skip to Main Content

বিশেষ ফিচার I ভিন্ন পথের যাত্রী

কুমিল্লার শতবর্ষী গাছের ছায়াঘেরা দিঘির কালো টলমলে জলে ঢিল ছোড়া কিশোর থেকে বাংলাদেশের সফলতম সংরক্ষণবাদী স্থপতি হওয়া, দি ইনস্টিটিউট অব আর্কিটেক্টস বাংলাদেশের সভাপতিত্ব করা, এশিয়ার ২২টি দেশের স্থপতিদের সংগঠন আর্কএশিয়ার সভাপতি হওয়া, আমেরিকান ইনস্টিটিউট অব আর্কিটেক্টসের প্রেসিডেন্সিয়াল মেডেল ও সম্মানসূচক সদস্যপদ পাওয়ার গল্প অনেক দীর্ঘ। তারপরও স্থপতি প্রফেসর ড. আবু সাঈদ এম আহমেদ আমাদের শুনিয়েছেন সেই গল্প। একই সঙ্গে আলাপ করেছেন পুরোনো ঐতিহ্য সংরক্ষণ নিয়ে আমাদের সম্ভাবনা ও আশঙ্কা নিয়েও

প্রফেসর ড. আবু সাঈদ এম আহমেদ

ফার্মগেটে ইউনিভার্সিটি অব এশিয়া প্যাসিফিক ক্যাম্পাসে যখন আমরা পৌঁছলাম, ঘড়ির কাঁটায় বেলা ১১টা। উদ্দেশ্য ছিল নারিন্দা খ্রিস্টান সমাধিক্ষেত্রে চলমান কলম্বো সাহেবের সমাধির হালচাল নিয়ে আলাপ করা। সেই আলাপ গিয়ে পৌঁছাল তার ছেলেবেলার গল্পে; তার কাজগুলো আর বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে কিছু প্রতিবন্ধকতা নিয়েও। নারিন্দা সমাধিসৌধের কথা আগের সংখ্যায় বলা হয়েছে; এবার না হয় কথা হোক দেশের সংরক্ষণবাদী স্থাপত্যধারার পথিকৃৎ, ইউনিভার্সিটি অব এশিয়া প্যাসিফিকের স্কুল অব এনভায়রনমেন্ট সায়েন্স অ্যান্ড ডিজাইনের ডিন প্রফেসর ড. আবু সাঈদ এম আহমেদকে নিয়ে।

