skip to Main Content
তরমুজের দানার পুষ্টিগুণ

তরমুজ খাবার সময়ে অনেকে দানা খেয়ে ফেলেন, অনেকে আবার ফেলেও দেন। তরমুজের দানায় অনেক পুষ্টি উপাদান রয়েছে যা আমাদের শারীরিকভাবে সুস্থ থাকতে সহায়তা করবে।
পুষ্টিবিজ্ঞানের ভাষায়, তরমুজের চেয়ে তরমুজের দানায় রয়েছে বেশি পুষ্টি উপাদান। কম ক্যালরির নাশতা হিসেবে আলুর চিপসের মতোই খাওয়া যায় এ সুস্বাদু ফলের দানা। তবে তার জন্য প্রয়োজন সংরক্ষণ করা। তরমুজের দানা ভেজে বিকেলের নাশতা অথবা হালকা ক্ষুধার খাবার হিসেবে খাওয়া যায়।
পুষ্টিগুণ: তরমুজের দানা ছোট হওয়ায় পুষ্টির চাহিদা পূরণে একেবারে অনেকগুলো দানা খাওয়া যায়। এতে রয়েছে লৌহ, জিঙ্ক, আঁশ ও প্রোটিন যা হৃদরোগ, ডায়াবেটিকের ঝুঁকি কমায়, রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা বাড়ায়, পাশাপাশি ওজন কমাতে সাহায্য করে।
কম ক্যালরি: ৩০ গ্রাম তরমুজের দানায় প্রায় ১৫৮ ক্যালরি থাকে। মুঠো ভরে ভরে তরমুজের দানা খান। ৪ গ্রাম তরমুজের দানা প্রায় ২২ ক্যালরি সরবরাহ করবে, যা আলুর চিপসের বিকল্প হিসেবে খেতে পারেন।
ম্যাগনেশিয়াম: তরমুজের বীজে পরিচুর পরিমাণে ম্যাগনেশিয়াম রয়েছে। এক মুঠো বীজে প্রায় ২১ গ্রাম ম্যাগনেশিয়াম থাকে, যা বিপাক প্রক্রিয়া সহজ করে। তা ছাড়া হাড় মজবুত করতে এবং অস্থির গঠনে ম্যাগনেশিয়াম অত্যাবশ্যক।
আয়রন: রক্তে হিমোগ্লোবিনের উপস্থিতির কারণে রক্ত দেখতে লালবর্ণের হয়। আয়রন রক্তে হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ ঠিক রাখে। এর জন্য এক মুঠ তরমুজের বীজই যথেষ্ট। এতে থাকবে প্রায় ০.২৯ গ্রাম আয়রন। রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা ঠিক রাখতে প্রতিদিন এক মুঠ তরমুজের বীজের জুড়ি মেলা ভার।
ফোলাট: ফোলাট হলো ফলিক অ্যাসিড ও ভিটামিন বি ৯–এর একটি সংমিশ্রণ, যা মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করে। গর্ভবতী মায়েদের এই ভিটামিনের প্রয়োজন খুব বেশি। শরীরে ফোলাটের ঘাটতি দূর করতে তরমুজের বীজের তুলনা হয় না।
ভালো চর্বি: চরমুজের দানায় মানো ও আনস্যাচুরেটেড ফ্যাটি অ্যাসিড রয়েছে, যা স্ট্রোক, হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমায় ও কোলেস্টেরলের পরিমাণ কমায়।
তাই শরীর সুস্থ রাখতে ও ভিটামিনের ঘাটতি পূরণ করতে তরমুজের বীজ খাওয়ার অভ্যাস করা উচিত।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Back To Top