skip to Main Content

২০১৯ সালে প্রথমবার সিনেমার পর্দায় এসে তাক লাগিয়ে দেন সুপারহিরো শাজাম। অদ্ভুত ক্ষমতাধর এই সুপারহিরোকে বেশ ভালোভাবেই গ্রহণ করেছে দর্শক। বক্স অফিসে আশানুরূপ সাফল্যের পাশাপাশি সমালোচকদেরও মন জয় করেছে ‘শাজাম’। যার ফলে স্বাভাবিকভাবেই এর সিক্যুয়েলের জন্য অপেক্ষা ছিলো সবার। সেই অপেক্ষার অবসান ঘটতে যাচ্ছে এবার। ১৭ মার্চ পর্দায় আসছে ‘শাজাম! ফিউরি অব দ্য গডস’। আন্তর্জাতিক মুক্তির দিনেই বাংলাদেশের স্টার সিনেপ্লেক্সে মুক্তি পাবে ছবিটি। আগের ছবির পরিচালক ডেভিড এফ. স্যান্ডবার্গ এবারও ছিলেন পরিচালনার দায়িত্বে। পরিবর্তন আসেনি অভিনয়শিল্পীদের তালিকায়ও। জ্যাচারি লেভি, অ্যাশার এ্যাঞ্জেল, জ্যাক ডিলান গ্রেজার, হেলেন মিরেন, রস বাটলারসহ আগের ছবির প্রায় সবাই থাকছেন এ ছবিতে।

কমিকবুক পড়–য়াদের কাছে অনেক প্রিয় একটি চরিত্র ডিসি কমিকসের শাজাম। বিশ্বজুড়ে অগণিত পাঠকের কাঙ্খিত এই সুপারহিরো যখন সিনেমার পর্দায় আসলো তখন দারুণ কৌতুহল তৈরি হয়। কেবল শাজাম নয়, এর প্রধান ভিলেনগুলোও কমিকবুক জগতে দারুণ জনপ্রিয়। যার মধ্যে ডক্টর সিভানার কথা বিশেষভাবে উল্লে¬খযোগ্য। ডক্টর সিভানা একজন পাগল বিজ্ঞানী। যে বিভিন্ন সময়ে তার খারাপ কাজগুলো সম্পাদন করার সময় শাজামের মুখোমুখি হয়। শাজামের ক্যাপ্টেন মারভেল হিসেবে পদার্পণ করার শুরু থেকেই অর্থাৎ সেই ফসেট কমিকসের সময় থেকেই ডক্টর সিভানা শাজামের প্রধান ভিলেন ছিলো। নিজের গবেষণা ও ব্যক্তিগত পরীক্ষা নিরীক্ষায় বাধা প্রদানের জন্য ডক্টর সিভানা সব সময় শাজামের অনিষ্ট সাধনের চেষ্টা করে। এছাড়া সে শাজামের জাদুকরী ক্ষমতাগুলোর উৎস খুঁজে বেড়ায় এবং তাকে বিপদে ফেলতে সবসময় তৎপর থাকে। ‘শাজাম’ ছবিতেও ডক্টর সিভানাকে ভিলেন হিসেবে দেখা যায়।

প্রথম ছবির কাহিনীতে দেখা গেছে, বাবা-মাকে হারানো কিশোর বিলি ব্যাটসন ছোটবেলা থেকে নানা প্রতিপালক বাবা-মা বা ফস্টার প্যারেন্টসদের কাছে বড় হতে থাকে। কিন্তু বেশিরভাগ পরিবারেই সে বেশিদিন টিকতে পারে না। অনেকগুলো পরিবারে ঘোরাঘুরি করার পর অবশেষে একটি পরিবারে এসে থিতু হয়। একদিন ঘটনাক্রমে সে একটি সাবওয়ে ট্রেনের সামনে হাজির হয়। এই ট্রেন তাকে এক পরাবাস্তব জাদুকরী জগতে নিয়ে যায়। এই জগতের নাম রক অফ এটারনিটি। এখানে তার দেখা হয় উইজার্ড শাজামের সাথে। বিলি ব্যাটসনের অন্তরের কোমলতা ও অত্যাচারীদের প্রতিহত করার প্রবল ইচ্ছা জাদুকরকে মুগ্ধ করে। সে তাকে নিজের শক্তি দান করে এবং বলে যে, ‘শাজাম’ শব্দটি উচ্চারণ করলে সে এক অসাধারণ কিছুতে পরিণত হবে। সামান্য এক বালক যখন ছয় ফুটের বেশি উচ্চতার এক বিশালদেহী মানুষের শরীরে আটকা পড়ে যায়, তখন ব্যাপারটি অন্যরকম কৌতূহল সৃষ্টি করে। পরিচালক সূত্রে জানা যায়, আগের ছবির গল্পের ধারাবাহিকতায় এ ছবির গল্প এগিয়ে যাবে। তবে ছবির নির্মাণশৈলীতে অনেক নতুনত্ব যোগ হয়েছে, যা ছবিটিকে আরও আকর্ষণীয় করে তুলেছে। প্রথম ছবির তুলনায় এ ছবিটি দর্শকরা আরও ভালোভাবে গ্রহণ করবেন বলে মনে করেন পরিচালক। এর কিছুটা আভাস পাওয়া গেছে ছবির ট্রেলার প্রকাশের পর। ট্রেলার যেভাবে দর্শকদের মাঝে সাড়া ফেলেছে তাতে নির্মাতারা আশাবাদী হতেই পারেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Back To Top