skip to Main Content
‘ব্লু হোয়েল’র পর এবার ‘মমো’!

গত বছর কম্পিউটার গেমিং সাইট উত্তাল করে রেখেছিল ‘ব্লু হোয়েল’ নামের জীবনবিনাশী এক ধরনের ভিডিও গেমস। এ গেম খেলে অনেকে আত্মহত্যা করেছে বলেও শোনা গেছে। এ বছর ব্লু হোয়েলের প্রকোপ কমেছে কিন্তু মাথা চাড়া দিয়ে উঠেছে ‘মমো’ নামের আরেকটি বিপজ্জনক গেম। হোয়াটসঅ্যাপ মেসেঞ্জারের মাধ্যমে এ গেম গেমারদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ছে। এশিয়া, আফ্রিকা ও ইউরোপে এ গেম বিস্তৃতি লাভ করেছে। ইতিমধ্যে ল্যাটিন আমেরিকায় এ গেমের বিরুদ্ধে সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
সেখানকার কর্তৃপক্ষ জনগণকে অনুরোধ করেছে যাতে এ গেম মেসেজের মাধ্যমে অন্যকে কেউ না দেয়। তারা বলছে, এই গেম একজন গেমারকে অনেক দূরে নিয়ে যেতে পারে।
বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, মমো নামের এ গেম গেমারদের মারাত্মক পরিণতির দিকে নিয়ে যেতে পারে।
মমো ক্যারেক্টারটি দেখতে ভয়জাগানিয়া। ওর গায়ের চামড়া ফ্যাকাশে বর্ণের। লাল লাল চোখ দুটি যেন কোটর ছেড়ে ঠিকরে বের হয়ে আসছে! যেকোনো সময়েই আপনার কম্পিউটারে ভেসে উঠতে পারে মমো। এ গেম খেলার জন্য আপনাকে প্রলুব্ধ করতে পারে।
মেক্সিকোর পুলিশ ইউনিট বলছে, এ গেম শুরু হয়েছে ফেসবুকে থেকে। একদল লোক একে অন্যকে অপরিচিত নম্বরে কল দিতে প্রলুব্ধ করে। মেক্সিকোর এ পুলিশ ইউনিট অনলাইন অপরাধ বিষয়ে কাজ করে থাকে। তারা আরও বলছে, ব্যবহারকারীদের মাধ্যমে জানা গেছে, মমোতে বার্তা পাঠানোর পর সে সহিংস ছবি পাঠাবে। ইতোমধ্যে অনেকে হুমকিমূলক বার্তাও পেয়েছেন। ব্যক্তিগত তথ্যও ফাঁস হয়ে যাচ্ছে। স্পেনের পুলিশও এ ধরনের গেম না খেলার পরামর্শ দিয়েছে নাগরিকদের।
এ গেম খেললে ব্যক্তিগত তথ্য চুরির যাওয়া, সহিংসতা, আত্মহত্যায় প্রলুব্ধ করার আশঙ্কা, ব্যবহারকারী হয়রানির শিকার হওয়ার আশঙ্কা, ব্যবহারকারী চাঁদাবাজির শিকার হওয়ার আশঙ্কা এবং ব্যবহারকারী মানসিক ও শারীরিক ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Back To Top