skip to Main Content

রসনাবিলাস I রসনার পঞ্চতন্ত্র

ঢাকায় পুনর্যাত্রা ইন্টারকন্টিনেন্টালের। নতুন অন্দরবিন্যাস, স্বাদ আর সেবাসমেত। নস্টালজিয়া তো রয়েইছে। এর রসনাজগতের আদ্যন্ত তুলে এনেছেন সামীউর রহমান

প্রাচীন গ্রিক দর্শন বলে, এই পৃথিবীর সবকিছু আসলে পাঁচটা মূল উপাদান দিয়ে তৈরি। জল, মাটি, অগ্নি, বায়ু আর আকাশ। প্রাচীন ভারতের বৈদিক বিশ্বাস বলে, এই মহাজগৎ আসলে অব, পৃথ্বি, অগ্নি, বায়ু ও অক্ষ— এই পাঁচ ভৌত উপাদান দিয়ে তৈরি, যাকে বলে পঞ্চভূত। স্বাদও মূলত পাঁচ রকম; টক, ঝাল, নোনতা, মিষ্টি আর উমামি। মানুষের ইন্দ্রিয় পাঁচটি— যেগুলোর একটি হলো জিভ, যা স্বাদ গ্রহণের জন্যই। হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল সম্ভবত এই পাঁচের জাদুকরি প্রভাব ধরে রাখতে চেষ্টা করেছে এরই এলিমেন্টস রেস্তোরাঁয়। তাই এখানকার রসনাসম্ভারে পাঁচটি ভিন্ন স্বাদঘরানাকে আনা হয়েছে এক ছাদের তলায়!
এই পাললিক বদ্বীপ যখন পূর্ব পাকিস্তান নামে পরিচিত ছিল, আর রাজধানীর বানানটা যখন ছিল ‘ড্যাকা’, তখন এখানে যাত্রা শুরু হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালের। ১৯৬৬ সালে। প্রথম পাঁচ তারকা হোটেল হিসেবে। ১৯৭০-এর নির্বাচন থেকে ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের অনেক স্মৃতিই জড়িয়ে আছে এই হোটেলের সঙ্গে। এখানে থেকেই ২৫ মার্চের গণহত্যার ছবি ও সংবাদ ধারণ করেছিলেন বিদেশি সাংবাদিকেরা। মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তান সরকার যখন বিদেশি কূটনীতিক ও বিশ্বব্যাংকের প্রতিনিধিদের বোঝানোর চেষ্টা করছিল যে ঢাকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক, তখন ক্র্যাক প্লাটুনের গেরিলারা হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে গ্রেনেড হামলা করে বুঝিয়ে দিয়ে যান, যুদ্ধ চলছে দেশে। এভাবেই ‘অপারেশন ইন্টারকন্টিনেন্টাল’ হয়ে ওঠে মুক্তিযুদ্ধে গেরিলা অপারেশনের এক উজ্জ্বল অধ্যায়।
১৯৮৩ সালে ঢাকাকে বিদায় জানায় ইন্টারকন্টিনেন্টাল। এরপর হোটেলটির পরিচালনার ভার পায় স্টারউড গ্রুপ, যারা ‘ঢাকা শেরাটন’ নামে হোটেলটি পরিচালনা করে ২০১১ সাল পর্যন্ত। এরপর কিছুদিন বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের অধীনে রূপসী বাংলা নামে পরিচালিত হয়। ২০১২ সালে হোটেলটির মালিক