skip to Main Content

বাইট

আমেরিকা-ইউরোপ ছুরি-কাঁচির লড়াই

সম্প্রতি তথাকথিত ‘কন্টিনেন্টাল’ ডাইনিং স্টাইলে খাবার গ্রহণের চেষ্টা চালিয়েছিলেন অ্যামি গর্ডি নামের এক আমেরিকান নারী। সেই প্রচেষ্টার ভিডিও আপলোড করেছিলেন টিকটকে। তা মুহূর্তেই একটি ইন্টারন্যাশনাল ফুড ফাইটের জন্ম দিয়েছে! খাদ্য গ্রহণের ওই ‘ইউরোপীয় পন্থা’র চেষ্টা চালানোতে ছুরি-কাঁচি দিয়ে খাবার কাটতে গিয়ে ভীষণ হাস্যরসের উদ্রেক ঘটিয়েছেন অ্যামি। এমন খাদ্য ভক্ষণচর্চা যে আমেরিকান স্টাইলের চেয়ে একেবারেই আলাদা, তা নিয়ে একধরনের কটাক্ষই প্রকাশ পেয়েছে তার প্রচেষ্টায়। তাতে ফুঁসে উঠেছেন ইউরোপীয় অনেক নেটিজেন। ভাইরাল ওই টিকটক পোস্টের কমেন্ট সেকশনে রীতিমতো তুলাধোনা করা হয়েছে অ্যামিকে। অভিহিত হয়েছেন ‘আদিম’ পন্থার খাদ্য ভক্ষণকারী হিসেবে। একজন তো মন্তব্য করে বসেছেন, ‘আমেরিকায় পরিপাটিভাবে খাদ্য গ্রহণ করা কি সত্যি বাজে ব্যাপার?’

চর্বিযুক্ত খাবারে শান্তির ঘুম

চর্বিযুক্ত খাবার সাধারণত স্বাস্থ্যকর নয়, জানা কথা। তবে এবার আমেরিকান গবেষকেরা দিলেন নতুন তথ্য। বিশেষ একটি চর্বিযুক্ত খাবার নিয়মিত গ্রহণ করলে স্বাস্থ্য ভালো থাকে; বিশেষত ঘুম ভালো হয়। খাবারটি একটি ফল। অ্যাভোকাডো। তবে সাধারণ অ্যাভোকাডো নয়; বড় আকৃতির বিশেষ অ্যাভোকাডো। বলছি হাস অ্যাভোকাডোর কথা। গেল মাসের শুরুর দিকে আমেরিকান হার্ট অ্যাসোসিয়েশনের জার্নালে প্রকাশিত এক গবেষণাপত্রে এমন দাবি করা হয়েছে। ২৫ থেকে শুরু করে তার বেশি বয়সী, পেটের স্থূলতায় আক্রান্ত যে ক্ষেত্রে নারীদের ওয়েস্টলাইন ৩৫ ইঞ্চি বা তারও বেশি এবং পুরুষদের ৪০ ইঞ্চি বা তদূর্ধ্ব, এমন ৯৬৯ জনকে পর্যবেক্ষণ করেছেন গবেষকেরা। এদের দুভাগে বিভক্ত হয়ে ২৬ সপ্তাহ ধরে এক দলকে প্রতিদিন একটি বড় আকারের হাস অ্যাভোকাডো খেতে দেওয়া হয়েছিল; অন্য দলের সদস্যরা চালিয়ে গেছেন তাদের নিয়মিত ডায়েট, যেখানে গড়ে মাসে সাধারণত দুটির কম অ্যাভোকাডো খেয়েছেন তারা। ফলাফলে দেখা গেছে, প্রতিদিন অ্যাভোকাডো ভক্ষণকারী দলের সদস্যদের রক্তে ট্রাইগ্লিসারাইড ও কোলেস্টেরলের মতো চর্বিযুক্ত পদার্থ এবং সার্বিক ডায়েটের লক্ষণীয় উন্নতি ঘটেছে। শুধু তা-ই নয়, আগের তুলনায় ঘুমেও উন্নতি ঘটেছে তাদের। এর কারণ হিসেবে গবেষকদের পর্যবেক্ষণ হলো, মনোআনস্যাচুরেটেড ফ্যাটি অ্যাসিড, ডায়েটারি ফাইবার, পটাশিয়াম, ফোলেট, ভিটামিন কে, কপার ও প্যান্টোথেনিক অ্যাসিডের মতো পুষ্টিগুণগুলোর এক দাপুটে মিশ্রণের উৎস হিসেবে অ্যাভোকাডোর পক্ষে ঘুমের ক্ষেত্রে ইতিবাচক প্রভাব রাখা সম্ভব।

মিট দ্য মাঙ্গুস

১৫ জুন ২০২৫ শুরু হয়ে মাসব্যাপী আম উৎসব চলছে রাজধানীর ঢাকা রিজেন্সি হোটেল অ্যান্ড রিসোর্টে। ‘মিট দ্য মাঙ্গুস’ শিরোনামে। প্রতিদিন সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা থেকে রাত সাড়ে ১০টা পর্যন্ত। এই বিশেষ ক্যাম্পেইন আয়োজন করা হয়েছে হোটেলটির গ্র্যান্ডিওস রেস্টুরেন্টে, যেখানে অতিথিরা উপভোগ করছেন আমের নানা মুখরোচক পদ। স্টার্টার থেকে মেইন কোর্স এবং মিষ্টিজাতীয় নানা পদে এই উৎসব সাজানো হয়েছে হোটেলটির এক্সপার্ট শেফদের চমৎকার পরিকল্পনায়।

 ফুড ডেস্ক
ছবি: সংগ্রহ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Back To Top