skip to Main Content
নারীদের জামার বোতাম বামে কেন?

সাধারণত জামার কোনো অংশ ঢেকে রাখতে ও সৌন্দর্যবর্ধনে বোতাম ব্যবহার করা হয়। ইতিহাসবিদদের মতে, জামায় বোতাম লাগানোর চল শুরু হয় সিন্ধু সভ্যতা থেকে। তখন ঝিনুকের খোল দিয়ে বানানো হতো বোতাম। কালের বিবর্তনে তা এখন তৈরি হচ্ছে কাঠ, প্লাস্টিক, কাচ, সেলুলয়েড এমনকি হাতির দাঁত দিয়েও। তবে জামায় ছিদ্র যুক্ত বোতামের ব্যবহার শুরু হয় ১৩ শতকে জার্মানিতে।

১৩ শতকের মাঝামাঝি বোতাম লাগানো জামার চল শুরু হয়। তখন শুধু ধনী ব্যক্তিদের জামাতেই বোতাম থাকতো। পুরুষেরা নিজেরাই নিজেদের জামা পরতেন, তাদের জামার বোতাম লাগানো ও খোলার সুবিধার্থে বোতাম জামার ডান দিকে থাকতো। অপরদিকে নারীদের জামা পরানোর কাজে নিযুক্ত থাকত দাসী। সেই সব দাসীর বোতাম লাগানো কাজের সুবিধার জন্য মহিলাদের জামার বোতাম থাকতো বাম দিকে।

একদল ইতিহাসবিদের মতে, অবশ্য নেপোলিয়ন বোনাপার্ট এমন ব্যবস্থা চালু করেছেন। নেপোলিয়ন তার একটি হাত সব সময় শার্টের ভেতর বুকের কাছে ঢুকিয়ে রাখতেন। নারীরা তার এই কাণ্ড দেখে তাকে ব্যঙ্গ করত। তিনি এসব ব্যঙ্গবিদ্রূপ বন্ধ করার জন্য নির্দেশ দেন নারীদের শার্টের বোতাম হবে পুরুষের জামার বোতামের উল্টো দিকে, অর্থাৎ বাম দিকে।

শোনা যায় পৃথিবীর বেশির ভাগ মানুষ নাকি ডান হাতি। অর্থাৎ, তারা ডান হাতেই কাজ করে বেশি অভ্যস্ত। আর সারা বিশ্বে বোতাম লাগানো জামা পুরুষেরাই বেশি পরেন। অন্যদিকে শিশুদের স্তন পান করাতে নারীরা বাঁ হাত ব্যবহার করেন ও ডান হাত মুক্ত রাখেন। তাদের সুবিধার কথা মাথায় রেখেও জামার বোতাম বাঁ দিকে দেওয়া হয়েছে বলে মনে করেন অনেকে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Back To Top