skip to Main Content
বক্সিং কেন সুপারমডেলদের প্রিয় ওয়ার্কআউট?

১০ হাজার ডলারের কম পেলে সুপারমডেলরা বিছানা ছেড়ে উঠতেই চান না– এমন অপবাদের দিন পুরনো হয়ে গেছে বেশ আগেই। বরং নতুন প্রজন্মের মডেলরা খুব ভোরবেলায় ঘুম থেকে উঠে জিম সেশন সারেন। তাদের দিনের শুরুটা হয় মেডিটেশন দিয়ে। তাদের পছন্দের ওয়ার্কআউট কোনটা? বক্সিং! খবর, ব্রিটিশ ভোগের।

জিজি ও বেলা হাদিদ থেকে শুরু করে কার্লি ক্লোস, জর্ডার ডান কিংবা জোয়ান স্মলস– এ সময়ের কভার গার্লদের জানা আছে কীভাবে পাঞ্চ মারতে হয়। বক্সিং তাদের কাছে পেন্ট-আপ টেনশন রিলিজ করা, মানসিক স্বাস্থ্য চাঙ্গা রাখা এবং শরীরের সবগুলো পেশিকে যথাযোগ্য কার্যকর করে তোলার ক্ষেত্রে দারুণ নিয়ামক।

লন্ডনের ‘জ্যাব বক্স’-এর কো-ফাউন্ডার এবং ইংল্যান্ড বক্সিং টিমের সাবেক অধিনায়ক জর্জ ভেনেস বলেন, ‘বক্সিং একটি সহনশীলতার খেলা, এটি শরীরকে চর্বিহীন রাখার সবচেয়ে সহজ পন্থা।’

বক্সিং ওয়ার্কআউটের ফাঁকে জিজি হাদিদ। ছবি: সংগৃহীত

তিনি আরও বলেন, ‘পাঞ্চ মারার সঙ্গে একটি রোটেশনাল মুভমেন্ট জড়িত, যা কি না পায়ের পাতা থেকে শুরু করে পুরো শরীরে প্রবাহিত হয়, এবং এটি আপনাকে টাইট ওয়েস্ট অর্জন করতে সহায়তা করে। তাছাড়া এই রিপিটেড মোশনের ব্যবহার আপনার পেশিকে দৌড়ানো কিংবা স্পিনিং ক্লাসের তুলনায় অনেক বেশি কার্যকর করে তুলবে।’

এক জীবনে বহু সুপারমডেলকে প্রশিক্ষণ দিয়েছেন ভেনেস। তার দাবি, বক্সিংয়ের মাধ্যমে প্রত্যাশিত শারীরিক গঠন অর্জন করতে পারেন মডেলরা। তাছাড়া এটি শুধু শারীরিক অ্যাপেয়ারেন্সের ব্যাপার নয়, বরং মানসিক স্বাস্থ্যের জন্যও উপকারী।

‘আমার কাছে প্রশিক্ষণ নেওয়া অনেক মডেলই আমাকে জানিয়েছেন, বক্সিং তাদের ভালোবাসার কারণ, এটি হৃৎপিন্ডে তেমন চাপ ফেলে না। অন্যদিকে, কোনো রানিং মেশিনে দৌড়ালে, কিংবা বাইক চালালে, কিংবা নির্বোধের মতো এক্সারসাইজ করলে হৃৎপিন্ডে নেতিবাচক চাপ পড়ার ঝুঁকি থাকে,’ বলেন ভেনেস।

এর আগে জিজি হাদিদও একবার বলেছিলেন, ‘আপনি যখন বক্সিং করবেন, তখন ভুলেই যাবেন– ওয়ার্কআউট করছেন। ফলে ফুরফুরে থাকবেন।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Back To Top