skip to Main Content
ইনফিনিক্স নোট ১১ প্রো: ফ্ল্যাগশিপ স্মার্টফোন

গেমিং উপযোগী ফোন ইনফিনিক্স নোট ১১ প্রো স্মার্টফোন। তাতে ইনফিনিক্সের ফ্ল্যাগশিপ ডিভাইসের ডিজাইনের সঙ্গে রয়েছে হেলিও জি৯৬ পাওয়ার প্রসেসর, যেটি দেশের স্মার্টফোনে প্রথমবারের মতো ব্যবহার করা হয়েছে। এই স্মার্টফোনে আরও আছে, ১২০ হার্টজ ৬.৯৫” এফএইচডি+ আল্ট্রা-ফ্লুয়িড ডিসপ্লে, ৩০ এক্স আল্ট্রা জুমের ৬৪ মেগাপিক্সেল এআই ট্রিপল ক্যামেরা, ‘৮জিবি+৩জিবি’ বর্ধিত র‌্যাম এবং ৩৩ ওয়াট র‌্যাপিড চার্জ সক্ষমতার ৫০০০ এমএএইচ শক্তিশালী ব্যাটারি ও ডেডিকেটেড টেলিফটো স্ন্যাপার।

নতুন এই ডিভাইস সম্পর্কে একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে আরও কিছু তথ্য জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। প্রতিষ্ঠানটির পক্ষে থেকে বলা হয়েছে, “ইনফিনিক্সের নোট ১১ প্রো প্রথমদিকের স্মার্টফোনগুলোর একটি যেটিতে মিডিয়াটেকের নতুন হেলিও জি৯৬ আল্ট্রা-গেমিং অক্টা-কোর প্রসেসর রয়েছে এবং এটির পারফরম্যান্স সর্বোচ্চ ২.০৫ গিগাহার্টজ পর্যন্ত। মোবাইলটির উন্নত বুদ্ধিবৃত্তিক টেকনোলজি ব্যবহারকারীদের গেমিং এর অসাধারণ অভিজ্ঞতা দেবে।  স্টাইল, পারফরম্যান্স ও ডিজাইন সবকিছুর মিশেলে নোট ১১ প্রো যেন স্মার্টপ্রেমীদের মনের মতনই একটি ডিজিটাল গ্যাজেট।

শক্তিশালী ও দ্রুত গতির এই মোবাইল সেটে রয়েছে একেবারেই নতুন হেলিও জি৯৬ ফিচার এর দুটি আর্ম কর্টেক্স-এ৭৬ এবং ছয়টি এ ৫৫ প্রসেসর নেক্সট-লেভেল ইন্টিলিজেন্স ও যুগান্তকারী পারফরম্যান্স এর সমন্বয়। মিডিয়াটেক হেলিও জি৯৬ চিপসেট স্মার্টফোনে এমনভাবেই ডিজাইন করা হয়েছে যাতে এটি সর্বোচ্চ ৪জি গেমিং অভিজ্ঞতা দিতে পারে। এই স্মার্টফোনে আরও রয়েছে মালি-জি৫৭ গ্রাফিক্স প্রসেসিং ইউনিট (জিপিইউ) এবং এর ফলে কোনো রকম বিঘ্ন ছাড়াই গ্রাহকরা কার্যকরী গ্রাফিক্স পারফরম্যান্স পেতে পারছেন। এছাড়া দীর্ঘস্থায়ী ব্যাটারি লাইফ নিশ্চিত করায় ডিভাইসটিতে ভারী ভারী অ্যাপস কিংবা নেটফ্লিক্স বিনোদন আনন্দসহকারে উপভোগ করা যাবে। নোট ১১ প্রো’তে আরো রয়েছে মিডিয়াটেক হাইপার ইঞ্জিন ২.০ লাইট টেকনোলজি। অত্যাধুনিক এই প্রযুক্তি নেটওয়ার্ক টাওয়ার এবং মোবাইল ফোনের মধ্যকার রেসপন্স টাইম বাড়িয়ে দেয়, সেইসঙ্গে অপ্রয়োজনীয় বিঘ্নও লাঘব করে। এই স্মার্টফোন সর্বশেষ প্রযুক্তির ব্যবহার ও সৃজনশীলতার অনন্য দৃষ্টান্ত প্রদর্শন করে।

ইনফিনিক্স বিশ্বাস করে, অপেক্ষাকৃত বড় ডিসপ্লের মাধ্যমে স্মার্টফোন ব্যবহারকারীরা মোবাইলের মাধ্যমে ভিন্নধর্মী বাস্তবিক অভিজ্ঞতা পেতে পারেন। তাই নোট ১১ প্রোতে রয়েছে একটি সমন্বিত ভিজ্যুয়াল থিম। ডিভাইসটির ৬.৯৬” ডিসপ্লে শুধু দেখতে বড়ই নয় এবং এটি টিইউভি রেইনল্যান্ড লো ব্লু লাইট সার্টিফিকেশনও প্রাপ্ত। চোখের অবসাদ না ভুগেও ইনফিনিক্সভক্তরা দীর্ঘসময় মোবাইল সেটটি ব্যবহার করতে পারবেন। এটির ১২০হার্টজ আল্ট্রা স্মুথ প্যানেলও স্মার্টফোনটির বিশেষ সংযোজন।

