skip to Main Content
দাঁত মাজার কিছু ভুল পদ্ধতি

দাঁত থাকতেই দাঁতের মর্ম বোঝা ভালো। দৈনিক তিন বেলা আমরা খাদ্য গ্রহণ করি। তা ছাড়া সারা দিনই এটা-সেটা খাই। এ পুরো ধকলটাই যায় দাঁতের ওপর দিয়ে। সেই দাঁত যাতে ঠিক থাকে, সে জন্য আমরা ঘুম থেকে উঠে দাঁত ব্রাশ করি। সচেতন ব্যক্তিরা রাতে ঘুমানোর আগেও ব্রাশ করেন। তবে যথার্থ সচেতনতার পরও দাঁত ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। সে ক্ষেত্রে দোষ বর্তায় ব্রাশ কিংবা টুথপেস্টের ওপর। তবে দাঁত মাজার ক্ষেত্রে আমরাও কিছু ভুল করে থাকি বৈকি। চলুন, সেই ভুলগুলো জেনে নেওয়া যাক।

শক্ত ব্রিসলের ব্রাশ ব্যবহার: বাজারে ১০ থেকে ২০ টাকার মধ্যে টুথব্রাশ পাওয়া যায়। অনেকেই সেই ব্রাশ ব্যবহার করে থাকেন। কিন্তু সেগুলোর ব্রিসল অনেক শক্ত হয়ে থাকে। আর তাই তা দাঁতের উপরের এনামেলকে ক্ষতিগ্রস্ত করে। সুতরাং একটু দাম দিয়ে হলেও ভালো ব্র্যান্ডের দামি ব্রাশ কেনা উচিত। নরম ব্রিসলের ব্রাশ ব্যবহারের পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা।

খুব বেশি জোরে দাঁত মাজা অনুচিত: সজোরে দাঁত মাজলেই দাঁতের ময়লা পরিষ্কার হবে, তা নয়। এর ফলে হিতে বিপরীত ঘটতে পারে, মানে দাঁতের ক্ষতি হতে পারে। টুথব্রাশে বেশি জোরে চাপ দিয়ে দাঁত মাজলে দাঁতের এনামেল ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

অতিরিক্ত সময় নিয়ে ব্রাশ করা: একবার দাঁত মাজার পেছনে বড়জোর দুই মিনিট ব্যয় করাই শ্রেয়। এর বেশি হলেই তা দাঁতের জন্য ক্ষতিকর।

খাওয়ার ঠিক পরপরই দাঁত মাজা: আমাদের খাবারের মধ্যে অনেক খাবারই আছে অ্যাসিডিক। আর তাই খাদ্য গ্রহণের ঠিক পরপরই ব্রাশ করা উচিত নয়। খাবার খাওয়ার ৩০ মিনিট থেকে ১ ঘণ্টা পর দাঁত মাজা ভালো। খাওয়ার পর কুলকুচি করাই যথেষ্ট।

ভুল টুথপেস্ট ব্যবহার করা: সঠিকভাবে দাঁত মাজার জন্য ভালো টুথব্রাশের মতো ভালো টুথপেস্টও জরুরি।  টিভি বিজ্ঞাপনের চক্করে মোহিত না হয়ে একটু বেশি দাম দিয়ে ভালো টুথপেস্ট ব্যবহার করলে দাঁত সুরক্ষিত থাকবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Back To Top