skip to Main Content

উইশ I চলতে চলতে

দীর্ঘ পথচলায় ক্যানভাস টিমে এমন অনেকেই সঙ্গী হয়েছিলেন, যারা সরাসরি যুক্ত নেই। না, তাদের ‘সাবেক সহকর্মী’ বলতে চাই না আমরা; বরং তারা চিরকালই আমাদের সারথি। এমনই কয়েকজনের শুভেচ্ছাবার্তা নিয়ে এই আয়োজন

এ সম্পর্ক আত্মার
শেখ সাইফুর রহমান

ক্যানভাস শব্দটার মতোই দ্যোতনাবহ ক্যানভাস ম্যাগাজিন। অন্তত আমার পেশাগত জীবনে। বাংলায় ফ্যাশন, বিউটি, ফুড আর লাইফস্টাইল সাংবাদিকতায় ক্যানভাসের ভূমিকা অনস্বীকার্য। এই প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে আমার সম্পর্ক কতটা নিবিড়, তা লিখে বোঝানো সম্ভব নয়। নানা সময়ে কাজ করার পাশাপাশি নতুন নিরীক্ষা করার এবং শেখার সুযোগ হয়েছে। ফলে ক্যানভাস পরিবারের সম্পর্কটা একেবারেই আত্মার। না থেকেও যেন আমি আছি এই পরিবারের একজন হয়ে। এটা আরও সম্ভব হয়েছে পরিবারপ্রধানের জন্য। কারণ, কানিজ আপা [সম্পাদক কানিজ আলমাস খান] সবাইকে আগলে রাখেন নিজের সন্তানের মতো করে। ফলে এখন ক্যানভাসে কাজ না করলেও, সেখানে নিয়মিত যাতায়াত না থাকলেও একবার ওই পরিবারের সঙ্গে সম্পৃক্ত হলে সেটা থেকে যায় আজীবন। পরে, অনেক পরে সেখানে গেলেও মনে হবে না এত দিন পরে আসা; বরং অবিকল উষ্ণতা প্রাণ ভরিয়ে দেয়।
ক্যানভাসের ইউনিক অনেক বিষয়ই আছে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো প্রতি সংখ্যার বিষয় নির্বাচন। আর সঙ্গে ছবি। এ ক্ষেত্রে বর্তমান এক্সিকিউটিভ এডিটর হোসনে নুজহাতের কথা বলতেই হবে। তা ছাড়া একেবারে শুরু থেকেই তার সম্পৃক্ততা ক্যানভাসের ফটোগ্রাফিকে বিশেষ মাত্রা দিয়েছে।
দেখতে দেখতে কতগুলো বছর কেটে গেল। সেই ২০০৫ সালে শুরু। ১৭ বছর পূর্ণ করেছে ক্যানভাস। আরও অনেকটা পথ পেরিয়ে যাক। শুভকামনা ক্যানভাসের জন্য। ক্যানভাস পরিবারের জন্যও। কানিজ আপার ছায়ায় ক্যানভাস এগিয়ে যাবে উত্তরোত্তর সাফল্যের পথে। হয়ে উঠবে বাংলাদেশের ফ্যাশন, বিউটি, ফুড আর লাইফস্টাইল সাংবাদিকতার যথাযথ আর্কাইভ।

রঙিন প্রহর
সব্যসাচী হাজরা

১৮-তে অভিনন্দন ক্যানভাসকে। ছোট্ট ছোট্ট পায়ে চলতে চলতে ক্যানভাস আজ সাবালক। সূচনাপর্বে ক্যানভাস টিমের একজন হিসেবে আমি গর্বিত। রঙিন দিনগুলোতে ক্যানভাসকে সঙ্গ দিতে পারা নিঃসন্দেহে একটি দারুণ অভিজ্ঞতা। ক্যানভাস দীর্ঘায়ু পাক।

উচ্ছ্বাসমুখর দিনগুলো
আরমান হোসেন বাপ্পী

মনে পড়ে, যখন ক্যানভাস আঁতুড়ঘরে, সেই দিনগুলোতেই এর সঙ্গে যুক্ত হতে পেরেছিলাম। শুরুতে পরিকল্পনা ছিল তিন মাসের একটি বিউটি বুলেটিন প্রকাশের। সেই ভাবনার বিস্তার ঘটার মাধ্যমে এই ম্যাগাজিনের জন্ম। টুশি আপু (সম্পাদক ও প্রকাশক কানিজ আলমাস খানকে আমি এ নামেই ডাকি) আমাকে ফটোগ্রাফির দায়িত্ব দিলেন। তখন মনে ব্যাপক উচ্ছ্বাস। একদম শুরুর কয়েকটি সংখ্যার কভার ফটো অবশ্য আমি তুলিনি। তারপর যখন সেই সুযোগ পেলাম, আর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি।
ক্যানভাসের যাত্রা শুরুর টিম গোছানোর সঙ্গে জড়িত থাকতে পেরে নিজেকে সৌভাগ্যবান মনে করছি। দীর্ঘ একটা সময়কাল ধরে এই ম্যাগাজিনে ছিলাম। দিনরাত শুধু ক্যানভাস নিয়েই মগ্ন থাকতাম। এরপর একটা সময় বিদায় নেওয়ার ক্ষণ এলো। তবু ক্যানভাসের সঙ্গে আত্মিক সম্পর্কে এতটুকু টান পড়েনি।
প্রবাসে আসার পর এখন প্রতিনিয়ত যোগাযোগ হয় না, তবু ক্যানভাসের সঙ্গে আত্মার সংযোগটা রয়েই গেছে। ১৮ বছরে পদার্পণে ক্যানভাসের জন্য শুভকামনা।

