skip to Main Content

ফ্যাশন কুইন ও অভিনেত্রী মেরিলিন মনরোর সময়কার মানুষ আমরা নই। তবু কখনো কখনো হলিউডের পুরোনো রৌপ্যপর্দা থেকে বের হয়ে মেরিলিন আমাদের ঘুমের অন্দরে আজও হাতছানি দেয়। আমাদের অবচেতন মন্থন করে জাগিয়ে তোলে একান্ত সব কাঙ্ক্ষা। কিন্তু মেরিলিনের সময় আজ আর নয়। মেরিলিন মনরোর রূপসৌন্দর্য আর যৌনবিভঙ্গের আবেদনময় ছায়াছবির সময় আমরা পার হয়ে গেছি। অথচ মনরোর মতো যৌন আবেদনে আমাদের সামনে তেমন কোনো দৃষ্টান্ত ছিল না এত দিন। রুপালি পর্দা আর ফ্যাশন-বিনোদন জগতে সেই শূন্যতাকে পূরণ করার ক্ষেত্রে অনেকের নামই বারবার আলোচিত হয়েছে, কার্দাশিয়ান বোনেরা যেমন। কিন্তু সবাইকে ছাপিয়ে গেলেন মার্কিন তরুণী কেট আপটন।
বিশ্বের প্রথম সারির এলিট ফ্যাশন ও লাইফস্টাইল ম্যাগাজিন ‘ম্যাক্সিম’ পত্রিকার বিচারে বিশ্বের ১০০ জন সবচেয়ে যৌন আবেদনময়ী নারীর মধ্যে সেরা কেট আপটন। অবশ্য বিশ্বের সবচেয়ে বেশি পারিশ্রমিক উপার্জন করা মডেলও তিনি। ইসরায়েলে তাঁর ফটোশুটের ছবি দুনিয়ার বহু প্রভাবশালী পুরুষের শরীরে ও মনে কাঁপন ধরিয়েছে। দেহকলার প্রকাশকে ক্যামেরার সামনে কীভাবে নান্দনিক করে তুলতে হয়, তা জানেন সুন্দরী কেট। ম্যাক্সিমে প্রকাশিত ছবিগুলোতে দেখা গেছে, বাদামি চুলের সুন্দরী কেট প্রকৃতির খোলা হাওয়ায় নিজেকে উন্মুক্ত করে মেলে ধরেছেন ক্যামেরার সামনে। আর ম্যাক্সিমের পাতা ওল্টাতে ওল্টাতে পাঠকের মনে হয়েছে, ইনিই বুঝি ইতিহাসের যৌনসম্রাজ্ঞী ক্লিওপেট্রা, ইনিই বুঝি গ্রিক মিথোলজির সৌন্দর্য ও যৌনবিভঙ্গের লাস্যদেবী আফ্রোদিতি। তবে তার সঙ্গে অনেকেই মেরিলিনের মিল খুঁজে পাচ্ছেন। কিন্তু কেট যেন আরও পূর্ণ আরও আগ্নেয়!
কেট আপটনের পুরো নাম ক্যাথরিন এলিজাবেথ আপটন। ১৯৯২ সালে জন্ম মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মিশিগান প্রদেশের সেন্ট যোসেফ শহরে। মাত্র ষোলো বছর বয়সে এলিট মডেল এজেন্সিতে কাস্টিং-কলে যান, ওই এজেন্সি তৎক্ষণাৎ মডেল হিসেবে কেটকে নির্বাচন করে। এলিট মডেল এজেন্সির সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়ে কেট নিউইয়র্কে পাড়ি দেন। এরপর মডেলিংয়ে নানা সাফল্য।

‘ভোগ’ পত্রিকার কভার পেজে ছাপা হয় তাঁর ছবি। স্পোর্টস ইলাস্ট্রেটেড’ পত্রিকার সুইমস্যুট ইস্যুতে কেটের ছবি বিনোদন জগতে হইচই ফেলে দেয়। একটি হিপ-হপ ভিডিওর মাধ্যমে সোশ্যাল মিডিয়া থেকে রিয়াল জগতে তার জনপ্রিয়তা ছড়িয়ে পড়ে। বহু হলিউড ফিল্মে অভিনয় করেছেন কেট। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য ‘দ্য লেওভার’, ‘দ্য ডিসাস্টার আর্টিস্ট’, ‘দ্য আদার ওম্যান’ ইত্যাদি। টেলিভিশনেও জনপ্রিয় কেট। ২০১৩ সালে স্টাইল অ্যাওয়ার্ড, ২০১৪ সালে পিপল ম্যাগাজিনের ‘পিপলস সেক্সিয়েস্ট ওম্যান’ অ্যাওয়ার্ড পান এই বিশ্ববিখ্যাত মডেল। ২০১৪ সালে ইন্টারনেটে তার নগ্ন ছবি ছড়িয়ে পড়ে। তৈরি হয় বিতর্ক। কিন্তু সব বিতর্ক ছাপিয়ে সৌন্দর্যে এখন তিনি জগৎজোড়া চাঁদের আলো। যে চন্দ্রকলার তাপে পুড়ছে বিশ্বের পুরুষকুল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Back To Top