skip to Main Content
চা-কফি পানের বিধি নিষেধ

সকালের বেড টি হোক বা নাশতার ও দুপুরে খাওয়ার পরে কিংবা বিকেলের স্ন্যাকসের সঙ্গে এক কাপ চা নয়তো কফির বিকল্প নেই অনেকের কাছে। কারও কারও কাছে এটা আবার অভ্যাস।
যা হোক, চা কফি পানের যেমন কিছু উপকারিতা আছে, তেমনি সঠিক নিয়মকানুন না মেনে পান করলে হতে পারে কিছু ক্ষতিও। দিনে ২-৩ কাপ চা কফি পান করা যেতে পারে। চা ও কফিতে রয়েছে ক্যাফেইন, যা আমাদের শরীরকে চাঙা করে। অবসাদ ও বিষণ্ণতা কাটাতে চা-কফির তুলনা নেই। তা ছাড়া ক্যাফেইন আমাদের বিপাকক্রিয়ায় সাহায্য করে। নিয়মিত ক্যাফেইন গ্রহণ কর্মক্ষেত্রে রাখতে পারে উজ্জীবিত। মূত্রথলি ও পাকস্থলীর ক্যানসারের ঝুঁকি কমাতে চা সহায়ক ভূমিকা পালন করে। এ ছাড়া চায়ের আরও অনেক স্বাস্থ্যগত উপকারিতা রয়েছে। উচ্চ রক্তচাপ, স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে গ্রিন টির বিকল্প নেই। শারীরিক অবসাদ দূর করে ব্ল্যাক টি।
তবে অতিরিক্ত চা-কফি পান হতে পারে কিছু সমস্যার কারণও। খাদ্য গ্রহণের আগে চা বা কফি পান করলে তা হজম প্রক্রিয়ায় বাধা সৃষ্টি করে এবং খাবার থেকে প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান পেতে বাধা দেয়ে। অতিরিক্ত চা-কফি পান করা অভ্যাস হয়ে যেতে পারে। চায়ের ক্যাফেইন রক্তসঞ্চালন বাড়িয়ে দেয়। এ কারণে পর্যাপ্ত ঘুম হয় না। চা-কফি পানে ক্ষুধামান্দ্য তৈরি হয়। ফলে শরীর দুর্বল হয়ে যেতে পারে। এ ছাড়া গ্যাস্ট্রিক ও আলসার হতে পারে। সুতরাং বেশি মাত্রায় চা-কফি পান না করে পরিমিত গ্রহণই হবে স্বাস্থ্যকর।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Back To Top