স্থপতি আবু সাঈদ এম আহমেদের গল্পের শুরুটা কুমিল্লায়। ধর্মসাগর আর রাণীর দীঘির মতো বিশাল জলাশয়ে অলস দুপুরে শতাব্দীপ্রাচীন সব গাছের ছায়ায় কাকচক্ষু জলে পানকৌড়ি আর বকের খেলা, সেটায় কোনো প্রাচীন ইমারতের প্রতিচ্ছবি দেখে দেখে। বাবা আবদুর রশিদ আর মা হেলেনা বেগমের প্রশ্রয়ে তার আঁকাআঁকি ও স্থাপত্য দেখার-বোঝার আগ্রহের প্রাথমিক পাঠশালা হয়ে উঠেছিল শহর কুমিল্লা। পড়াশোনা কুমিল্লা জিলা স্কুল, ভিক্টোরিয়া কলেজ পেরোনোর পর ঢাকায় এসে বুয়েটে।
বুয়েট থেকে বেরোনোর পর আবু সাঈদ প্রথমে যোগ দিয়েছিলেন পরামর্শক প্রতিষ্ঠান ইঞ্জিনিয়ারস অ্যান্ড কনসালট্যান্টস বাংলাদেশ লিমিটেড বা ইসিবিএলে। তিনি সেখানে চার বছর ছিলেন। এটি ছিল তার পেশাগত শিক্ষা ও বিকশিত হওয়ার সময়। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু হল, নগর ভবন, যশোরের বিমানবাহিনী একাডেমি ও ঢাকা সেনানিবাসের কেন্দ্রীয় মসজিদ ও গ্রন্থাগারের মতো যুগান্তকারী প্রকল্পগুলোতে জড়িত হয়েছিলেন। এই প্রকল্পগুলো তাকে নকশা ও কার্যকারিতার ভারসাম্য রাখার ক্ষেত্রে সরাসরি অভিজ্ঞতা দিয়েছিল। তবে আবু সাঈদ জানতেন, তার যাত্রা তখনো শুরুই হয়নি; নতুন দিগন্তে পদার্পণের স্বপ্ন দেখেছিলেন তিনি।
এরপর উচ্চশিক্ষার জন্য আবু সাঈদ জার্মানিতে গিয়েছিলেন। যাওয়ার আগে, তিনি দুটি গুরুত্বপূর্ণ উপহার পেয়েছিলেন—ইসিবিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক লাইলুন নাহার ইকরাম তাকে ১ হাজার মার্কিন ডলার উপহার দিয়েছিলেন, আর ইসিবিএলের সহকর্মী অধ্যাপক আবু হায়দার ইমাম উদ্দিন তাকে দিয়েছিলেন ড. এনামুল হকের লেখা ‘ইসলামিক হেরিটেজেস অব বাংলাদেশ’ বইটি। তিনি তখনো জানতেন না, এই বই বিদেশে তার নতুন অধ্যায় শুরুর নিয়ামক হয়ে উঠবে।

দোলেশ্বর হানাফিয়া জামে মসজিদ

বিদেশে পরিবর্তন বা অভিযোজনটি খুব একটা সহজ ছিল না। আবু সাঈদকে একেবারে গোড়া থেকে জার্মান ভাষা শিখতে, বিদেশি সংস্কৃতির সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে এবং প্রতিযোগিতামূলক একাডেমিক পরিবেশে বিচরণে অভ্যস্ত হতে হয়েছিল। তার হোস্টেলটি ছিল আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য বরাদ্দ; সেখানে সহপাঠীদের সঙ্গে কথোপকথন অনিবার্যভাবে তাকে ঘরমুখী চিন্তা করতে বাধ্য করেছিল। তার সহপাঠীদের ‘এমন কী আছে যা তোমার দেশকে তুলে ধরে?’—এমন প্রশ্নে আবু সাঈদ প্রথম দিকে শব্দের অভাব বোধ করতেন; বাংলাদেশের ঐতিহ্যকে কীভাবে প্রকাশ করবেন, তা বুঝে উঠতে পারেননি তখন। এই পরিস্থিতি থেকে তাকে উদ্ধার করেছিল ‘ইসলামিক হেরিটেজেস অব বাংলাদেশ’। বইটি তার তথা বাংলাদেশের সঙ্গে বাকি বিশ্বের সংযোগকারী সেতুতে পরিণত হয়েছিল। তিনি বাংলাদেশের স্থাপত্য-ঐশ্বর্যগুলো ভাগ করে নিতে শুরু করেছিলেন—ষাটগম্বুজ মসজিদ, ছোট সোনামসজিদ, তারপর পাহাড়পুর বিহার, মহাস্থানগড় ইত্যাদি। তার সহকর্মী-সহপাঠীরা অবাক হয়ে গিয়েছিলেন বাংলাদেশের সমৃদ্ধ ঐতিহ্যের কথা শুনে। তাদের কল্পনাতেও ছিল না, এ ধরনের প্রাচীন ও বিস্ময়কর স্থাপনাগুলো এমন একটি দেশে রয়েছে, যে দেশকে প্রায়ই তারা কেবল তৃতীয় বিশ্বের দরিদ্র একটি জায়গা হিসেবেই বিবেচনা করতেন। ব্যাপারটি আবু সাঈদের মনে গভীর দাগ কেটে দিয়েছিল। তিনি বুঝতে পেরেছিলেন, এই বিস্ময়কর স্থাপনাগুলো কেবল দালান বা ইমারত নয়; এগুলো একটি দীর্ঘ-ভুলে যাওয়া ইতিহাসের প্রতীক, যা বাংলাদেশের মানুষকে তাদের অতীত, সংস্কৃতি ও আত্মপরিচয়ের সঙ্গে সংযুক্ত করে। স্থাপনা তৈরির একাডেমিক পড়াশোনা হিসেবে শুরু হয়ে তা ইতিহাস ও ঐতিহ্যের সঙ্গে মিলে গভীর এক অমোঘ আকর্ষণে পরিণত হয়েছিল। কাসরুয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতকোত্তর পড়াশোনার পাশাপাশি আবু সাঈদ বাংলাদেশে ইসলামি স্থাপত্যের ওপর একটি নিবন্ধ তৈরি করেছিলেন, যা পরে তার পিএইচডির দরজা খোলার পাশাপাশি রিস্টোরেশন ও কনজারভেশনের সুযোগ করে দিয়েছিল, যেটি ছিল তার সত্যিকারের চাওয়া। এই নতুন পথ কেবল তার কর্মজীবনকেই নতুন আকার দিয়েছে, তা নয়; বরং অতীত সংরক্ষণের প্রতি তার প্রতিশ্রুতিকেও দৃঢ় করেছে, আর এমন একটি আবেগ দিয়েছে, যা তার বাকি জীবনকে সংজ্ঞায়িত করছে।

