skip to Main Content

হট স্পট I উত্তরার উত্তরণ

ঝাঁ-চকচকে বিপণিবিতান থেকে নামিদামি সব ব্র্যান্ডেড আউটলেট। রাজধানীর উত্তরায় এর কোনোটারই কমতি নেই। তবু প্রধান সড়কের ফুটপাত ঘেঁষে কিংবা অলিগলিতে গড়ে ওঠা ফ্যাশন বাজার জমজমাট বছরজুড়ে। কারণ কী? নানা তথ্য-উপাত্ত খতিয়ে দেখা গেছে, উত্তরার স্ট্রিট মার্কেটের জনপ্রিয়তার প্রধান কারণ, এখানে স্বল্প মূল্যে কেনা যায় পণ্য। কিন্তু সে তো অন্যান্য স্ট্রিট মার্কেটেও মেলে। তবে উত্তরার এ ধরনের পণ্যগুলোর মান অন্যান্য জায়গার চেয়ে তুলনামূলক ভালো। দামে কম, মানে ভালো হওয়াতেই বছরজুড়ে ভিড় থাকে। এ ছাড়া উত্তরার স্ট্রিট মার্কেটের জনপ্রিয়তার আরেকটি কারণ হলো, ফ্যাশন-সচেতনদের মতো এই এলাকায় দেশি-বিদেশি বায়িং হাউসের সংখ্যা বেশি। তাই ইন্টারন্যাশনাল ব্র্যান্ডগুলোর এক্সপোর্ট রিজেক্টেড প্রোডাক্ট থেকে গার্মেন্টস লট থেকে পাওয়া স্টাইলিশ সব আউটফিটের অপশন উত্তরাতেই বেশি পাওয়া যায়। কখনো ফুটপাতের পাশে সারি সারি ভ্যানে, তো কখনো রাস্তার ওপর কাপড় বিছিয়েই চলে বিকিকিনি।
উত্তরার রাজলক্ষ্মী সুপার মার্কেটের পেছনের গলি থেকে শুরু হয়ে যার বিস্তার ৭ নম্বর সেক্টরের আমির কমপ্লেক্সের চারপাশের সড়কজুড়ে। আছে রাস্তার বিপরীত পাশেও। আমির কমপ্লেক্স থেকে ওভারব্রিজ দিয়ে পেরোলেই আজমপুর। নওয়াব হাবিবুল্লাহ মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ ঘিরেও গড়ে উঠেছে স্ট্রিট মার্কেট। মিলবে হরেক রকম খাবার। নিত্যব্যবহার্য সামগ্রী, ঘর সাজানোর সরঞ্জাম আর পোশাকের হরেক রকম অপশন। উত্তরাবাসীর কাছে ভ্যানটেক হিসেবেই বেশি পরিচিত এই মার্কেট। তবে কেনাকাটার মূলমন্ত্র একটাই—দামদরের ব্যাপারে পাকা হওয়া চাই। নইলে ধরা।
ঋতুভেদে পাল্টে যায় এই স্ট্রিট মার্কেটের চেহারা। গ্রীষ্মে এখানে মিলবে সামারি সব পোশাক। টপ, বটম, ড্রেসে তখন গ্রীষ্মের সুস্পষ্টতা। শীতে আবার ভিন্ন চিত্র। বিভিন্ন স্টাইলের জ্যাকেট, লং-শর্ট ওভারকোট, ভেলভেটি আউটফিটসহ শীত উপযোগী পোশাকের ছড়াছড়ি। তবে সব সিজনেই নজর কাড়বে ঘর সাজানোর নানা সামগ্রী। সিরামিক আর কাচের তৈজসপত্র, বেতের তৈরি সব জিনিসও মিলবে সুলভে। বারো মাসই। বর্তমানে প্রায় সাড়ে তিন শ দোকান রয়েছে উত্তরার এ স্ট্রিট মার্কেটজুড়ে; যা ফ্যাশন-সচেতনদের জন্য শপিং প্যারাডাইসই বটে।

 জাহেরা শিরীন
মডেল: ইফা ও অন্তরা
ওয়্যারড্রোব: উত্তরার স্ট্রিট মার্কেট
ছবি: তানভীর খান

ব্ল্যাক ফ্লোরাল প্রিন্টেড ওভারকোট
দাম: ৩০০ টাকা

ভেলভেটি ক্যারামেল টপে টাইড আপ নেকলাইন
দাম: ২০০ টাকা

প্লেইড প্রিন্টেড ফ্ল্যানেল টাউজার
দাম: ২০০ টাকা

ভেলভেটের স্লিপ অন ড্রেস
দাম: ১৫০ টাকা

অ্যাসিমেট্রিক মেটালিক টপ
দাম: ১৫০ টাকা

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Back To Top