদের শিখিয়েছে, কীভাবে নিজের স্টাইল স্টেটমেন্ট তৈরি করতে হয়। শুধু ব্র্যান্ডের সুন্দর কিছু পোশাক গায়ে জড়ালেই ফ্যাশনেবল হওয়া যায় না। এর জন্য প্রয়োজন নিজের ব্যক্তিত্ব আর অভিব্যক্তির সঠিক প্রকাশ। একসময় পোশাকে রঙের ব্যবহারে নানা ধরনের বাধ্যবাধকতা দেখা যেত। মিলেনিয়াল জেনারেশনে এই ধরাবাঁধা নিয়ম থেকে বেরিয়ে আসেন ডিজাইনাররা। যার প্রভাব পরবর্তী জেনারেশনে আরও ব্যাপক। রঙের ব্যবহারে এখন মানা হয় না কোনো নিয়ম। শুধু পোশাকে নয়, সবকিছুতেই প্রয়োগ করা হচ্ছে যেকোনো ধরনের রঙ। যেমন পিংক কালার ছেলে-মেয়ে উভয়েরই শার্ট, টি-শার্ট থেকে শুরু করে চুলেও দেখা যায়।
মিলেনিয়াল জেনারেশনে শপিংয়ের ধারণায়ও এসেছে পরিবর্তন। শুধু ট্রেন্ডি থাকার জন্য পোশাক কেনা নয়। অ্যাপারেল ম্যানুফ্যাকচারিংয়ের ক্ষেত্রে নৈতিক অনেক পরিবর্তন এসেছে এই সময়ে।

 নিহাদ হক

Facebook: Nihad Haque
Instagram: nihadhaque

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Back To Top