ঢাকা গেট

পিএইচডি শেষ করার পর ড. আবু সাঈদ এম আহমেদ বাংলাদেশে ফিরে আসেন। বুয়েটে কিছু ব্যাপারে বিতর্কের পর তিনি ইউনিভার্সিটি অব এশিয়া প্যাসিফিকের সদ্য প্রতিষ্ঠিত স্থাপত্য বিভাগে যোগ দিয়েছিলেন। তবে শিক্ষকতা যথেষ্ট ছিল না। ড. সাঈদ অতীতকে প্রাণবন্ত করে তুলতে চেয়েছিলেন; কারণ, তিনি ঐতিহ্য সংরক্ষণের জন্য উৎসাহী হয়ে উঠেছিলেন। একজন শিক্ষক হিসেবে, তিনি ভবিষ্যতের স্থপতিদের পথ তৈরি করে দিয়েছেন; পুনরুদ্ধার প্রকল্পগুলোতে সক্রিয় অবদানের সঙ্গে একাডেমিক ভারসাম্য বজায় রেখে চলেছেন এখনো।
ড. আবু সাঈদ এম আহমেদের বলার মতো প্রথম কাজ ছিল ক্যাপ্টেন আর্চিবল্ড সুইনটনের তৈরি নিমতলী প্রাসাদের প্রবেশ-তোরণ পুনরুদ্ধার করা। ২০০৮ সালে শুরু হওয়া বিশাল এই ল্যান্ডমার্ক প্রকল্প বাংলাদেশে তার প্রথম বড় ঐতিহ্য সংরক্ষণের প্রচেষ্টা হয়ে ওঠে। ব্যাপক গবেষণা ও সলাপরামর্শের পরে ড. সাঈদ ও তার দল পশ্চিম দেউড়িটি সফলভাবে পুনরুদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছিল, যা এখন বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটির মধ্যে জাদুঘর হিসেবে পরিচিত। পুনরুদ্ধার প্রক্রিয়াটি বেশ নিখুঁত ছিল। এটি ঐতিহাসিক স্কেচ, নথি ও প্রত্নস্থলের স্থাপত্য ইতিহাসের গভীরতর গবেষণা দিয়ে শুরু হয়েছিল। ড. সাঈদ ও তার দল ভিত (ফাউন্ডেশন) ও মাটির স্তরগুলো পরীক্ষা করার জন্য পূর্ণাঙ্গ খনন পরিচালনা করেছিল এটি নিশ্চিত করার জন্য যে পুনরুদ্ধার প্রক্রিয়াটি যেন ঐতিহাসিকভাবে নির্ভুল হয়। প্রাথমিক চ্যালেঞ্জগুলোর মধ্যে একটি ছিল মূল নির্মাণে ব্যবহৃত সুরকির (চুন ও ইটের গুঁড়ার মিশ্রণ) মতো খাঁটি উপকরণগুলো পুনরায় ব্যবহার, পাশাপাশি ঐতিহ্যবাহী নির্মাণশিল্পকে পুনরুদ্ধার করতে সক্ষম দক্ষ কারিগরদের সন্ধান করা।

