skip to Main Content
চুল ভালো রাখার টিপস

মানুষের মুখাবয়বের সৌন্দর্য তার চুলে। চুলের স্টাইল সুন্দর হলে দেখতে ভালো লাগে। কিন্তু চুলের ধর্মই হচ্ছে বিবর্ণ ও রুক্ষ হয়ে যাওয়া। তার ওপর বৈরী আবহাওয়া, কখনো রোদ আবার কখনো বৃষ্টির সঙ্গে যুঝতে হয় চুলকে। তাই আগা ফাটে, চুল লালচে হয়ে যায়, তার ওপর খুশকির বিড়ম্বনা তো আছেই। এ সবকিছু থেকে রক্ষা পেতে কিছু টিপস অনুসরণ করা জরুরি। চলুন, জেনে নিই টিপসগুলো।

চুল কাটুন নিয়মিত: চুলের আগা ফাটা রোধ করতে তিন মাস পরপর চুলের আগা কেটে নিন। এতে চুলের শেপও সুন্দর থাকবে।

ডিপ কন্ডিশনিং করুন: প্রাকৃতিক পদ্ধতিতে চুল ডিপ কন্ডিশনিং করে নিতে পারেন। নারকেল তেল, অলিভ অয়েল, আমন্ড অয়েল কিংবা সরিষার তেল চুলের পক্ষে খুব ভালো কন্ডিশনার। তেল গরম করে হালকা ঠান্ডা করে নিয়ে চুলে মাখুন। তারপর শাওয়ার ক্যাপ ডিয়ে চুল থেকে রাখুন সারা রাত। মাসে অন্তত একবার এটা করুন, ভালো ফল পাবেন।

সঠিকভাবে চুল আঁচড়ান: ভেজা চুল আঁচড়ানো অনুচিত। এতে করে চুল ভেঙে যাওয়ার ভয় থাকে। আঁচড়ানোর আগে চুল থেকে ভালো করে পানি ঝরিয়ে নিন। তারপর মোটা কাটার চিরুনি দিয়ে চুলের জটা দূর করে নিয়ে নিচ থেকে চুল আঁচড়ান।

প্রি-কন্ডিশনিং করুন: চুলের কোঁকড়া ও রুক্ষ ভাব দূর করতে প্রি কন্ডিশনিং করুন। একটা সময় শ্যাম্পু করার পর কন্ডিশনিং করার চল ছিল। এখন শ্যাম্পু করার আগেই কন্ডিশনিং করার ভালো ফল সম্পর্কে জানতে পেরেছেন রূপবিশারদেরা।

অতিরিক্ত শ্যাম্পু করতে নেই: প্রতিদিন শ্যাম্পু করলে চুলের উপরের তেলের আস্তরণ বিনষ্ট হয়ে চুল রুক্ষ হয়ে যায়। সপ্তাহে দুই থেকে তিনবারের বেশি শ্যাম্পু না কড়াই ভালো। সবচেয়ে ভালো হয় বেবি শ্যাম্পু ব্যবহার করলে।

ব্যবহার করুন ঘরোয়া হেয়ার মাস্ক:

চুলের গোড়ায় পুষ্টি জোগাতে নারকেল তেল, কলা, মেয়োনেজ, ডিম, অলিভ অয়েল, অ্যালোভেরা, মধু, টক দই দিয়ে বানিয়ে নিন রকমারি হেয়ার মাস্ক। এগুলো চুলে ব্যবহার করুন।

ঘুমানোর আগে চুল বেঁধে রাখুন: চুল খোলা রেখে ঘুমালে বালিশের ঘষায় চুল ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তা ছাড়া এতে করে চুল রুক্ষ হয় ও জটা পড়ার আশঙ্কা থাকে। ফলে চুল বেঁধে ঘুমানোই ভালো।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Back To Top