skip to Main Content

ফ্যাশন ফ্যাক্ট I অ্যানার আধিপত্য

ভোগের এডিটর-ইন-চিফ এই প্রভাবশালী নারী। প্রতিবছর মেট গালার জন্য গুরুত্বপূর্ণ সব সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকেন। এবারও ব্যতিক্রম হয়নি। অতিথি তালিকা তৈরি এবং অনুমোদিত হয়েছে তার হাতেই। শুধু তা-ই নয়, তাদের সিটিং অ্যারেঞ্জমেন্টও সেট করে দেন অ্যানা উইন্টর। নিশ্চিত করেন কিউরেটেড এক্সপেরিয়েন্স। এ ক্ষেত্রে দম্পতিদের একসঙ্গে বসানোর একেবারেই পক্ষপাতী নন তিনি; বরং ডায়নামিক সোশ্যাল এনভায়রনমেন্ট তৈরির উদ্দেশ্য নিয়েই সাজানো হয় বসার পুরোটা জায়গা। মেট গালায় প্রবেশের পর অতিথিরা ২০ সেকেন্ড করে সময় পান অ্যানার সঙ্গে। এমনকি খাবারেও নানা নিষেধাজ্ঞা জারি করেন তিনি। রসুন, পেঁয়াজ, পার্সলে আর মাছ সে ক্ষেত্রে একেবারে মানা। রেড কার্পেট ছাড়াও পুরো ইভেন্টের থিম, এক্সিবিশন অ্যাটমোসফেয়ার নির্ধারণের জিম্মায়ও থাকেন ৭৫ বছর বয়সী এই ফ্যাশন আইকন।

চড়া দামের চমক

মেট গালায় অংশগ্রহণ ফ্যাশন বিশ্বের সর্বোচ্চ সম্মাননাগুলোর একটি। এ জন্য খরচ করতে হয় মোটা অঙ্কের অর্থও। এই ইভেন্ট মূলত মেট্রোপলিটন মিউজিয়াম অব আর্টস কস্টিউম ইনস্টিটিউটের জন্য ফান্ড রেইজিংয়ের জন্য আয়োজিত হয়। গেল বছর ২৬ মিলিয়ন ডলার অর্থ সংগ্রহ করা হয় ইভেন্টটি থেকে। এ বছর গালায় অংশ নিতে গুনতে হয়েছে প্রতিজনের জন্য ৭৫ হাজার ডলার। আর দশজনের একটি টেবিলের জন্য দিতে হয়েছে ৩ লাখ ৫০ হাজার ডলার। আবার টাকা থাকলেই যে কেউ মেট গালায় অংশ নিতে পারবেন, ব্যাপারটা তেমনও নয়। ইভেন্টে স্পট বরাদ্দ রাখার ডোনেশনও দিতে হবে মিউজিয়ামে। তবেই হতে পারে কাজ। অনেকের মনে হতে পারে, সেলিব্রিটিরাও কি নিজের গাঁটের টাকা খরচ করে এই ইভেন্টে অংশ নেন। উত্তর, না! ফ্যাশন কোম্পানিগুলো তারকাদের পক্ষে টাকা দেয় ব্র্যান্ডের মুখপাত্র হয়ে রেড কার্পেটে হাঁটার জন্য।
 ফ্যাশন ডেস্ক
ছবি: সংগ্রহ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Back To Top