প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ সার্ভিস লিমিটেড ৩০ বছর মেয়াদি চুক্তি করে ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলস গ্রুপের (আইএইচজি) সঙ্গে। প্রায় ৬২০ কোটি টাকা ব্যয়ে হোটেলের অন্দরসজ্জা ও সেবায় নানা রকম পরিবর্তন আনার পর গত বছরের ১৩ সেপ্টেম্বর ঢাকায় পুনর্যাত্রা শুরু করে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল। স্মৃতিবিজড়িত এই হোটেলের নতুন পথচলার উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সময়ের সঙ্গে বদলে গেছে অনেক কিছুই। বাইরে থেকে বদলের পুরোটা চোখে না পড়লেও ভেতরে পা ফেলতেই বোঝা গেল, শাড়ি পরা বাঙালি ললনা থেকে অফ শোল্ডার ইভনিং ড্রেসের আধুনিকা হয়ে উঠেছে ১ নম্বর মিন্টো রোডের এই ঠিকানা। প্রবেশপথ, অভ্যর্থনা— সবই বদলে গেছে। মূল লবির জায়গায় এখন কফিশপ ‘ক্যাফে সোশ্যাল’। যেখানে ছিল মার্বেল রুম, সেখানটাতেই পঞ্চরসনার পসরা সাজিয়ে অপেক্ষা করছে ‘এলিমেন্টস’, ইন্টারকন্টিনেন্টালের অল ডে ডাইনিং। বিদায় নিয়েছে ‘বীথিকা রেস্টুরেন্ট’। শেরাটনের চাম্বেলি বারেই গান গেয়ে উত্থান বাংলাদেশের বিখ্যাত ব্যান্ড মাইলসের। সেই চামেলিও হারিয়ে গেছে; এখন পানশালার নাম দেওয়া হয়েছে ‘ওপাস’। নিচতলার সুইমিংপুলটাও নেই, নিয়ে যাওয়া হয়েছে ওপরে, নতুন নামকরণ হয়েছে ‘অ্যাকুয়া ডেক’। যেখানে আছে সুইমিংপুল, পুলসাইড রেস্টুরেন্ট ও ¯পা। জায়গা হয়নি টেনিস কোর্টের। ষাটের দশকে, এই হোটেল চালুর সময় থেকেই লন টেনিস কোর্ট ছিল। হোটেলের অতিথিরা খেলতেন, টেনিস প্রশিক্ষক হিসেবে কাজ করতে করতে এই টেনিস কোর্ট থেকেই বাংলাদেশ পেয়েছে বেশ কজন টেনিস খেলোয়াড়কে। নতুন রূপে আসা ইন্টারকন্টিনেন্টাল ছেঁটে ফেলেছে লন টেনিসের ঐতিহ্যকে।
পরিবর্তনের স্রোতে সবই কি তাহলে হারিয়ে যাওয়ার গল্প? মোটেও নয়। প্রকৃতির নিয়ম মেনেই হয়েছে সংযোজন আর বিয়োজন। পরিসরে বেড়েছে সাবেক উইন্টার গার্ডেন, নাম দেওয়া হয়েছে রূপসী বাংলা গ্র্যান্ড বলরুম। পরিসর বেড়েছে কক্ষের, ২৬ বর্গমিটারের কক্ষগুলোকে বড় করে দেওয়া হয়েছে ৪০ বর্গমিটারের আকৃতি। এতে অবশ্য কমে গেছে অতিথি ধারণের পরিসর, ২৭২ থেকে কক্ষসংখ্যা কমে হয়েছে ২৩১। লেগেছে উন্নততর প্রযুক্তির ছোঁয়া। আইএইচজির অধীনে থাকা ব্র্যান্ডগুলোর ভেতর ইন্টারকন্টিনেন্টাল হচ্ছে সবচেয়ে বিলাসবহুল ব্র্যান্ড। তাই কক্ষসংখ্যা কমলেও বেড়েছে সুযোগ-সুবিধা; আর আতিথেয়তার মান হয়েছে আরও উন্নত।
