skip to Main Content
ভোজনরসিক বাঙালির বাহারি রসনাবিলাস

জাতি হিসেবে বাঙালির খাদ্য তালিকায় বৈচিত্র্যের যেন কমতি নেই। যুগে যুগে এই ভূখণ্ডে যত জাতির আগমন ঘটেছে, তাদের প্রায় সবারই অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যায় বাঙালির খাদ্যাভাসে। মাছে-ভাতে বাঙালির খাদ্য সংস্কৃতিতে বাড়তি মাত্রা যুক্ত করেছে তুর্কি, আরব, আফগান, পর্তুগিজ, ইংরেজসহ নানান সংস্কৃতির খাবার; সময়ের বিবর্তনে যা এখন এদেশের রসনাবিলাসের অপরিহার্য অংশে পরিণত হয়েছে। আর সে কারণেই, এদেশের শহর কিংবা গ্রামের যেকোনো হোটেল-রেস্তোরাঁতে ভাত, মাছ, ভর্তা, ভাজির মতো নিরেট বাঙালি পদ যেমন পাওয়া যায়, তেমনি স্বাদ নেওয়া যায়-পোলাও, বিরিয়ানী, খিঁচুড়ি, কাবাবের মতো মোঘল ঘরনার মুখরোচক নানান খাবারের। এর সবই এখন বাঙালির খাদ্য সংস্কৃতিরই অবিচ্ছেদ্য অংশ।

কৃষিপ্রধান বাংলাদেশের সংস্কৃতিতে খাবার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ জায়গা দখল করে আছে। প্রতিবার ফসল তোলার পর ঘরে-ঘরে পিঠা-পায়েসের আয়োজনের রীতি বাংলার সুপ্রাচীন ঐতিহ্য। নবান্ন ছাড়াও বৈশাখে বর্ষবরণ, পৌষমেলা, বসন্তবরণের মতো ঋতুভিত্তিক উৎসবের পাশাপাশি ঈদ-বরাত, পূজা-পার্বণও উদযাপিত হয়ে থাকে মহাধুমধামে। এছাড়া জন্মদিন, বিয়ে-বৌভাতের মতো  অসংখ্য সামাজিক আয়োজন তো বছরজুড়েই লেগে থাকে। আর বিশেষ খাবার ছাড়া কি এসব আয়োজন জমে? ফলে মহাসমারোহে চলতে থাকে পোলাও-কোরমা, বিরিয়ানী ও মাংসসহ নানান পদের আয়োজন। পাশাপাশি বিশেষ বিশেষ উৎসবে থাকে বিশেষ আয়োজন, যেমন- বৈশাখে পান্তা-ইলিশ, নবান্নে পিঠা-পায়েস, শবে-বরাতে হালুয়া-রুটি, ঈদে সেমাই-পোলাও-বিরিয়ানী-কাবাব, পূজা-পার্বণে লুচি-সন্দেশ ইত্যাদি। এসব খাবার ছাড়া উৎসবগুলো যেন ঠিক পূর্ণতা পায় না। অন্যদিকে, বৃষ্টির দিনে ইলিশ-খিঁচুড়ি কিংবা শীতে ভাপা-পুলি যেন চাই-ই চাই। আবার অঞ্চলভেদেও বাংলাদেশে রয়েছে- খাবারের বিশেষত্ব। যেমন- পুরান ঢাকার ঐতিহ্যবাহী কাবাব-বিরিয়ানী ও বাকরখানি; সিলেটের আখনী পোলাও; চট্টগ্রামের মেজবানী মাংস; খুলনার চুঁইঝালের মাংসের নামডাক সারাদেশেই শোনা যায়।

অতিথিপরায়নের মতো গল্প-আড্ডাতেও বাঙালির জুড়ি মেলা ভার। কোনো ধরনের বিশেষ উপলক্ষ্য ছাড়াই একই জায়গাতে বসে এদেশের মানুষ ঘণ্টার পর ঘণ্টা আড্ডা দিতে পারে। সাথে এটা-সেটা খাওয়া চলতেই থাকে।