ডিভাইসে যথাযথ ফিঙ্গার রিকগনিশেন সিস্টেম থাকায় ব্যবহারকারীরা গেমিং বা দ্রুত কাজ করার ক্ষেত্রে বাধার মুখে পড়বেন না। এটি সঠিকভাবে ও দ্রুততর সময়ে স্ক্রিনে আঙুল শনাক্ত করতে পারে ও অনেক সময় বাঁচিয়ে দেয়। এই স্মার্টফোনের টাচ স্যাম্পল রেট সর্বোচ্চ ১৮০ হার্টজ। আরো রয়েছে বর্ধিত ইমেজ স্ট্যাবেলিটি, এতে হাই-স্পিড মুভি ও স্ক্রিন সোয়াপও করা যায় স্বাচ্ছন্দ্যে। এই ধরনের ফিচারগুলো নোট ১১ প্রোকে গ্রাহকদের পছন্দের ফোনে পরিণত করেছে।

ইনফিনিক্স নোট ১১ প্রো গল্প বলার ধরনে এনেছে বৈচিত্র্যতা ও নতুনত্ব। এটির আকর্ষণীয় ৩০এক্স ডিজিটাল জুমের আকর্ষণীয় ট্রিপল ক্যামেরা, ৬৪ মেগাপিক্সেল আল্ট্রা-নাইট মেইন লেন্স (এফ/১.৭ অ্যাপার্চার), ১৩ মেগাপিক্সেল টেলিফটো লেন্স (এফ/২.৪৬ অ্যাপার্চার) এবং ২ মেগাপিক্সেল বোকেহ লেন্স (এফ/২.৪ এপার্চার) সযত্নে ব্যবহারকারীদের প্রতিদিনের আনন্দময় মুহূর্ত জমা করে রাখে।

নোট ১১ প্রো’তে রয়েছে অটো ফোকাস সুবিধা সম্বলিত ফ্রন্ট ফেসিং ১৬ মেগাপিক্সেল সেলফি ক্যামেরা, যাতে প্রাণবন্ত ও স্পষ্ট ছবি তোলা যায়।  যেকোনো আলোতেই অসাধারণ ছবি তোলা সম্ভব এই অত্যাধুনিক ডিভাইসটির মাধ্যমে। এই ফোনটি ব্যবহার করে গ্রাহকরা সহজেই ফাংশানালিটি, পাওয়ার ও ক্রিয়েটিভিটির সমন্বয়ে অসাধারণ লাইফস্টাইল পেতে পারেন।

ফ্ল্যাগশিপ এই স্মার্টফোনে রয়েছে ৫ হাজার এমএএইচ ব্যাটারি এবং ৩৩ ওয়াট র‌্যাপিড চার্জ সক্ষমতা। ফলে ইচ্ছেমতো সারাদিন নোট ১১ প্রো ব্যবহার করতে পারেন ব্যবহারকারীরা। এই ব্যাটারি সক্ষমতার কারণে সারাদিন গেমিং ও অন্যান্য দীর্ঘস্থায়ী কাজ করা যাবে ডিভাইসটি ‍দিয়ে। এছাড়া, ‘নোট ১১ প্রো’ এর নিরাপদ ‘টিইউভি রেইনল্যান্ড’ ফাস্ট-চার্জিং টেকনোলজি ব্যাটারির অবনমন না ঘটিয়েই সর্বোচ্চ ৮০০ চার্জ পর্যায়ক্রম (সাইকেল) সম্পন্ন করতে সক্ষম। যা স্মার্টফোন ব্যবহারে গতি এনে দিচ্ছে।

ইনফিনিক্স নোট ১১ প্রোতে রয়েছে বর্ধিত র‌্যাম টেকনোলজি। তাই মোবাইল ফোনের র‌্যাম এক ক্লিকেই ৮ জিবি থেকে ১১ জিবি অর্থ্যাৎ ৩ জিবি পর্যন্ত বাড়ানো সম্ভব। তাই একইসঙ্গে অনেক অ্যাপের ব্যবহার ও পারফরম্যান্স বুস্ট করার অপশন রয়েছে ডিভাইসটিতে। ফোনে এই বিশেষ প্রযুক্তি থাকায় নোট ১১ প্রো’তে একইসঙ্গে ৯টি থেকে বাড়িয়ে ২০টি পর্যন্ত অ্যাপ ব্যবহার করা যায়। অধিকন্তু, এই স্মার্টফোনে আরও রয়েছে ১২৮জিবি রম, যেটি ২ টেরাবাইট পর্যন্ত বর্ধিত করা সম্ভব।

