skip to Main Content
ত্বকচর্চায় দুধের সর

সুষম খাদ্য হিসেবে দুধ সুপরিচিত। এটি পঞ্চামৃতের একটি। এর যেমন রয়েছে স্বাস্থ্যগুণ, তেমনই রূপচর্চায়ও এর প্রয়োগ আছে। বিশেষ করে দুধের সরের। দুধ জ্বাল দেওয়া হলে দুধ থেকে কিছু পরিমাণ পানি বাষ্পীভূত হয়। ফলে দুধের প্রোটিন ও ফ্যাটের অণুগুলো উপরিভাগে ঘন হতে থাকে। ঘন হতে থাকা প্রোটিন ও ফ্যাটের এ অণুগুলো বাইরের কম তাপমাত্রার সংস্পর্শে এসে ভারী একটি আবরণ তৈরি করে। একেই আমরা দুধের সর বলি। ত্বকের যত্নে দুধের সরের জুড়ি মেলা ভার। চলুন, জেনে নিই ত্বকের সারাইয়ে দুধের সর কীভাবে কাজ করে।
ময়শ্চারাইজার হিসেবে: আগেই বলা হয়েছে দুধের সর প্রোটিন ও ফ্যাটের আধার। আর তাই এটি প্রাকৃতিক ময়শ্চারাইজার হিসেবে কাজ করে। ত্বকে কয়েক মিনিট ধরে দুধের সর মালিশ করা হলে তা ত্বকের গভীরে প্রবেশ করে ক্ষতিগ্রস্ত ত্বকের ক্ষয় পূরণ করে।
ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধিতে: ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধিতেও দুধের সর দারুণ কার্যকর। সরের সঙ্গে মধু মিশিয়ে নিয়মিত ত্বকে মাখলে তা ধীরে ধীরে ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়িয়ে তোলে।
ত্বকের রং হালকা করে: সরে থাকা ল্যাকটিক অ্যাসিড ত্বকের পোড়া ভাব দূর করে। পাশাপাশি প্রাকৃতিকভাবেই এটি ত্বকের রং হালকা করে এবং সার্বিকভাবে ত্বক উন্নত করে।
ত্বকের কালো দাগ দূর করতে: কালো দাগ দূর করতে আক্রান্ত স্থানে কয়েক মিনিট ধরে দুধের সর মালিশ করুন। আরও ভালো ফল পাবেন যদি সরের সঙ্গে এক টেবিল-চামচ লেবুর রস মিশিয়ে নেন। মালিশ করার পর শুকিয়ে এলে বিশুদ্ধ পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। দুধের সর মৃত-কোষ দূর করে নতুন কোষ গঠনে সহায়তা করে।
বয়সের ছাপ দূর করতে: প্রাচীনকাল থেকেই ফেসপ্যাক হিসেবে দুধের সর ব্যবহৃত হয়ে আসছে। এর প্রোটিন ও ভিটামিন কোষকলার উৎপাদন বাড়িয়ে মুখমণ্ডল থেকে বয়সের ছাপ দূর করে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Back To Top