ইন্টারকন্টিনেন্টাল ঢাকার মার্কেটিং অ্যান্ড বিজনেস প্রমোশনস বিভাগের পরিচালক সাহিদুস সাদিক জানালেন, অন্দরসজ্জা আর ব্যবস্থাপনায় পরিবর্তন এলেও হেঁশেলে বড় কোনো পরিবর্তন আসেনি। ‘বীথিকা’ ও ‘দ্য ভিনটেজ’ রেস্তোরাঁয় যাদের হাতের সুখাদ্য ঢাকার ভোজনরসিকেরা চেখে দেখার সুযোগ পেয়েছেন, তারাই সামলাচ্ছেন ‘এলিমেন্টস’। সাদিকের কনিষ্ঠা সহকর্মী ফাইকা ফারিয়াও যোগ করলেন, শেরাটনের পেস্ট্রির একটা সুনাম ছিল। ইন্টারকন্টিনেন্টালেও সেই সুনাম ধরে রাখার চেষ্টা করা হচ্ছে, সঙ্গে থাকছে আরও নতুন নতুন ডেলিকেসি।
শুরুতেই যে পঞ্চতন্ত্রের কথা বলেছিলাম, নতুন চালু করা ইন্টারকন্টিনেন্টালে ‘ফুড অ্যান্ড বেভারেজ’ আউটলেট পাঁচটি। কফিশপ ক্যাফে সোশ্যাল, অল ডে ডাইনিং এলিমেন্টস, ওপাস লাউঞ্জ অ্যান্ড বার, পুলসাইড জুস, ফাস্ট ফুড অ্যান্ড স্যালাড বার ‘অ্যাকুয়াডেক’। স্টেক আর সামুদ্রিক খাবারের স্বাদ নিয়ে ‘অ্যাম্বার রুম’ রেস্টুরেন্ট চালু করার সব প্রস্তুতি প্রায় স¤পন্ন। কফিশপ ক্যাফে সোশ্যালে বসে হ্যাজেলনাট সুরভিত লাতেতে চুমুক দিতে দিতে শুনছিলাম দ্য ইন্টারকন্টিনেন্টালের অতীত-বর্তমান-ভবিষ্যতের গল্প। লিওনেল মেসি আর্জেন্টিনার হয়ে প্রীতি ম্যাচ খেলতে বাংলাদেশে এসে থেকেছেন এই ছাদেরই নিচে, কিছুদিন আগে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের দেখতে ঢাকায় আসা অ্যাঞ্জেলিনা জোলিও অতিথি হয়েছিলেন ইন্টারকন্টিনেন্টালের। কথায় কথায় বেলা বাড়ে, সময় হয় মধ্যাহ্নভোজের। হাতছানি দেয় ‘এলিমেন্টস’। যেখানে এক ছাদের তলায় ইতালিয়ান, প্যান এশিয়ান, মেডিটেরেনিয়ান, ইন্ডিয়ান ও কন্টিনেন্টাল খাবারের সমারোহ।
জাপানি খাবার এ সময়ের রসনাবিলাসীদের কাছে প্রিয় হয়ে উঠেছে। তাই সুশির আমন্ত্রণ উপেক্ষা করা গেল না! সুশি, সাশিমি আর হরেক রকম স্যালাডের স্বাদ নেওয়ার পর পাতে তুলে নিই বিচিত্র মাছের পদ। হাজার হোক, বাঙালি তো! কন্টিনেন্টাল স্বাদের মাশরুম ও ক্রিম সসে ভেটকি কিংবা আদি কৃত্রিম বাঙালি স্বাদের সর্ষে ইলিশ— সবই পাবেন এলিমেন্টস রেস্তোরাঁতে। মালয় ঘরানার চিকেন সাতে, যেটা কাঠিতে গাঁথা সেঁকা মুরগির মাংস, সেটা যেমন পাবেন তেমনি মোগল স্বাদের বিফ চাপলি কাবাবও মিলবে। সাদিক জানালেন এলিমেন্টের পঞ্চরসনার