skip to Main Content
পালংশাকের নানান গুণ

ভুলে যাওয়া রোগে ভুগছেন? স্মৃতিশক্তি দুর্বল? পালংশাক খান, সব ঠিক হয়ে যাবে। ধারণা করা হয়, এটি প্রথম আবিষ্কৃত হয় চীনে। অনেকের ধারণা, ৬৪৭ খ্রিস্টাব্দে নেপাল থেকে এই শাক চীনে পাড়ি জমিয়েছে। আবার অনেকে বলে থাকেন, এর আদি নিবাস দক্ষিণ-পশ্চিম এশিয়ায়। আমাদের বাংলাদেশে শীতকালে এ শাকের চাষ হয়ে থাকে।
পালংশাক পুষ্টিগুণে ভরপুর। এর রয়েছে বিশেষ স্বাস্থ্যগুণ। পালংশাকে থাকা ফ্ল্যাভনয়েড অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে। যা মস্তিষ্ককে সতেজ রাখে। এটি মস্তিষ্কের বয়স কমানোর পাশাপাশি দীর্ঘদিন ধরে মস্তিষ্কের শক্তি অটুট রেখে অনেক বেশি বয়স পর্যন্ত স্নায়ুতন্ত্রকে নির্ভুলভাবে কাজ করতে সাহায্য করে। এ শাকে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ‘ই’। দৈনিক গড়ে ৩০ গ্রাম পালংশাক খেলে অ্যালঝাইমার্স রোগ হওয়ার আশঙ্কা কমে যায়।
জাপানের গবেষকদের দাবি, পালংশাকের ফ্ল্যাভনয়েড নারীদের শরীরে ওষুধের কাজ করে। নিয়মিত পালংশাক খেলে গর্ভাশয়ে ক্যানসারের আশঙ্কা প্রায় ৪০ শতাংশ কমে যায়। এ ছাড়া পালংশাকে থাকা ক্যারটিনয়েড, নিওজ্যানথিন প্রস্টেট ক্যানসারের কোষকে মেরে ফেলতে সক্ষম।
পালংশাকে আছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ‘এ’, যা চোখের ভেতর ও বাইরের অংশে পুষ্টি জোগায়। এটি অকাল অন্ধত্ব থেকে চোখকে রক্ষা করে। এতে প্রচুর পরিমাণ আয়রনও আছে। এ শাক মাতৃত্বকালীন ডায়াবেটিস থেকে শরীরকে রক্ষা করে। এমনকি গর্ভস্থ শিশুর মেধাবিকাশেও পালংশাকের গুরুত্ব অপরিসীম।
পালংশাকে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন বি১, বি২, বি৩, ও বি৬ রয়েছে। এগুলো চুল পড়া রোধ করার পাশাপাশি ত্বকের উজ্জ্বলতাও বৃদ্ধি করে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Back To Top