skip to Main Content
কোমল পানীয়র ক্ষতিকর দিক

আবহাওয়া যখন উত্তপ্ত তখন শরীরে চাই শীতল প্রশান্তি। তৃষাহরা পানীয়গুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয় বোধ হয় বোতলজাত কোমল পানীয়ই। তা ছাড়া একটু গুরুপাক কিংবা ফাস্ট ফুডের পরপর বোতলজাত কোমল পানীয় পান করা যেন একটা ট্রেন্ড হয়ে গেছে। বন্ধু আড্ডায় আগে যেখানে থাকত চা, সেখানে ধীরে ধীরে আশ্রয় পেয়েছে কোমল পানীয়। তবে এ পানীয় গলা ভিজিয়ে তৃষ্ণা নিবারণ করলেও এগুলোতে আছে স্বাস্থ্যঝুঁকি। এগুলো মানবদেহের উপর বিরূপ প্রতিক্রিয়া ফেলে।
বেশির ভাগ কোমল পানীয় অতিরিক্ত চিনি ও ক্যালরিসমৃদ্ধ হওয়ার কারণে এগুলো পান করার পর হজমে বাধা সৃষ্টি হয়। তা ছাড়া শরীরে অক্সিজেনের পরিমাণ হ্রাস করে এ পানীয়গুলো। সবচেয়ে বিপজ্জনক বিষয় হচ্ছে, কোমল পানীয় পানের কারণে দিন দিন ক্যানসারের ঝুঁকি বেড়েই চলেছে।
যুক্তরাষ্টের ক্যানসার বিশেষজ্ঞ ডা. ফ্রান্সিসকোর ভাষ্য, ‘অত্যধিক কোমল পানীয় সেবনের ফলে শরীরে অক্সিজেনের পরিমাণ হ্রাস পায়, যা মানবদেহের জন্য ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ায়।’
তিনি জানিয়েছেন, ডায়াবেটিস, হার্ট অ্যাটাক, কিডনিতে পাথর, অতিরিক্ত ওজন, বন্ধ্যাত্বের মতো জটিল রোগব্যাধির ঝুঁকিও বাড়ছে এই কোমল পানীয় পানের অভ্যাস থেকে। তাই সুস্থতার জন্য কোমল পানীয় পানের অভ্যাস ত্যাগ করা অত্যন্ত জরুরি।
সুতরাং বাজারজাত কোমল পানীয় পানের অভ্যাস বর্জন করাই ভালো। অতি গরমের দাবদাহ থেকে বাঁচতে ডাবের পানি বা ফলের জুস করে পান করাই উত্তম। আরও ভালো হয় যদি বাজার থেকে কেনা ফলের জুস না পান করে ঘরে বানানো জুস পান করা হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Back To Top