skip to Main Content
কেমন ত্বকে কোন সাবান?

সুস্থ থাকার জন্য শারীরিক পরিচ্ছন্নতা অপরিহার্য। ব্যস্ত সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিতে গিয়ে বেশির ভাগ সময়ই আমাদের পার করতে হয় বাড়ির বাইরে, অনেক মানুষের মাঝে। তাই জীবাণুর দেওয়া-নেওয়া ঘটে সহজেই।
জীবাণুর হাত থেকে রেহাই পাওয়া সহজ কথা নয়। তবে এর প্রতিকার আছে। দিনে অনেকবারই হাত-মুখ ধুতে হয় কিংবা দু-একবার গোসল করতে হয়। শুধু গোসল করলে জীবাণু দূর হয় না। সে জন্য চাই সাবান। বাজারে নানা ধরনের সাবান আছে। সাধারণভাবে আমরা যে সাবান ব্যবহার করি, সেই সাবান ক্ষারধর্মী হয়ে থাকে। স্বাভাবিক ত্বকের জন্য এ ধরনের সাবান উপযুক্ত। কিন্তু শুষ্ক ত্বকে বিউটি বার প্রদাহ সৃষ্টি করতে পারে।
শুস্ক ত্বকের ক্ষেত্রে ময়শ্চারাইজিং সাবান ব্যবহার করা ভালো। এ ধরনের সাবান ত্বককে আর্দ্র রাখে। ময়শ্চারাইজিং সাবানে ক্ষার কম থাকে বিধায় এ ধরনের সাবান নিউট্রাল হয়। এ ধরনের সাবানে তেলের পরিমাণ বেশি থাকে।
একধরনের ত্বক রয়েছে, যা খুবই সংবেদনশীল। তেমন ত্বকের জন্য গ্লিসারিনযুক্ত সাবান উপযুক্ত। তবে ত্বক বিশেষজ্ঞরা অধিকাংশ সময়েই মেডিকেটেড সাবান পরিহার করার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। তাদের মতে, এ ধরনের সাবান টানা দুই মাসের বেশি ব্যবহার করা উচিত নয়।
সাবানের সবচেয়ে আধুনিক সংস্করণ হচ্ছে তরল সাবান তথা বাথ জেল। এ সাবান অন্যান্য সাবানের তুলনায় ভালো। এতে ক্ষারীয় ভাব কম থাকে বিধায় ত্বক শুষ্ক করে না।
যেমন ধরনের সাবানই ব্যবহার করুন না কেন, আমাদের দেশের আবহাওয়ায় একজন ব্যক্তির দৈনিক দুবার গোসল করা ভালো। সকাল ও সন্ধ্যায়। সন্ধ্যায় গোসলের সময় অল্প গরম পানি দিয়ে গোসল করাই উত্তম। এ সময় সারা শরীরে সাবান ব্যবহার করে গোসল করা উচিত হবে। আর সকালের গোসলে শুধু শরীরের ভাঁজগুলোতে সাবান মেখে ধুয়ে নিলে সারা দিন পরিচ্ছন্ন থাকা যাবে।
গোসলের ক্ষেত্রে ত্বকের ধরন অনুযায়ী সাবান ব্যবহার করাই শ্রেয়। কেমন সাবান ব্যবহার করবেন তা একজন ত্বক পরামর্শকের কাছ থেকে জেনে নিতে পারেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Back To Top