skip to Main Content
শরীরে দুর্গন্ধ কেন হয়?

শরীরের দুর্গন্ধের কারণে অনেককেই বিব্রতকর পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হয়। দুর্গন্ধ দূর করতে আমরা গোসল করি, ডিওডোরেন্ট কিংবা পারফিউম ব্যবহার করি, কিন্তু কিছুতেই যেন কিছু হয় না। দুর্গন্ধ বারবার ফিরে ফিরে আসে। মূলত মানুষের বগলে যে ঘাম হয়, তাতে কোনো গন্ধ নেই। তাহলে এ দুর্গন্ধের উৎস কোথায়?
মানুষের ত্বকের উপর বাস করে নানা ধরনের ব্যাকটেরিয়া। বিশেষ কিছু ব্যাকটেরিয়া মানুষের ঘামের সঙ্গে মিশে এ দুর্গন্ধের সৃষ্টি করে। কীভাবে এ ব্যাকটেরিয়া কাজ করে সেই সন্ধান পেয়েছেন গবেষকেরা। মানুষের ত্বকে দুই ধরনের গ্ল্যান্ড বা গ্রন্থি থাকে। সেগুলো থেকেই ঘামের উৎপত্তি হয়। ব্যায়াম বা পরিশ্রমের ফলে যে ঘাম উৎপন্ন হয়, তা তৈরি করে একরিন গ্রন্থি। এই ঘামে দুর্গন্ধ নেই বরং তা আমাদের শরীরকে শীতল রাখে করে। আরেকটি হলো অ্যাপোক্রিন গ্রন্থি। এ গ্রন্থি থাকে বগল ও গোপনাঙ্গের আশপাশে। সেখান থেকে যে ঘাম উৎপত্তি হয় তাতে এক বিশেষ ধরনের প্রোটিন বিদ্যমান থাকে । যা দুর্গন্ধহীন হলেও ব্যাকটেরিয়ার কারণে দুর্গন্ধে রূপান্তরিত হহ। দুর্গন্ধ সৃষ্টির কাজে ব্যাকটেরিয়াগুলো ঘামের ওই প্রোটিনটি ব্যবহার করে।
ইউনিভার্সিটি অব ইয়র্কের জীববিদ্যা বিভাগের ড. গ্যাভিন থমাস বলছেন, ‘আমাদের শরীরে যে ব্যাকটেরিয়া রয়েছে, তার মধ্যে মাত্র কয়েকটি দুর্গন্ধের জন্য দায়ী। এই ব্যাকটেরিয়ার বৈজ্ঞানিক নাম স্টেফালোককাস হমিনিস।
শরীরের দুর্গন্ধ দুর করতে আমরা সাধারণত ডিওডোরেন্ট ও অ্যান্টি-পার্সপির‍্যান্ট ব্যবহার করে থাকি। ডিওডোরেন্ট সুগন্ধি ব্যবহার করে দুর্গন্ধকে ঢেকে দেয়। তাতে ব্যাকটেরিয়া প্রতিরোধী কিছু উপাদানও থাকে। অপরদিকে অ্যান্টি-পার্সপির‍্যান্ট মানুষের লোমকূপ বন্ধ করে দিয়ে ঘামের তৈরি হয়ার পরিমাণ কমিয়ে দেয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Back To Top