skip to Main Content

হরাইজন

শ্যানেল ক্ল্যাসিক জাহ্নবী

তারকাদের সবকিছুতেই থাকে বিশেষত্ব। নামিদামি ব্র্যান্ডের প্রতিটি এক্সক্লুসিভ জিনিসই বাজারে আসে তাদের হাত ধরে। এ নিয়ে ভক্তদের কৌতূহলের শেষ নেই। এবার বলিউডের নবাগত নায়িকা জাহ্নবী কাপুরের ব্যাগের দাম নিয়ে শুরু হয়েছে তোলপাড়। সম্প্রতি মুম্বাই বিমানবন্দরে পাপারাজ্জিদের ক্যামেরায় বন্দি হন তিনি। সে সময় জাহ্নবী পরেছিলেন কুর্তা আর প্যান্ট। কানে ছিল বড় ঝুমকা। কাঁধে ঝোলানো ব্যাগ। সবকিছুকে পেছনে ফেলে সবার চোখ আটকে যায় কালো ব্যাগটিতে। ফ্রান্সের বিলাসবহুল ব্র্যান্ড শ্যানেলের নতুন কালেকশনের ব্যাগটির দাম ৬ হাজার ৮২০ ইউএস ডলার। অর্থাৎ বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় সাড়ে পাঁচ লাখ টাকা। বিভিন্ন ই-কমার্স সাইটে ইতিমধ্যে এক লাখ বারের বেশি খোঁজা হয়েছে শ্যানেলের জাম্বো ক্ল্যাসিক ফ্ল্যাপ ব্যাগটি।
উল্লেখ্য, প্রয়াত অভিনেত্রী শ্রীদেবী আর প্রযোজক বনি কাপুরের মেয়ে জাহ্নবী। শশাঙ্ক খৈতানের ধড়াক ছবির মাধ্যমে রুপালি পর্দায় পা রেখেছেন তিনি।

হাবলটের ঘড়ি
ফুটবল খেলায় খেলোয়াড় বদল একটি নিয়ম বটে। ম্যাচে খেলোয়াড় বদলের সময় সাইড লাইনে অ্যাসিস্ট্যান্ট রেফারি একটা ইলেকট্রনিক বোর্ড উঁচিয়ে ধরেন। লাল ও সবুজ রঙের লেখায় জার্সি নম্বর দেখানো হয় তাতে। বোর্ডে যে খেলোয়াড়ের জার্সি নম্বর লাল, সে মাঠ থেকে চলে যায়, আর যার নম্বর সবুজ, সে খেলতে নামে। এবার বিশ্বকাপ ফুটবলের প্রতিটি ম্যাচে ওই ইলেকট্রনিক বোর্ডের নিচে হাবলটের লোগো হয়তো দেখেছেন সবাই। এটি সুইস ব্র্যান্ড। এটি ছিল এবারের বিশ্বকাপ ফুটবলের অফিশিয়াল টাইমকিপার। আর এ উপলক্ষে হাবলট তৈরি করেছিল বিশেষ ঘড়ি ‘হাবলট বিগ ব্যাং রেফারি ২০১৮ ফিফা ওয়ার্ল্ড কাপ রাশিয়া ওয়াচ’। যার মূল আকর্ষণ ছিল প্রিয় দলের পতাকার রঙের সঙ্গে মিলিয়ে ডায়ালের পর্দা ও ফিতা বদলানো। পানিরোধী এই স্মার্ট ঘড়ি চওড়ায় ৪৯ মিলিমিটার। এতে ব্যবহার করা হয়েছে গুগলের অপারেটিং সিস্টেম। রয়েছে জিপিএস, মাইক্রোফোন, ওয়াই-ফাই, ব্লুটুথ ও ভাইব্রেশনের সুবিধা। ৪১০ অ্যাম্পিয়ার ব্যাটারি যোগ করা হয়েছে এতে। ঘড়িটির বেজেল টাইটানিয়ামের তৈরি। তবে কেউ চাইলেও এটি কিনতে পারবেন না। হাবলট জানিয়েছে, প্রথম ধাপে শুধু রেফারিদের জন্য ২ হাজার ১৮টি ঘড়ি প্রস্তুত করা হয়। যার প্রতিটির মূল্য ৫ হাজার ২০০ মার্কিন ডলার।

আয়রনম্যানের পোশাক
হলিউডের অ্যাভেঞ্জার্স সিরিজের জনপ্রিয় সুপার হিরো আয়রনম্যান। সিনেমার পর্দায় এই লৌহমানবের পোশাক দেখে অনেকেই রোমাঞ্চিত হয়েছেন। যুক্তরাজ্যের রিচার্ড ব্রাউনিং নামের একজন প্রযুক্তিবিদ, সাধারণ মানুষকে আয়রনম্যান হওয়ার স্বপ্ন দেখাচ্ছেন। তাঁর প্রতিষ্ঠান গ্র্যাভিটি জানিয়েছে, তারা আয়রনম্যানের বিশেষ পোশাকটি তৈরি করতে সক্ষম হয়েছে। পোশাকটি ১২ হাজার ফুট উপর দিয়ে ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৩২ মাইল গতিতে উড়তে পারে। আর ওড়ার জন্য এতে যোগ করা হয়েছে বিশেষ ইলেকট্রনিক যন্ত্র ও পাঁচটি জেট ইঞ্জিন। এরই মাঝে পোশাকটি গায়ে চেপে পরীক্ষামূলকভাবে আকাশে উড়েছেন ব্রাউনিং নিজেই।
গ্র্যাভিটি কর্তৃপক্ষ বলেছে, লন্ডনের রেসলফ্রিজেস নামের একটি ডিপার্টমেন্ট স্টোরে বিক্রির জন্য পোশাকটি তোলা হয়েছে। এরই মধ্যে বেশ কয়েকজন ক্রেতা পোশাকটি কিনতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। আয়রনম্যানের পোশাকটি তৈরি করে এরই মধ্যে গিনেস বুকে নাম লিখিয়েছেন ব্রাউনিং। তিনি আয়রনম্যানের পোশাকের একটি ইলেকট্রিক সংস্করণ উদ্ভাবন করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। ব্রাউনিং জানান, ভবিষ্যতে পোশাকটি যোগাযোগ, যাতায়াতসহ মানুষের জীবনযাত্রার বিভিন্ন ক্ষেত্রে বৈপ্লবিক পরিবর্তন ঘটাতে পারে। কয়েক বছরের মধ্যেই মানুষ হয়তো গাড়ি কিংবা উড়োজাহাজের বদলে আয়রনম্যানের পোশাক পরে নিজেই এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় উড়ে যেতে পারবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Back To Top