skip to Main Content

বিউটি সার্ভিস I গোল্ড ফেশিয়াল

কনের কনকোজ্জ্বল ত্বকের জন্য। ত্বকে জমে থাকা মৃতকোষ সরানো, ক্ষতি সারিয়ে তোলা আর উজ্জ্বলতা সৃষ্টি- এই ত্রিমুখী উদ্দেশ্য পূরণের সিগনেচার ফেশিয়াল এটি। ফলাফলও তাই একের ভেতর অনেক। শুধু যে ত্বক পরিষ্কার করবে তা নয়, লোমকূমে জমে থাকা তেল, ময়লা, ধুলা আর দূষণ দূর করবে পরিপূর্ণভাবে। ফলে ত্বক থাকবে দাগছোপমুক্ত, সুস্থ ও সুন্দর। মুখত্বককোষে রক্তসঞ্চালন বাড়াতেও চমৎকার গোল্ড ফেশিয়াল, যা এপিডার্মিসের তারুণ্যের ঔজ্জ্বল্য এনে দেয়। তাই বিয়ের মতো বিশেষ আয়োজনের আগে সৌন্দর্যচর্চায় অনায়াসেই বেছে নেওয়া যায় সেরা এ ট্রিটমেন্ট। গোল্ড ফেশিয়ালের শুরুতেই ক্লায়েন্টকে দেওয়া হয় বিশেষায়িত ম্যাসাজ। মুখ, মাথাসহ শরীরের উপরিভাগে।
গ্লাইডিং, নিডিং আর ফ্রিকশন স্ট্রোকে বিভিন্ন মাত্রায় চাপ প্রয়োগ করে চলে প্রক্রিয়াটি। মিনিট পাঁচেকের এই ম্যাসাজ পুরো শরীরের ক্লান্তি দূর করে। সঙ্গে ফেশিয়ালের জন্যও প্রস্তুত করে নেয় ত্বককে। তারপর শুরু হয় ত্বক পরিষ্কারের প্রক্রিয়া। বিশেষ ধরনের ক্লিনজার দিয়ে পাঁচ মিনিট ম্যাসাজ করে নেওয়া হয় প্রথমে, যা ত্বকের গভীর থেকে তেল, ময়লা আর দূষণ দূর করতে সাহায্য করে। এর পরপরই ফেশিয়ালটির জন্য তৈরি কফি ফ্লেবারড স্ক্রাব ব্যবহার করা হয়। এটি রক্তসঞ্চালন বাড়ায়, করে তোলে স্পটলেস। কফিতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট টক্সিন দূর করতে সক্ষম। ক্লিনজিংয়ের পর স্ক্রাবিং আর ব্ল্যাক হেডস রিমুভিংয়ের মাধ্যমে পরবর্তী ধাপগুলোর জন্য প্রস্তুত হয় ত্বক। এরপর বিশেষায়িত জেল মাখানো হয় মুখে। চলে ১০ থেকে ১৫ মিনিটের ম্যাসাজ। কিন্তু হাতে নয়, অত্যাধুনিক গ্যালভানিক মেশিনের সাহায্যে। এর ফলে দ্রুত উদ্দীপ্ত হয় ত্বককোষ। কারণ, রক্তসঞ্চালন বাড়াতে দারুণ কার্যকর এই যন্ত্র। ফলে ত্বক তো উজ্জ্বল দেখায়ই, হয়ে ওঠে কোমল-মসৃণ। আর জেলের সক্ষমতা বাড়িয়ে একদম গভীর পর্যন্ত প্রবেশ করিয়ে দেয়। ত্বক পায় পরিপূর্ণ পুষ্টি। নতুন করে উজ্জ্বল হয়ে ওঠে। তারপর মুখ মুছে পরিষ্কার করা হয়। ফেস মাস্কের জন্য। প্রথমে দেওয়া হয় কোল্ড মাস্ক। এর কাজ চটজলদি ত্বকের ক্ষতি সারানো। তা ছাড়া এতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট প্রোপার্টি ত্বকের বুড়িয়ে যাওয়া ভাব রোধ করে। বলিরেখাকে কম দৃশ্যমান করে। লোমকূপগুলোকেও লুকিয়ে ফেলে। এ ছাড়া ত্বকের লালচে ভাব আর জ্বলুনি সারাতেও মোক্ষম এই মাস্ক। ১৫ থেকে ২০ মিনিটের জন্য মুখে মাখিয়ে রাখা হয় এটি। তারপর ভালোভাবে মুছে দেওয়া হয় আরেকটি মাস্ক। গোল্ড মাস্ক ত্বকের মাইক্রোসার্কুলেশনের জন্য চমৎকার। যার প্রধান কাজ কোষের উদ্দীপ্ততা বাড়িয়ে উজ্জ্বল করে তোলা। তা ছাড়া এটি অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল, যা জীবাণু নাশে সহায়ক। ব্রণের সংক্রমণ রোধে ফলপ্রদ। নতুন কোষ উৎপাদনের হারকে ত্বরান্বিত করতেও জুড়ি নেই এর। গোল্ড মাস্ক ত্বকের প্রাকৃতিক কোলাজেন উৎপাদন বাড়াতেও সহায়ক। ফলে এর ব্যবহারে ত্বক হয়ে ওঠে টান টান। মুছে যায় বলিরেখার ছাপ। ১৫ থেকে ২০ মিনিট রাখা হয় এ মাস্কটিও। তারপর এটা মুছে পরিষ্কার করে নেওয়া হয়। সবশেষে টোনার মাখানো হয় ত্বকে।
প্রি ব্রাইডাল ফেশিয়াল হিসেবে এটি দারুণ। মেকআপের সহায়ক। করে নেওয়া যায় যেকোনো ধরনের ত্বকে। ঘণ্টা দেড়েক সময় হাতে থাকলেই চলবে। খরচ পড়বে ৪ হাজার ৫০০ টাকা। বোনাস হিসেবে হাত-পা আর ব্যাক স্ক্রাবিংয়ের সুযোগও মিলে যাবে অত্যাধুনিক গোল্ড ফেশিয়ালের সঙ্গে।

 জাহেরা শিরীন
মডেল: শিলা
মেকওভার: পারসোনা
ছবি: সৈয়দ অয়ন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Back To Top