skip to Main Content

 

দেশের শিল্প সংস্কৃতির ক্ষেত্রে জাতীয় পর্যায়ে বিশেষ অবদানের জন্য গুণীজনদের অবদানকে সম্মান ও স্বীকৃতি জানাতে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির উদ্যোগে ২০১৩ সাল থেকে ‘শিল্পকলা পদক’ প্রদান করা হয়। বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদানের জন্য বিশ জনকে ‘শিল্পকলা পদক ২০১৯ ও ২০২০’ প্রদান করা হয়।

২২ সেপ্টেম্বর বিকাল ৪.৩০ টায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালা মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয় পদক বিতরণ অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি যোগ দেন রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান এবং সংস্কৃতি  মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আবুল মনসুর।

অনষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে.এম খালিদ এবং স্বাগত বক্তব্য রাখেন শিল্প একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী।

‘শিল্পকলা পদক’-এর জন্য মনোনীত ব্যক্তি/ব্যক্তিগণের প্রত্যেককে একটি করে স্বর্ণপদক (১ ভরি), সনদপত্র এবং এক লক্ষ টাকার চেক প্রদান করা হয়। পদক প্রদানের জন্য তালিকাভূক্ত ক্ষেত্র ১২ টি: কণ্ঠসঙ্গীত, যন্ত্রসঙ্গীত, নৃত্যকলা, নাট্যকলা, চারুকলা, আবৃত্তি, ফটোগ্রাফি, যাত্রাশিল্প, চলচ্চিত্র ও লোকসংস্কৃতি, সৃজনশীল সাংস্কৃতিক সংগঠন/সংগঠক এবং সৃজনশীল সাংস্কৃতিক গবেষক। প্রতি বছরের ন্যায় তালিকাভক্ত ক্ষেত্র হতে নির্বাচিত ১০ টি ক্ষেত্রে ‘শিল্পকলা পদক’ প্রদান করা হয়।

করোনা মহামারির কারনে ‘শিল্পকলা পদক’ এর অনুষ্ঠান স্থগিত থাকায় এ বছর ২০১৯ ও ২০২০ দু’বছর এর পদক একসাথে প্রদান করা হয়। ২০১৯ সালে একটি সংগঠনসহ দশজন ও ২০২০ সালে একটি সংগঠনসহ দশজন করে মোট বিশ জনকে এ পদক প্রদান করা হয়।

আলোচনা ও পদক প্রদান শেষে পরিবেশিত হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। শুরুতেই বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি শিশু সংগীত দলের পরিবেশনায় সমবেত শিশু সংগীত ‘আমরা সুন্দরের অতন্দ্র প্রহরী’ পরিবেশিত হয়। সংগীতটির সুর, ভাবনা ও পরিকল্পনায় ছিলেন লিয়াকত আলী লাকী, কথা-মাসুম সালাউদ্দিন, সংগীতায়োজনে ছিলেন ইবনে রাজন এবং নৃত্য পরিচালনা করেছেন ইয়াসমিন আলী।

একাডেমির শিশু নৃত্যদল পরিবেশন করেন সমবেত শিশু নৃত্য ‘শুকনো পাতার নুপূর পায়ে’। জয়দ্বীপ পালিত এর পরিচালনায় ‘বিপুল তরঙ্গ রে’ এবং ‘মানুষ হ মানুষ হ আবার তোরা মানুষ হ’ নৃত্য দুটি পরিবেশন করেন একাডেমির নৃত্যশিল্পীবৃন্দ। কণ্ঠ দিয়েছেন একাডেমির সংগীত শিল্পীবৃন্দ, সংগীতায়োজনে ছিলেন শেখ জসীম এবং সমবেত শিশু নৃত্যসহ তিনটি নৃত্যের ভাবনা ও পরিকল্পনায় ছিলেন লিয়াকত আলী লাকী। প্রিয়াংকা গোপ ও কিশোর দাস গেয়ে শোনান ‘জীবন সে তো পদ্মপাতায়’ এবং ‘দিন যায় কথা থাকে’ শিরোনামে দুটি একক সংগীত।

ফিফা চাকমা পরিচালিত ‘বাংলার বর্ণিল সংস্কৃতি’ (চাকমা, মারমা, ত্রিপুরা, তংচঙ্গা, বম, মনিপুরী, গারো, হাজং, সাওতাল ও ওরা) শিরোনামে পরিবেশিত হয় ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী নৃত্য। সবশেষে পরিবেশিত হয় নৃত্যালেখ্য ‘ষড়ঋতু’। ফারহানা চৌধুরী বেবী পরিচালিত নৃত্যালেখ্য পরিবেশন করেন বাংলাদেশ একাডেমি অফ ফাইন আর্টস এবং ভাবনা ও পরিকল্পনা করেন লিয়াকত আলী লাকী। অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন দিলরুবা সাথী ও ইমতিয়াজ আহমেদ।

 

শিল্পকলা পদক’ ২০১৯ ও ২০২০ প্রাপ্ত গুণীজনরা হলেন:-

পদকের ক্ষেত্র শিল্পকলা পদক’ ২০১৯ শিল্পকলা পদক’ ২০২০
নাট্যকলা মাসুদ আলী খান মলয় ভৌমিক
কণ্ঠসঙ্গীত হাসিনা মমতাজ মাহমুদুর রহমান বেণু
চারুকলা আবদুল মান্নান শহিদ কবীর
চলচ্চিত্র অনুপম হায়াৎ শামীম আখতার
নৃত্যকলা লুবনা মারিয়াম শিবলী মোহাম্মদ
লোকসংস্কৃতি শম্ভু আচার্য্য শাহ আলম সরকার
যন্ত্রসঙ্গীত মো. মনিরুজ্জামান মো. সামসুর রহমান
ফটোগ্রাফি এম এ তাহের আ ন ম শফিকুল ইসলাম স্বপন
আবৃত্তি হাসান আরিফ ডালিয়া আহমেদ
সৃজনশীল সাংস্কৃতিক সংগঠন ছায়ানট দিনাজপুর নাট্য সমিতি

 

 

 

 

 

 

 

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Back To Top