গ্রাহকরা ‘মিথ্রিল গ্রে এবং হেজ গ্রিন’ এই দুই রঙে ডিভাইসটি কিনতে পারবেন। স্মার্টফোনের ম্যাট ফিনিশ ও টেক্সারড আবহ এটির মজবুত গ্রিপ নিশ্চিত করে ও ব্যবহারকারীরা ফোনটি স্বাচ্ছন্দ্যে হাতে নিতে পারেন। এছাড়া  ‘ক্লাসিক-স্মার্ট লুক’ এর এ মোবাইলটিতে আঙুলের ছাপ পড়ে না। পাশাপাশি হেডফোন স্পটটাও রয়েছে সঠিক জায়গায়। ইনফিনিক্স নোট ১১ প্রো’র নেট ওজন ২০৯ গ্রাম এবং এটি দু হাতেই সমানতালে ব্যবহার করা যাচ্ছে। ডিভাইসের সিম ট্রেতে সহজেই মাইক্রো-সিম পাশাপাশি রাখা যায় ও মাইক্রো এসডি কার্ডের জন্য উপযুক্ত স্লট রয়েছে।

স্মার্টফোনটিতে ডিজিটাল থিয়েটার সিস্টেমস (ডিটিএস) থাকায় চারপাশের সাউন্ড ভারসাম্যপূর্ণভাবে শোনা যায়। এছাড়া ডিভাইসের শীর্ষে ও নিচে আছে সিনেম্যাটিক ডুয়েল স্পিকার। এটির থ্রিডি ৯-লেয়ার গ্রাফিন লাইন নোট ১১ প্রো’কে কার্যকরভাবে বিভিন্ন তাপমাত্রায় নিরাপদ রাখে, ফলে ফোনটি ওভারহিটিং থেকে রক্ষা পায় ও অসাধারণ পারফরম্যান্স দেখাতে পারে।

আলোচিত এই ডিভাইসের ‘এক্সওএস ১০’ এর মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা সহজে ‘অন-ট্রেন্ড সিসেটম-ওয়াইড আইকন’, ‘রিবাউন্ড ইফেক্টস’, ‘প্রাইভেসি’ রক্ষার উপায়সহ নিরাপদ সফটওয়্যার অভিজ্ঞতা পেতে পারছেন। ‘এক্সওএস ১০’ এ রয়েছে, ‘প্রাইভেসি ট্র্যাকার’, ‘বড় ফোল্ডার’ ও অন্যান্য সুবিধা। এছাড়া, স্মার্টফোনের  ‘সাইড মাউন্টেড ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেন্সর’ এর কারণে দ্রুত পেমেন্ট নিশ্চিত করা যাবে ডিভাইসে এবং ‘ফেস আনলক টেকনোলজি’ থাকায় মাস্ক পরাকালীনও এ প্রযুক্তির মাধ্যমে ফোনটি ব্যবহার করতে পারবেন গ্রাহকরা।

ইনফিনিক্সের বুস্টার ফিচারটি ‘লেখা ও পড়ার’ সময় ডিভাইসের গতি ঠিক রাখে ও ক্যাশ লোডিং এবং অন্য অ্যাপ ব্যবহারকালে অযাচিত বিঘ্ন কমিয়ে আনে। নোট ১১ প্রো’তে আরো রয়েছে সমন্বিত লিনিয়ার মোটর টেকনোলজি, ফলে গেম প্লেয়িং এর সময় মজার ছোট ছোট ভাইব্রেশন অনুভূত হয়।

এছাড়া, এই স্মার্টফোনের ‘ডার-লিংক ২.০’ আল্টিমেট বুস্টার সফটওয়্যার কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) মাধ্যমে ভালো মানের ছবি তোলা, ব্যাটারি অপটিমাইজ করা, টেমপারেচার ঠিক রাখা, অডিও টেকনোলজির পরিপূর্ণ ব্যবহার ও  স্ক্রিনের সংবেদনশীলতা ঠিক রেখে বিনোদন উপভোগ বহুমাত্রায় বাড়িয়ে দেয়।

তাই এতসব ফিচার নিয়ে আলাপ-আলোচনার পর আমরা সিদ্ধান্ত নিতেই পারি যে, বাজারে ইনফিনিক্সের নোট ১১ প্রো ডিভাইসটির বিশেষ চাহিদা রয়েছে। সাশ্রয়ী মূল্যে এতসব সুবিধা কী করে কোম্পানিটি দিতে পারছে তা প্রতিযোগী ব্র্যান্ডগুলোর কাছেও এক রহস্য! তাই স্মারটফোন ব্যবহারের সবচেয়ে আকর্ষণীয় ও আনন্দময় অভিজ্ঞতা পেতে চাইলে গ্রাহকরা নির্দ্বিধায় এই ডিভাইসটি বেছে নেবেন। এই শক্তিশালী ডিভাইসটি ক্রেতারা মাত্র ২১,৪৯০ টাকায় সারাদেশের রিটেইল ও ব্র্যান্ড স্টোর থেকে কিনতে পারবেন।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Back To Top