skip to Main Content

সপ্তাহান্তে স্পা

লকডাউনে কাজ এখন বাড়তি। বাড়ির কাজ, অফিসের কাজ- বাসাতে থেকে যেন দু দন্ড সময় মেলে না নিজেকে প্যাম্পারের জন্য। এর মধ্যে পার্লারগুলো খুলতে শুরু করলেও এখনই ফুল বডি স্পা করানোতেও কেমন যে অজানা আশঙ্কা অনেকের মাঝে। সে ক্ষেত্রে সমাধান একটাই। যাতে স্পাও করা হবে, বাইরেও বেরোতে হবে না।
বাড়ির আরামে বসেই সেরে নিন স্পা। খুব যে আহামরি কঠিন কিছু প্রয়োজন হবে, তা কিন্তু নয়। তবে বের করত হবে দু ঘণ্টা সময়। সপ্তাহান্তের অবসরে এতটুকু তো নিজের জন্য করাই যায়।
গোসলের পানিটা হালকা গরম করে নিন। এতে পানি গায়ে পড়লেই প্রতিটা লোমকূপ খুলে যাবে, শরীরের গ্রন্থিগুলো শিথীল হয়ে মাসলে মিলবে আরাম।
প্রথমে পায়ের যত্ন। এর উপর দিয়েই তো বেশির ভাগ ঝক্কি যায়। পায়ে ব্যাথা থাকলে নেয়া যায় ফুট বাথ। পানি হালকা গরম করে তাতে সুগন্ধী এপসম সল্ট ঢেলে দিন। এতে পা ডুবিয়ে বসে থাকুন মিনিট দশেক। আরাম মিলবে, ব্যাথাও সারবে।
যাদের বাথটাব আছে তারা তৈরি করে নিন বাবল বাথ। বাথটাবের পানিতে চুপচাপ শরীর ডুবিয়ে শুয়ে থাকার আরাম সারা সপ্তাহর ক্লান্তি কাটিয়ে দেবে। বাথটাব নেই? তাতে কি। বালতিতে গোসলের পানিতে ঢেলে দিন সুগন্ধী এসেনশিয়াল অয়েল। তারপর গোসল সেরে নিন। তবে সিন্থেটিক বাছুন খাঁটি এসেনশিয়াল অয়েল। পিঠে বা কোমরে ব্যাথা থাকলে বালতির পানিতে মিশিয়ে নিন বাথ সল্ট বা এপসম সল্ট। এ পানি গায়ে ঢাললেই আরাম পাবেন।
অল্প ঠান্ডা দুধে কিছুটা গোলাপজল মিশিয়ে পাতলা করে নিন। সঙ্গে গোলাপ পাঁপড়ি থেতো করে মিশিয়ে দিন। এবার পাতলা মসলিন বা খাদির কাপড় এ দুধের মিশ্রণে ভিজিয়ে মুখে খানিকক্ষণ চাপা দিয়ে রাখুন। মুখ ত্বকের জেল্লা বাড়বে।
গোসলের সময় প্রাকৃতিক লুফা দিয়ে গা ঘষে নিন। মৃত কোষ উঠে ত্বক কোমল, ঝকঝকে হয়ে উঠবে। মাসাজও চলতে পারে সঙ্গে সঙ্গে। আঙ্গুলে ডগা দিয়ে পিঠ, ঘাড়, পায়ের পাতা আর গোড়ালি মিনিট দশেক চেপে চেপে মাসাজ করে নিন। হালকা লাগবে।
হাতের কাছে পরিষ্কার, নরম সুতির তোয়ালে রাখুন। গোসলের পর চেপে চেপে গায়ের পানি মুছে নিন। শরীর ভেজা থাকতেই ময়শ্চারাইজার মেখে নিন। ভেজা ত্বক ময়শ্চারাইজার ভালো করে শুষে নেবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Back To Top