হদিস, ‘এলিমেন্টসে পাঁচটি ফুড স্টেশন আছে, আমরা পাঁচ ধরনের কুইজিন পরিবেশন করি এখানে। অ্যারাবিক, ভূমধ্যসাগরীয় খাবার, তুর্কি কাবাব আছে। ভারতীয় ও বাংলাদেশি ঘরানার খাবার আছে। আমাদের এখানে সুশি বার আছে। সুশি, সাশিমি ও জাপানি প্যান-এশিয়ান ঘরানার খাবার সেখানে তৈরি হয়। তা ছাড়া ইতালিয়ান খাবারের সমাহার আছে। ইতালিয়ান পিৎজা, ফেত্তুচিনি, লাজানিয়া— এসবও। ইন্দোনেশিয়ান, ফিলিপিনো খাবার হয়ে থাকে। অর্থাৎ ইন্টারকন্টিনেন্টালের যে মান, তাতে পুরো বিশ্বরসনাই এখানে এক ছাদের নিচে নিয়ে আসা হয়েছে। এই মেনুগুলো নিয়মিত পরিবর্তন করা হয়। এখানে এলে পুরো বিশ্বের স্বাদ নেওয়া হয়ে যাবে।’ শেষ পাতে মিষ্টিমুখের কথাটাও আলাদা করে বললেন মিষ্টভাষী এই হোটেলিয়ার, ‘ডেজার্টে দেশি রসগোল্লা, রসমালাই, পানতোয়া থেকে শুরু করে চিজ কেক, ব্লুবেরি চিজ কেক, ইতালিয়ান ডেজার্ট, অ্যারাবিয়ান বাকলাভা— সব ধরনেরই ডেজার্ট আছে।’ এত খাবারের ভিড়ে হারিয়ে গিয়ে মনে হচ্ছিল, পেট একটা নয়, পাঁচ-পাঁচটা হলেই বোধ হয় ভালো হতো!

ইন্টারকন্টিনেন্টাল ঢাকার মার্কেটিং অ্যান্ড বিজনেস প্রমোশনস বিভাগের পরিচালক সাহিদুস সাদিক। সামলাচ্ছেন গুরুদায়িত্ব। সেসব নিয়েই খোলামেলা কথা বলেছেন তিনি। ক্যানভাস পাঠকদের জন্য।
ক্যানভাস: শুরুতেই যেটা বোঝা যাচ্ছে, যে প্রবেশপথটা একদম বদলে ফেলা হয়েছে। ভেতরেও নানান পরিবর্তন। নতুন করে ইন্টারকন্টিনেন্টাল হিসেবে আত্মপ্রকাশের পর কী কী পরিবর্তন আনা হয়েছে এখানে?
সাদিক: কেউ কেউ এটাকে রিফার্বিশমেন্ট বলে, তবে এখানে স¤পূর্ণভাবে নতুন করে রেনোভেশন হয়েছে। শুধু অন্দরসজ্জা বা ইন্টেরিয়র ডেকোরেশন নয়, এখানকার সুবিধাগুলোয়ও পরিবর্তন এসেছে। আগে যেটা ছিল প্রধান লবি, এখন সেটা কফিশপ, মার্বেল রুম হয়ে গেছে রেস্টুরেন্ট। আগে রেস্টুরেন্টগুলো ছিল ছড়িয়ে-ছিটিয়ে; এখন সব কটিকে একই দিকে নিয়ে আসা হয়েছে। চারটা রেস্টুরেন্ট এইদিকে। এখন যেটা হয়েছে, কোনো অতিথি খাবারের জন্য এলে তার একদিকে এলেই চলবে। আর কেউ যদি ব্যাংকোয়েটের জন্য আসেন, তাহলে তিনি আরেকটা পথ ধরে তাঁর গন্তব্যে পৌঁছে যাবেন।
ক্যানভাস: তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের একমাত্র পাঁচ তারকা হোটেল ছিল দ্য ইন্টারকন্টিনেন্টাল। সে সময়ের প্রেক্ষাপট আর বর্তমান বাস্তবতার আতিথেয়তায় কী কী পরিবর্তন এসেছে?
