skip to Main Content
শরীরের ভেতরে ও বাইরে ঘি

গরম ভাতে একটু ঘি হলে কেমন হয়? ঘিয়ের স্বাদের কথা কমবেশি সবারই জানা। দুধ থেকে তৈরি এ পদের আছে নানান স্বাস্থ্যগুণ।  এতে ওমেগা থ্রি সমৃদ্ধ ফ্যাটি অ্যাসিড, ভিটামিন এ, বিউটারিক অ্যাসিড এবং স্বাস্থ্যকর ফ্যাট থাকে, যা মানবদেহের জন্য উপকারী।

হজম পদ্ধতির উন্নতি, শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানো ছাড়াও চুল ও ত্বকের জন্যও ঘি বেশ উপকারী।  ঘরোয়া কাজ ও চিকিৎসায় ঘি ব্যবহার করা যায়। যেমন, আয়ুর্বেদিক চিকিৎসকেরা বলে থাকেন, ঘুমানোর আগে এক গ্লাস দুধে দুই চামচ ঘি মিশিয়ে খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়।  ঘিয়ে থাকা বিউটারিক অ্যাসিড হজমশক্তি বাড়ায়।

সর্দি-কাশিতে ভোগা, নাক বন্ধ হয়ে থাকা, নিঃশ্বাস নিতে কষ্ট হওয়া, খাবারে অরুচি কিংবা মাথাব্যথা, এসব সমস্যায় ঘি দারুণ ওষুধ হতে পারে।  বন্ধ নাক খুলতে দুই ফোঁটা ঘি হালকা গরম করে নাকের ভেতর দিতে পারেন।  এতে তাৎক্ষণিক ফল পাওয়া যাবে।  ঘি গলার সংক্রমণ সারাতেও সাহায্য করে।  ডায়াবেটিস রোগীদের জন্যও এটি উপকারী।  ঘি শরীরে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করে।

রূপচর্চায়ও রয়েছে ঘিয়ের ব্যবহার। সব ধরনের ত্বকেই ঘি ব্যবহার করা যায়।  ২ টেবিল চামচ ঘি, ২ টেবিল চামচ বেসন, এক চামচ হলুদ এবং পানি একসঙ্গে মিশিয়ে মিশ্রণ তৈরি করে তা মুখে লাগালে ত্বক উজ্জ্বল হয়।  ঘিয়ে থাকা ফ্যাটি অ্যাসিড এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট চুলের জন্য উপকারী। এটি চুলের শুষ্ক ভাব দূর করে।  দুই টেবিল চামচ ঘিয়ের সঙ্গে এক টেবিল চামচ অলিভ অয়েল মিশিয়ে একটি মিশ্রণ তৈরি করে চুলে লাগালে চুল নরম হবে। ঘিয়ের সঙ্গে লেবুর রস মিশিয়ে চুলে লাগালে চুলের রুক্ষতা দূর হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Back To Top