skip to Main Content
ওয়াশিং মেশিন পরিষ্কারের সহজ উপায়

যুক্তরাষ্ট্রের ফোর্বস ম্যাগাজিনের দেওয়া তথ্য মতে, করোনাভাইরাস কাপড়ে ২৪ ঘণ্টা পর্যন্ত সক্রিয় থাকতে পারে। একটি নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় ধোয়া হলেই কেবল কাপড় থেকে করোনাভাইরাস পুরোপুরি ধ্বংস করা সম্ভব হয়। এক্ষেত্রে, বিশেষজ্ঞরা ওয়াশিং মেশিনে কাপড় ধোয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।

কাপড় থেকে যে ধুলোময়লা পরিষ্কার করা হয়, তা মেশিনের ভেতরে কোথাও না কোথাও গিয়ে জমা হয়। ফলে, ধীরে ধীরে ওয়াশিং মেশিনের ভেতরে একটি চিটচিটে ভাব তৈরি হতে থাকে। নিয়মিত পরিষ্কার করা না হলে মেশিনের ঢাকনার আশপাশের জায়গায় ডিটারজেন্ট ও পানিবাহিত ময়লার স্তর পরে। যা ধীরে ধীরে প্রয়োজনীয় হোম অ্যাপ্লায়েন্সের কার্যকারিতা কমিয়ে আনে। এমনকি এর ফলে কাপড় থেকে দুর্গন্ধও ছড়াতে পারে।

কাপড়কে পরিচ্ছন্ন ও সতেজ রাখতে প্রতি মাসে অন্তত একবার ওয়াশিং মেশিন পরিষ্কার করা যেতে পারে। যদি ওয়াশিং মেশিনে সেলফ-ক্লিন সুবিধা থাকে, তবে সাইকেল নির্ধারণ করে এবং ব্যবহার নির্দেশনাবলী অনুসরণ করে মেশিনের রক্ষণাবেক্ষণ করা যেতে পারে। অন্যথায় তিনটি সহজ ধাপ অনুসরণ করে ওয়াশিং মেশিনের যন্ত্রাংশের যত্ন এবং কাপড়কে সতেজ এবং পরিষ্কার রাখা যেতে পারে।

ভিনেগার বা ব্লিচ ব্যবহারের মাধ্যমে

খালি মেশিনে দুই কাপ সাদা ভিনেগার অথবা ঘনভাবে গোলানো ব্লিচ (দশ-ভাগ পানিতে এক ভাগ ব্লিচ) ব্যবহার করে একটি হট সাইকেল চালনা করতে হবে। ভিনেগার বা ব্লিচ ডিটারজেন্ট ডিস্পেন্সারে দিন। গরম পানি ও ভিনেগারের মিশ্রণ ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করবে ও এর বিস্তার রোধ করবে। ভিনেগারের ফলে স্যাঁতস্যাঁতে ভাব কেটে গিয়ে সুগন্ধও ছড়াবে।

মেশিনের ভেতরের এবং বাইরের অংশ ঘষে পরিষ্কার করা যেতে পারে

একটি বালতিতে এক লিটার পানি বা ঘনভাবে গোলানো ব্লিচের সাথে এক কাপের চার ভাগের এক ভাগ সমপরিমাণ ভিনেগার মেশাতে হবে। একটি স্পঞ্জ বা সফট-ব্রিসল টুথব্রাশের সাহায্যে এই মিশ্রণটি ব্যবহার করে মেশিনের ভেতরের অংশটি ঘষে পরিষ্কার করে নিন। ফ্যাব্রিক সফটনার বা সাবান ডিস্পেন্সারের প্রতি বিশেষ মনোযোগ দিতে হবে। যদি ডিস্পেন্সারটি খুলে নেওয়া যায়, সেক্ষেত্রে সেটি ভিনেগারমিশ্রিত পানিতে চুবিয়ে রাখুন। মেশিনের বাইরের অংশটিও মুছে ফেলতে হবে। মেশিনের দরজার ভেতরের অংশটিও ডিস্টিল্ড ভিনেগারের সাহায্যে ভালোভাবে মুছে নিতে হবে যাতে ব্যাকটেরিয়া ও ঝুলকালি পরিষ্কার হয়ে যায়।

পুনরায় একটি হট সাইকেল পরিচালনা করুন

কোনো প্রকার ভিনেগার বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার ছাড়াই পুনরায় একটি সাধারণ হট সাইকেল পরিচালনা করুন। প্রথম সাইকেলের সাথে নরম হয়ে উঠে আসা ময়লা পুরোপুরি পরিষ্কার করে নিতে প্রয়োজনে ড্রামে আধা কাপ বেকিং সোডা দিতে হবে। প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন হলে ড্রামের ভেতরের অংশটি মাইক্রোফাইবার কাপড়ের মাধ্যমে মুছে নিন, যাতে কোনো কিছু জমে না থাকে।

ওপরের বিষয়গুলো অনুসরণ করার মাধ্যমে খুব সহজেই ওয়াশিং মেশিন পরিষ্কার করা সম্ভব। তাই যারা ইতিমধ্যে ওয়াশিং মেশিন কেনার কথা ভাবছিলেন, কিন্তু এর রক্ষণাবেক্ষণ নিয়ে না জানার কারণে দ্বিধার মধ্যে ছিলেন, তারা জীবনকে সহজ করে তুলতে এবং পরিবারকে সুরক্ষিত রাখতে কিনে ফেলতে পারেন প্রয়োজনীয় এ হোম অ্যাপ্লায়েন্সটি। দেশের বাজারে অনেক প্রতিষ্ঠানেরই অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ওয়াশিং মেশিন পাওয়া যাচ্ছে। সিঙ্গার বাংলাদেশও বৈশ্বিক মহামারির প্রতিকূল সময়ে ক্রেতাদের সুবিধার্থে ওয়াশিং মেশিনসহ তাদের নানা হোম অ্যাপ্লায়েন্স পণ্যে ডিসকাউন্টসহ দিচ্ছে কিস্তি সুবিধা। পাশাপাশি যেকোনো মডেলের ওয়াশিং মেশিনে ২০ দিনের ‘ফ্রি ট্রায়াল অফার’ প্রদান করছে প্রতিষ্ঠানটি

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Back To Top