সাদিক: একটা ব্যাপার একটু স্পষ্ট করে দিতে চাই। ১৯৬৬ থেকে ১৯৮৩ সাল পর্যন্ত যে ইন্টারকন্টিনেন্টাল ঢাকায় ছিল, আর এখন যেটা রয়েছে; দুটোর কর্তৃপক্ষ এক নয়। তখনকার ইন্টারকন্টিনেন্টালের মালিকানা ছিল প্যান-অ্যামেরিকান এয়ারলাইনসের। সেটা ছিল একটা আমেরিকান প্রতিষ্ঠান। আর এখন ইন্টারকন্টিনেন্টাল হচ্ছে ব্রিটিশ; যুক্তরাজ্যের ডেনহামভিত্তিক ‘ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলস গ্রুপ’-এর একটি ব্র্যান্ড। বিশ্বের একটি বড় হসপিটালিটি চেইনের সবচেয়ে বিলাসবহুল বা লাক্সারি ব্র্যান্ড হচ্ছে ইন্টারকন্টিনেন্টাল। সেই দিক থেকে দেখলে পূর্ব পাকিস্তান আমলে যে হোটেলটা তৈরি করা হয়েছিল, সেখান থেকে বর্তমানে অতিথিসেবার মান, সুযোগ-সুবিধা, রুমের আকৃতি— সবই বেড়েছে। একজন বৈশ্বিক ভ্রমণকারী বিশ্বের যেকোনো বড় শহরে একটা পাঁচ তারকা হোটেলে যা যা সেবা প্রত্যাশা করেন, আমাদের এখানে তাই পাবেন।
ক্যানভাস: এই হোটেলের সঙ্গে অনেক ইতিহাস জড়িয়ে আছে। একটা সময় উইন্টার গার্ডেনে শহরের সবচেয়ে জমকালো অনুষ্ঠানগুলোর আয়োজন হতো। চাম্বেলি বারে গান গেয়েই মাইলসের মতো বড় ব্যান্ডের উত্থান। সেই নামগুলো কি থাকছে, নাকি সময়ের সঙ্গে পাল্টে গেছে?
সাদিক: হোটেল ব্যবসা খুব প্রতিযোগিতামূলক, সময়ের সঙ্গে তাল মেলাতে না পারলে পিছিয়ে পড়তে হবে। তাই জায়গাগুলোর পরিমার্জনের সঙ্গে নামও বদলে গেছে, তবে কিছু জায়গায় চেষ্টা করা হয়েছে ঐতিহ্যকে ধরে রাখার। উইন্টার গার্ডেনের নাম দেওয়া হয়েছে রূপসী বাংলা গ্র্যান্ড হল। মাঝে একটা সময় এই হোটেলের নাম ছিল রূপসী বাংলা, নামটা ছিল আমাদের প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া। নামটা ধরে রাখতেই এই উদ্যোগ। তবে বীথিকা, চিত্রা, চাম্বেলি নামগুলো এখন আর নেই।
ক্যানভাস: মুক্তিযুদ্ধের সময় ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলেই ছিলেন বিদেশি সাংবাদিক ও রেডক্রসের কর্মীরা। এখানে ক্র্যাক প্লাটুনের গেরিলাদের হামলাও হয়েছিল। সেই সব দিনের কোনো স্মৃতিচিহ্ন বা স্মারক কি আছে?
সাদিক: আসলে ব্যবসায়িক প্রয়োজনে নানান পরিমার্জন-পরিবর্ধনে সেসব স্মৃতি সংরক্ষণ করা হয়নি। তবে আমাদের দুজন কর্মী সরাসরি মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন, তাঁদের মধ্যে একজন আবু উসমান বীর উত্তম খেতাব পেয়েছেন। তাঁদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে আমরা নামফলক দিয়ে একটা স্মৃতিসৌধ করেছি।
লেখক: রসনারসিক, লিখিয়ে এবং দৈনিক কালের কণ্ঠের সিনিয়র রিপোর্টার
ছবি: সৈয়দ অয়ন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Back To Top