skip to Main Content
স্টার সিনেপ্লেক্সে মুক্তি পেয়েছে ‘আনচার্টেড’

১৮ ফেব্রুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রে মুক্তি পেয়েছে নতুন বছরে হলিউডের কাঙ্খিত একটি ছবি ‘আনচার্টেড’। একই দিনে বাংলাদেশের স্টার সিনেপ্লেক্সে মুক্তি পেয়েছে ছবিটি। অ্যাকশন অ্যাডভেঞ্চারধর্মী এ ছবির পরিচালক রুবেন ফ্লেশার। সর্বকালের সর্বাধিক বিক্রিত এবং প্রশংসিত ভিডিও গেম সিরিজগুলির একটির উপর ভিত্তি করে সিনেমাটি নির্মিত। এতে অভিনয় করেছেন টম হল্যান্ড, মার্ক ওয়াহলবার্গ, আ্যান্টোনিও ব্যান্ডেরাস, সোফিয়া আলী, তাতি গ্যাব্রিয়েলসহ আরও অনেকে। সনি পিকচার্স-এর ১২০ মিলিয়ন ডলার বাজেটের এই ছবিটি ঘিরে এরইমধ্যে আলোচনা শুরু হয়েছে।

বলা হয়ে থাকে, শেষ ভালো যার সব ভালো তার। সে হিসেবে গত বছরটা ছিল টম হল্যান্ডের। করোনা সংকটের মধ্যেও ‘স্পাইডার ম্যান: নো ওয়ে হোম’ দিয়ে বছরের শেষটা দারুণ সাফল্যে রাঙিয়েছেন তিনি। ছবিটি বক্স অফিসে প্রত্যাশার চেয়েও বেশি সাফল্য পেয়েছে। পাশাপাশি প্রশংসিত হয়েছে বোদ্ধা-সমালোচকদের কাছেও। বিশেষ করে টম হল্যান্ডের অনবদ্য পারফরম্যান্স নজর কেড়েছে সবার। এমন সাফল্যে বেশ আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠেছেন টম নিজেও। এই ছবির জন্য অস্কার পাওয়ার যোগ্যতা রাখেন বলে মন্তব্য করেন তিনি। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে এই তারকা রসিকতা করেছিলেন যে, তিনি চলচ্চিত্রে একটি চরিত্র হিসাবে যা অর্জন করতে চেয়েছিলেন তা তিনি অর্জন করেছেন। তাই তিনি মনে করেন এই সিনেমার জন্য অস্কার জিততে চলেছেন। টম হল্যান্ড বলেন, ‘একজন অভিনেতা হিসেবে যে ধরনের চরিত্রে নিজেকে দেখতে চেয়েছিলাম সেটা পূর্ণ হয়েছে। এই দিনটির জন্যই এতদিন অপেক্ষা করেছি। ক্যারিয়ারে এতদিন পর মনে হচ্ছে এই সিনেমাটিতে অভিনয়ের জন্য আমাকে অস্কার দেওয়া উচিত। আশা করছি আমার এই স্বপ্নটি এবার পূরণ হবে।’

এদিকে, ‘স্পাইডার ম্যান: নো ওয়ে হোম’ এর ধুন্দুমার সাফল্যের রেশ কাটতে না কাটতেই নতুন সিনেমা নিয়ে আবার পর্দায় হাজির হচ্ছেন টম হল্যান্ড। ‘আনচার্টেড’ নামের এই ছবিটি নির্মিত হয়েছে ভিডিও গেম সিরিজ অবলম্বনে। ছবিতে মার্ক ওয়াহলবার্গ, অ্যান্টোনিও ব্যান্ডেরাসের মতো ডাকসাইটে অভিনেতারা থাকলেও মূল আকর্ষণ টম হল্যান্ড। তাকে ঘিরেই ছবিটির প্রতি দর্শকদের আগ্রহ তৈরি হয়েছে। ২০০৮ সালে প্রথম এ ছবি নির্মাণের পরিকল্পনা করা হয়। কিন্তু নানা কারণে পিছিয়ে যায় কাজ। শেষ পর্যন্ত ২০২০ সালে এসে এটি পূর্ণতা পায় টম হল্যান্ডের হাত ধরে। জনপ্রিয় এই অভিনেতা যুক্ত হওয়ার পর থেকেই ছবিটি প্রাণ পায় এবং আলোচনা সৃষ্টি করে। তারপরও এ কৃতিত্বের অংশীদার হিসেবে পরিচালক রুবেন ফ্লেশার এবং সনি পিকচার্সের কথা না বললেই নয়। জার্মানির বার্লিন এবং স্পেনের বিভিন্ন লোকেশনে ছবির শুটিং হয়েছে। এ বছরের ৭ ফেব্রুয়ারি স্পেনের বার্সেলোনায় প্রথম প্রিমিয়ার হয় এবং ১১ ফেব্রুয়ারি যুক্তরাজ্যে মুক্তি পায়। এরইমধ্যে সমালোচকরা ছবিটি নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন। তবে সবকিছু ছাপিয়ে গেছে টম হল্যান্ডের কাছে। ‘স্পাইডার ম্যান: নো ওয়ে হোম’-এর মত এ ছবিতেও তার দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেছেন সবাই। তাই টম হল্যান্ড-ই হয়ে উঠতে পারেন এ ছবির সাফল্যের চাবিকাঠি-এমনটাই ধারণা করা হচ্ছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Back To Top