আলফাডাঙ্গা বুরাইচ মৌলভীবাড়ি

ড. আবু সাঈদ এম আহমেদের স্থাপত্য সংরক্ষণে দক্ষতা বাংলাদেশের সর্বাধিক মূল্যবান ল্যান্ডমার্কগুলোতে নতুন জীবন দিয়েছে; তাকে এনে দিয়েছে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি। তার উল্লেখযোগ্য রিস্টোরেশন প্রকল্পগুলোর মধ্যে রয়েছে কেরানীগঞ্জের দোলেশ্বর হানাফিয়া জামে মসজিদ, যা সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের জন্য ইউনেসকো পুরস্কার অর্জন করেছে; হালিশহরের মোগল মসজিদ; এবং মিঠামইন কাছারিবাড়ি, আলফাডাঙ্গা বুরাইচ মৌলভীবাড়ি, ঢাকা গেট ও লালবাগ কেল্লার হাম্মামখানার মতো আইকনিক সাইটগুলো। সম্প্রতি এই তালিকায় যোগ হয়েছে পুরান ঢাকার ফরাশগঞ্জের লালকুঠি ও নারিন্দা সমাধিসৌধ। তার সবচেয়ে আলোচিত কাজটি হলো সোনারগাঁয়ের বড় সর্দারবাড়ির রিস্টোরেশন। এই বাড়ির ভেতরেরই যে একটি কাঠামো ৬০০ বছর পার করে ফেলেছে, সেটা আমাদের কাছে অজানাই ছিল। প্রকল্পটি ইনস্টিটিউট অব আর্কিটেক্টস বাংলাদেশ (আইএবি) থেকে ব্যাপক প্রশংসিত হয়েছে আর ভবিষ্যৎ তৈরিতে অতীতের স্থায়ী প্রমাণের উপযোগিতাকে তুলে ধরেছে। তিনি অক্লান্ত পরিশ্রমের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের স্থাপত্য ঐতিহ্য সংরক্ষণ ও পুনরুদ্ধার অব্যাহত রেখেছেন, যা নিশ্চিত করে এই ঐতিহাসিক চিহ্নগুলো ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য দেশের পরিচয় হিসেবে রয়ে গেছে।