সময়ের বিবর্তনে আড্ডার ধরন ও পরিসরের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে বাঙালির খাদ্যসংস্কৃতিতেও নানান পরিবর্তন এসেছে। ফলশ্রুতিতে রাস্তার মোড়ে-মোড়ে গড়ে উঠেছে চায়ের দোকান, শহরের অলিগলিতে জায়গা করে নিয়েছে বাহারি খাবারের রেস্তোরাঁ। পরিবার-পরিজন, বন্ধুবান্ধব নিয়ে সবাই এখন সেখানেই ভিড় করে। আড্ডা-গল্পের ফাঁকে-ফাঁকে চলতে থাকে ভুরিভোজ; তৃপ্তির ঢেঁকুরে লেগে থাকে কোকের স্বাদ। তারপরও এতোটুকু আবেদন কমেনি ঘর-বারান্দার আড্ডার। এখনো রাত-দুপুরের হাসি-গল্পে সরগরম হয়ে ওঠে বাড়ি, প্রযুক্তির কল্যাণে সময়মতোই চলে আসে কোক-পাস্তা-বিরিয়ানী।

পরিবার-পরিজনসহ কাছের মানুষদের সাথে আড্ড-আনন্দে কাটানো বিশেষ মুহুর্তকে আরও বিশেষ ও স্মৃতিময় করে তুলতে খাবারের সাথে বোতলভর্তি কোক রাখা যেতে পারে।

প্রতিষ্ঠানটির পক্ষে থেকে জানানো হয়েছে যে, বিগত পাঁচ দশকেরও বেশি সময়ের পথচলায় একটু একটু করে এদেশের মানুষের অন্তরে জায়গা করে নিয়েছে অনন্য স্বাদের এই বিশেষ পানীয় ব্র্যান্ড।  ছেলে-বুড়ো নির্বিশেষে সব বয়সী মানুষের কোক- এর সমান জনপ্রিয়তার প্রধান কারণ- এর অনন্য স্বাদ, যা অন্য কোনো পানীয়ের সাথে মেলানো যায় না। এক শ ত্রিশ বছরেরও বেশি সময় পেরিয়ে গেলেও কোকা-কোলার বানানোর ফর্মুলা এখনো অন্যদের অজানা। সব বয়সের মানুষের কাছে সমান জনপ্রিয়তার কারণে পরিচিত কোকা-কোলা ছাড়াও বয়স্কদের জন্য কোম্পানিটি বিশেষভাবে তৈরি করেছে ডায়েট কোক এবং কোকা-কোলা জিরো। এছাড়া খাবার ভাগাভাগির মাধ্যমে পারিবারিক ও সামাজিক বন্ধনকে আরও সুদৃঢ় করার প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে কোকা-কোলা। আর এই প্রচেষ্টার অংশ হিসেবেই বিভিন্ন ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে ভোক্তার বাসায় বিরিয়ানীর মতো লোভনীয় দেশীয় খাবারের সাথে পর্যাপ্ত পরিমাণ কোক বিনামূল্যে পৌঁছে দিচ্ছে কোম্পানিটি।

কোকা-কোলা সম্পর্কে জানাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মীর সাব্বির জানান, “কোকের অনন্য স্বাদ অতুলনীয়। উৎসব আয়োজন তো বটেই; আড্ডার টেবিল কিংবা খেলার আসরে কোক ছাড়া ঠিক জমে না। এমনকি অনলাইনে খাবার কেনার সময়ও সাথে এক বোতল কোক অর্ডার করি। গরমে তৃষ্ণা নিবারণ ও ক্লান্তি দূর করতেও কোকা-কোলা জুড়ি নেই।”

রাজধানীর একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী তাসনিয়া আহমেদ জানান, “খাবারের টেবিলে কোকটা যেন বাড়তি ‘রিফ্রেশমেন্ট’ এনে দেয়। আর এ কারণেই কোক আমাদের এতো পছন্দ।”

বেসরকারি একটি প্রতিষ্ঠানে সম্প্রতি কর্মকর্তা হিসেবে যোগদান করা সাজিদ মুস্তাহিদ বলেন, “কোকের সাথে আমাদের পরিবারের সম্পর্ক দীর্ঘদিনের। কোক আসলে অনন্য স্বাদের এমন একটি পানীয়, যা কেবল সব ধরণের খাবারের সাথে যায়ই না, উপরন্তু খাবারের স্বাদকে দ্বিগুণ করে দেয়। কোকের এই বিশেষ গুণ আর স্বকীয়তার কারণে আগামীতেও আমাদের সম্পর্ক অটুট থাকবে।”

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Back To Top