skip to Main Content
ঈদে আরামদায়ক ডাই

ডাই মানে রং। প্রাকৃতিক রং ব্যবহার করে কাপড়ে যে নকশা বা ডিজাইন করা হয় তা ডাই নামে পরিচিত। এমন কাপড়ে নকশা তৈরিতে ব্যবহার করা হয় তুঁতে, মেহেদি, গাঁদা, শিউলি, খয়ের থেকে প্রাপ্ত প্রাকৃতিক রং। আজকাল অবশ্য কৃত্রিম রং ব্যবহার করতেও দেখা যায়। ডাই দেওয়া কাপড় গরমে বেশ আরামদায়ক হয়।

আরাম ও ফ্যাশনের কথা মাথায় রেখেই এবার ঈদে ডাই পোশাক বেশ চোখে পড়ছে। এমন সময় ছিল যখন ডাই বলতে বোঝানো হতো শুধু বাটিক কাপড়কে। সেই ধারণা এখন বদলেছে। মোম বা বাটিকের সঙ্গে জায়গা করে নিচ্ছে ভেজিটেবল ডাই।

গরমে আরাম: এবার যেহেতু ঈদ গরমে পড়েছে, সেই দিকটা মাথায় রেখেই বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দিচ্ছেন ঈদে ডাই কাপড় পরিধান করার। কেননা এ কাপড়ের বৈশিষ্ট্য হলো, এতে রং করা হয় একেবারে পাতলা ও নরম কাপড়ের উপর। যা গরম আবহাওয়ার জন্য উপযোগী।

প্রকৃতির কাছাকাছি নকশা ও রং : রাসায়নিক রং শরীরের পক্ষে বেশ ক্ষতিকারক। ডাই কাপড়ে প্রাকৃতিক রং ব্যবহার করা হয় বিধায় সেটি স্বাস্থ্যসম্মত। এবার যতটা সম্ভব ডাই কাপড়ে প্রকৃতিকে তুলে ধরা হয়েছে। দেশীয় ঐতিহ্য ফুল, পাতা–লতা, কলকি ইত্যাদি দেশীয় নকশা অনুসরণ করা হচ্ছে। টাঙ্গাইল শাড়ির নকশি পাড়ে ডাই দিয়ে কাজ করা হয়েছে এবারের ঈদে।

পোশাকের ভিন্ন কাট ও নতুনত্ব: এবার ঈদে ভিন্ন কাট থাকছে ডাই পায়জামা ও পালাজোগুলোতে। পাশাপাশি একটু ঢিলেঢালাভাবেই বানানো হচ্ছে সেগুলো। এ ছাড়া নতুন সংযোজন হিসেবে যুক্ত হচ্ছে পকেট। ব্লক দিয়ে ডাইয়ের কাজ করে আনার হচ্ছে ফিউশন ডাই।

নিখাঁত বুটিক হাউজের স্বত্বাধিকারী রুনা শারমিন জানিয়েছেন, কামিজ ও শাড়ি দুটোতেই বিভিন্ন শেডের ন্যাচারাল ডাই ব্যবহার করা হচ্ছে। পাশাপাশি তরুণদের কথা মাথায় রেখে ডাই করা তৈরি টি–শার্ট এসেছে বাজারে। কমলা, মেটে হলুদ, গাঢ় আকাশি রঙের ডাই পাওয়া যাবে সহজেই।

দামাদামি: প্রাকৃতিক রং সংগ্রহ ও প্রক্রিয়াকরণ শ্রমবহুল হওয়ায় দাম তুলনামূলক একটু বেশি। ডাইয়ের কামিজ ও শাড়ির দাম শুরু হয়েছে দুই হাজার টাকা থেকে। নিখুঁত বুটিক হাউজে ডাইয়ের শাড়ি অথবা কাপড়ের দাম পড়বে ১ হাজার ৮০০ থেকে ২ হাজার ৫০০–এর মধ্যে। তবে ভেজিটেবল ডাইয়ের দাম একটু বেশি পড়বে। ডাই করা টি-শার্টের দাম পড়বে ১ হাজার ১৭৫ থেকে ১ হাজার ৩০০ টাকা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Back To Top