সোনারগাঁ বড় সর্দারবাড়ি

বাংলাদেশে ঐতিহ্য সংরক্ষণের মূল প্রতিবন্ধকতা কী, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘সমস্যা বা প্রতিবন্ধকতা তো একটি নয়, অনেক। জনসচেতনতা নেই, বা সেটা বাড়ানোর চোখে পড়ার মতো সরকারি উদ্যোগও নেই। পড়াশোনার একটি ব্যাপার আছে, ১৯৮০ সাল পর্যন্ত আমরা বুয়েটেই বাংলার স্থাপত্য নিয়ে পড়তে বা পড়াতে পারিনি। ল্যান্ডস্কেপ নিয়ে কোনো কাজ কি হয়েছে তেমন, বা গবেষণা? একটা হেরিটেজ সাইটের যে নিজস্ব ল্যান্ডস্কেপ তথা অতীতের সমাজ ও পরিবেশের সঙ্গে বৃহত্তর স্থানিক প্রেক্ষাপট, তা বিবেচনা করার মতো গবেষণা কোথায়? আবার রাজনৈতিক সদিচ্ছার একটা ব্যাপার থাকে যে, সরকার কিছু এলাকা সংরক্ষণের উদ্যোগ নেবে; কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্যি, বাংলাদেশে হেরিটেজ কনজারভেশন সরকারের করণীয় কাজের তালিকার সবার নিচের দিকে থাকে। আবার যারা হেরিটেজ এলাকায় থাকেন, তাদের সম্পৃক্ত করতে হয় পর্যটনের সঙ্গে, তাদের কিছু বিশেষ সুবিধা বা সুযোগ দেওয়া হয় পৃথিবীর প্রায় সব জায়গায়—যেমন রেস্টুরেন্ট, স্যুভেনির শপ, হোটেল ইত্যাদি তৈরির ক্ষেত্রে। বাংলাদেশে এটা নেই। আবার কিছু এলাকাকে হেরিটেজ ঘোষণা করে সেই এলাকার মানুষজনের জন্য কিছু ক্ষতিপূরণের একটা ব্যবস্থার আলোচনা করা হয়েছিল। কিন্তু একটি সরকারি সংস্থা সেটাকে সর্বত্র ব্যবহারের চেষ্টা করে লেজেগোবরে করে ফেলেছে ব্যাপারটাকে।’

নিমতলী প্রাসাদের প্রবেশ-তোরণ

ড. সাঈদ বিশ্বাস করেন, ঐতিহাসিক সংরক্ষণ কেবল পুনর্নির্মাণ নয়; এটি ইতিহাস পুনরুদ্ধার ও ঐতিহ্যবাহী কারুশিল্পকে সুরক্ষিত করারও ব্যাপার, যা মূলত এই কাঠামোগুলোকে আমাদের জাতীয় জীবনে গুরুত্ববহ করে তোলে। তার কনজারভেশন প্রকল্পগুলো থেকে যা কিছু ভালো জিনিস বেরিয়ে এসেছে, সেগুলোর মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য হলো স্থানীয় কারিগর আর ক্ষুদ্র শিল্পের লালন ও প্রশিক্ষণ, প্রাচীন কারুশিল্প ও দক্ষতার ধারাবাহিকতা নিশ্চিত করা। ড. আহমেদ এই কারিগরদের তার ‘গুরু’ হিসেবে শ্রদ্ধা করেন; কারণ, তারা প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে এমন অমূল্য জ্ঞান ও কৌশল রপ্ত করে এখনো চর্চা করে যাচ্ছেন। এই কারিগরদের সঙ্গে নিবিড়ভাবে কাজ করেই তিনি পুনরুদ্ধার করা সাইটগুলোর সাংস্কৃতিক অখণ্ডতা ও অকৃত্রিমতা সংরক্ষণ করতে সক্ষম হয়েছিলেন। তার কাছে একটি ইমারতের সংরক্ষণ কেবল কাঠামোগত ব্যাপার নয়; বরং এর শিল্প ও কৌশলগুলোও তিনি সংরক্ষণ করতে চান, যেগুলো গোটা ব্যাপারটির ভিত্তি তৈরি করে।
একজন শিক্ষক হিসেবে, তিনি এই উত্তরাধিকার তার পরবর্তী প্রজন্মের স্থপতিদের কাছে পৌঁছে দিচ্ছেন; কেবল কীভাবে নতুন ইমারতের নকশা করবে তা নয়, বরং প্রতিটি ইটে লুকিয়ে থাকা গল্পগুলো কীভাবে সংরক্ষণ করা যায়; তা-ও তাদের শিখিয়ে চলেছেন।

 আল মারুফ রাসেল
ছবি: লেখক ও সংগ্রহ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Back To Top