skip to Main Content
সিসায় নিষেধাজ্ঞা এফডিএর

কলের জল থেকে দেয়ালের রঙ, এমনকি ছেলে ভোলানো খেলনাতেও সিসার উপস্থিতির অকাট্য প্রমাণ মিলেছে অজস্র রিপোর্টে। তবে অস্বস্তির ব্যাপার হচ্ছে, এই একই ধাতুতেই তৈরি হতো লিপস্টিক, হেয়ার ডাইয়ের মতো সৌন্দর্যপণ্য। সিসা কিন্তু ভীষণ গোলমেলে ধাতু। মুখ পেরিয়ে পেটে ঢুকলেই সর্বনাশ। পেট ব্যথা, কিডনি-সংক্রান্ত সমস্যা, ক্যানসার ছাড়াও গর্ভবতী নারীদের ভ্রূণের ক্ষতিরও আশঙ্কা থাকে সিসায়। আর ত্বকের সংস্পর্শে এলে বাড়তে পারে অ্যালার্জি, ফুসকুড়ি আর কালো দাগছোপের মতো সমস্যা। তাই বিপদের অস্তিত্ব মেনে নিয়েই অনেক আগেই ত্বকে ব্যবহার্য সৌন্দর্যপণ্যে সিসার ব্যবহার বন্ধের ঘোষণা আসে। তবে এত দিন চুলের জন্য তৈরি হেয়ার ডাইয়ে সিসার ব্যবহার হলেও সম্প্রতি এতেও নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে এফডিএ। ফলে এখন থেকে বাজারের সব কসমেটিকস সম্পূর্ণ সিসামুক্ত থাকবে।

কয়েক বছর ধরেই হেয়ার কালারের রঞ্জক পদার্থ হিসেবে জনপ্রিয়তা হারাচ্ছিল সিসার ব্যবহার। বাজারের প্রধান উৎপাদকেরাও তাদের তালিকা থেকে সরিয়ে ফেলছিল এর নাম। জনপ্রিয় ব্র্যান্ডগুলোর মধ্যে একমাত্র গ্রোসিয়ান ফর্মুলায় হেয়ার ডাইয়ে ব্যবহার হতো সিসা। সম্প্রতি তারাও বের করে ফেলেছে এর বিকল্প, বিসমাথ সাইট্রেট নামের একটি কালার এজেন্ট।

সাম্প্রতিক এক সমীক্ষা অনুযায়ী যারা সিসাযুক্ত হেয়ার ডাই ব্যবহার করে থাকেন, তারা তো বটেই, তাদের শিশুরাও এতে নানান স্বাস্থ্যঝুঁকির সম্মুখীন হয়। তাই ভোক্তাদেরও পণ্য কেনার ব্যাপারে সতর্ক থাকতে অনুরোধ করেছে এফডিএ। উপাদান তালিকা যাচাই করে তবেই পণ্য ক্রয়ের পরামর্শ দিয়েছে সংস্থাটি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Back To Top