skip to Main Content
চিরতার এত গুণ!

চিরতার পানিতে অনেকের অনীহা। তবু যারা চোখ নাক বুজে প্রতিদিন সকালে এক কাপ করে চিরতার পানি পান করতে পারেন, একমাত্র তারাই উপলব্ধি করতা পারেন এর স্বাস্থ্যগুণ।
চিরতা মূলত বর্ষজীবী একটি উদ্ভিদ। এ গাছটি শুকিয়ে নিয়ে একে ঔষধি কাজে লাগানো হয়ে থাকে।
চিরতা পান করলে শরীরে সহজে ব্যাকটেরিয়া কিংবা ভাইরাস বাসা বাঁধতে পারে না। এর কারণ হচ্ছে চিরতার তেতো স্বাদ। চিরতার এই তিক্ততাই মানুষের শরীরকে ব্যাকটেরিয়াজনিত রোগবালাই থেকে সুরক্ষিত রাখে। ডায়াবেটিক রোগীদের জন্যও এটি বেশ উপকারী। চিরতা রক্তে চিনির পরিমাণ কমিয়ে রক্তে সুগারের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখে। এ ছাড়া চিরতার পানি রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা হ্রাস করে। তা ছাড়া রক্তের অ্যানিমিয়া কমাতে দারুণ ভূমিকা রয়েছে এটির। জ্বরের সময় শরীর দুর্বল লাগা ও জ্বর জ্বর ভাব দূর করতেও চিরতা কার্যকর।
যারা তারুণ্য ধরে রাখতে চান তাদের জন্য চিরতা টনিকের মতো কাজ করবে। কেননা, চিরতা রক্ত পরিষ্কার রেখে রক্তের সঞ্চালন বৃদ্ধি করে। ফলে প্রতিটি কোষ সজীব হয়ে ওঠে। অ্যালার্জিজনিত সমস্যার হাত থেকেও মুক্তি দেবে চিরতা। অ্যালার্জির কারণে চোখ কিংবা শরীর দুলে যাওয়া ছাড়াও ত্বকের অন্যান্য সমস্যাও দূর করে চিরতা।
যারা লিভারের সমস্যায় ভুগছেন, তাদের জন্যও চিরতা উপকারী। চিরতার পানি লিভার পরিষ্কার রাখে। এ ছাড়া লিভারের ফ্যাটি অ্যাসিডসহ আরও নানা রোগের নিরাময় করে চিরতার পানি। বদহজম, অ্যাসিডিটি থেকেও সুরক্ষা দেয় চিরতা। মোদ্দা কথা, চিরতা শরীরকে ভেতর থেকে পরিষ্কার করে। এর পানি শরীরের ভেতরকার ক্ষতিকারক টক্সিন বের করে দেয়। এতে করে শরীর ফ্রেশ থাকে।
তবে চিরতা যেহেতু ব্লাড সুগার লেবেলকে কমিয়ে দেয়, তাই এটি ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী খাওয়া উচিত।
এ তো গেলও শরীরের ভেতরকার কথা। বাহ্যিক রূপচর্চায়ও কাজে আসে চিরতা। চামড়ার ঘা, ক্ষত, ইনফেকশনও দূর করে চিরতার পানি। এটি ত্বকের মরাকোষও দূর করে থাকে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Back To Top