আশীর্বাদের মতো অনুপ্রেরণা
কবির হোসেন

ক্যানভাসের সঙ্গে আমার পথচলা শুরু ২০০৬ সালের জুনে। ক্রিয়েটিভ টিমে। দীর্ঘ ১১ বছর এখানে আমি ডিজাইন আর ক্রিয়েটিভের নতুন নতুন কাজ শিখেছি। শিখেছি ম্যাগাজিন পাবলিশিংয়ের আদ্যোপান্ত। এই যে আমার এত দূর আসা, এর পেছনে ক্যানভাসের মতো বড় পরিসরে কাজ করার অভিজ্ঞতা বেশ সাহায্য করেছে। তাই বেশ গর্বের সঙ্গে নির্দ্বিধায় স্বীকার করে নিই, ক্যানভাসে কাটানো ১১ বছরে কাজের সূত্রে দেশের বিভিন্ন সফল মানুষের কাছে অনুপ্রেরণা পেয়েছি, আমার জন্য তা আশীর্বাদের মতো।
ক্যানভাসের ১৮ বছরে পদার্পণে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। কালের পরিক্রমায় হয়তো ক্যানভাসের সঙ্গে এখন আর সরাসরি জড়িত নই, কিন্তু পরোক্ষ নানা সুযোগে ক্যানভাস পরিবারের সান্নিধ্য মিস করি।
ক্যানভাস যুগ যুগ ধরে পাঠকদের মুগ্ধতা ধরে রাখুক।

আমিও একজন
ফাতেমা শারমিন লাকী

ক্যানভাসের এই অগ্রযাত্রায় অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা। ব্যক্তিমানুষের ক্ষেত্রে জন্মদিন উদ্্যাপন করতে গিয়ে আগত বছরকে স্বাগত জানিয়ে আনন্দ উৎসব করলেও বিগত বছরটির হিসাবে কিন্তু এক বছর আয়ু কমে যায়! তবে ব্যক্তিবিশেষের জন্মদিনে এক বছর আয়ু বিয়োগের কারণে কিছুটা কষ্ট থাকলেও ম্যাগাজিন বা পত্রিকা কিংবা অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের বেলায় নতুন বছরে পদার্পণে বিয়োগ বেদনা হয় না; বরং বছর যোগে আয়ু বাড়ে, বাড়ে অভিজ্ঞতা।
দেশীয় ও প্রাচ্যের সাংস্কৃতিক ধারায় ক্যানভাস আজ বাংলাদেশের অন্যতম ফ্যাশন, বিউটি, ফুড ও লাইফস্টাইল ম্যাগাজিন। ‘স্বদেশ, আধুনিকতা ও আপনি’ স্লোগানের সমতানে আমিও একজন হতে পেরে আনন্দিত। আগামী দিনেও ক্যানভাস এ ধারা অব্যাহত রাখবে, এটা আমার বিশ্বাস। এর সাফল্য কামনা করছি।

এগিয়ে যাক আরও
রত্না রহিমা

ক্যানভাস শুরু থেকেই আন্তর্জাতিক মানের আপডেটেড ফ্যাশন ও লাইফস্টাইল ম্যাগাজিন। সাইফুর ভাই [সাবেক এক্সিকিউটিভ এডিটর শেখ সাইফুর রহমান] থাকাকালীন আমি সেখানে যোগ দিই এবং দীর্ঘ ৮ বছর কাজ করেছি। কানিজ আপার স্নেহ, অফিসে পারিবারিক পরিবেশ, দুর্দান্ত সব কলিগ—সবকিছুই ছিল ইতিবাচক। ক্যানভাসকে সারা জীবন মনে ধারণ করব। ক্যানভাসের ১৮ বছরে পদার্পণে আমি এর উত্তরোত্তর সফলতা কামনা করি। আরও এগিয়ে যাক ক্যানভাস।

মন ও মগজে এখনো
আহসান পাভেল

আমার ক্যানভাস জার্নি তিন পর্বের। শুরুতে কন্ট্রিবিউটিং রিপোর্টার হিসেবে। ঘরের মানুষ হয়ে ওঠা ২০০৯ সালের অক্টোবরে। স্টাফ রিপোর্টার হিসেবে। ২০১১ সালের আগস্ট থেকে আড়াই বছর একটি স্যাটেলাইট টেলিভিশনে কর্মরত ছিলাম। তারপর ২০১৪ সালে আবার ফিরে আসা। পেশা বদলের আগ পর্যন্ত ক্যানভাস ছিল শেষ কর্মস্থল। কাগজে-কলমে সম্পর্ক চুকে গেলেও মন ও মগজে এখনো ক্যানভাসের সঙ্গে আছি।
আরও বিকশিত হোক প্রাণের ক্যানভাস। ১৮ বছরে পদার্পণে এর কর্মী এবং পাঠকদের শুভেচ্ছা।
 লাইফস্টাইল ডেস্ক
ছবি: সংগ্রহ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Back To Top