skip to Main Content
designer-talk-march-into

ডিজাইনার’স টক I স্কিনি ফ্যাশন

 

লিনথিন বা হালকা-পাতলা গড়নের মেয়েদের পোশাক-আশাক নিয়ে কিছুটা চিন্তাভাবনার প্রয়োজন। যথাযথ মাপ ও ডিজাইনের পোশাক না পরলে অনেককে রুগ্ণ এমনকি অসুস্থও দেখাতে পারে। তবে সচেতন হলেই আকর্ষণীয় ও ট্রেন্ডি হয়ে ওঠা যায়। সেই গাইডলাইন দিয়েছেন ফ্যাশন ডিজাইনার ফারজানা ইউসুফ

ফ্যাশন ডিজাইনার ফারজানা ইউসুফ

শিলুয়েট বা শেপ

এই গড়নের মেয়েদের পোশাকে কুঁচি, পেপলাম, ফ্লাউন্স- এসব ব্যবহার করে ফুলনেস বা ঘের তৈরি করা যায় সহজেই। যা পাতলা গড়নের শরীরে খুব মানানসই। কোমরের কাছে বেল্ট অথবা ওয়েস্ট ব্যান্ড ব্যবহারে আওয়ারগ্লাস শেপ আনা যায়। বুটকাট লেগ জিনস বা বেলবটম প্যান্ট কমপ্লিমেন্ট করে ছিপছিপে শরীরকে। অন্যদিকে পোশাকের স্লিভ বা হাতায়ও আসতে পারে ফুলনেস। বেশি পাতলা মেয়েদের সব সময় লম্বা হাতা ভালো দেখায়। ছোট হাতা ও স্লিভলেসে রুগ্ণ দেখায় বলে লম্বা হাতা এদের বেশ মানায়।

এ লাইন, টেন্ট, আওয়ারগ্লাস, বক্সি, ওভাল- এসব ধরনের পোশাকের শেপ বা শিলুয়েট ছিপছিপে মেয়েদের জন্য প্রযোজ্য।

রঙ, প্রিন্ট ও প্যাটার্ন

পাতলা মেয়েদের জন্য রংধনুর সব রঙই প্রযোজ্য। সব উজ্জ্বল রঙই মানিয়ে যায়। রাতের জমকালো অনুষ্ঠানের জন্য উজ্জ্বল রঙের সঙ্গে গাঢ় রঙের ট্রিমিংস, পোশাকের উপরের অংশে উজ্জ্বল আর নিচের অংশে গাঢ় হেভি ভলিউম ড্রেস বা স্কার্ট এদের লুকে নিয়ে আসে আভিজাত্য। গারারা, লেহেঙ্গা, সারারা, ভলুমনাস লং ইভনিং ড্রেস- এসব পোশাকে জমকালো ভারী কাজের এম্ব্রয়ডারি ব্যবহার করা যেতে পারে। সারফেস অর্নামেন্টেশনে ভারী জারদৌসি, গোল্ড ওয়ার্ক, থ্রি ডাইমেনশন এম্ব্রয়ডারি, স্ট্যাম্প ওয়ার্ক করে পোশাকের জৌলুশ বাড়ানো যেতে পারে।

কাপড়ের প্রিন্টের ক্ষেত্রে ওভারসাইজ ফ্লোরাল, বড় পোলকা ডট, চেক খুবই উপযুক্ত। স্ট্রাইপের জন্য লম্বালম্বির পরিবর্তে আড়াআড়ি বা হরাইজন্টাল স্ট্রাইপ বেশি জুতসই।

ফুটওয়্যার

বক্সি বা চাঙ্কি হিল, প্ল্যাটফর্ম হিল, চাঙ্কি বুট, রাতের অনুষ্ঠানের জন্য ওয়েজ- ভারী এবং প্রসারিত জুতা ভালো দেখায়। মোদ্দা কথা, স্টেটমেন্ট কালার এবং বিস্তৃত ডিজাইনের ফুটওয়্যার ছিপছিপে মেয়েকে মানিয়ে যায় অনায়াসে।

কেশবিন্যাস ও অ্যাকসেসরিজ

ফেস ফ্রেমিং গোলাকার লেয়ার কাট সুন্দর দেখায়। এ ছাড়া ভলুমনাস যেকোনো হেয়ারস্টাইল ছিপছিপে মেয়েদের জন্য মানানসই। ফুল অন অ্যাকসেসরিজ দিয়ে নিজেকে সাজিয়ে নিন। তবে সবকিছুতে একটু ব্যালান্স থাকা প্রয়োজন। হাতে ব্রেসলেট, কানে ইয়াররিং যদি থাকে, তাহলে নেকলেস এড়ানো যেতে পারে। যদি ড্রেসের গলায় ভারী কাজ থাকে, তাহলে গলা খালি রাখা সমীচীন।

পুরুষদের সাজপোশাকে সোজা কাটের প্যান্ট ভালো দেখায়, কিন্তু স্লিম ফিট পুরোপুরি এড়িয়ে চলা উচিত। শার্টের রঙে আসতে পারে উজ্জ্বলতা। গ্রীষ্মে হাত গুটিয়ে ফুলস্লিভ শার্ট পরা যেতে পারে। পাঞ্জাবির কলার একটু চওড়া হলে এদের ভালো দেখায়।

লেখক: ফ্যাশন ডিজাইনার

ওয়্যারড্রোব: আরশী ডিজাইন স্টুডিও

মডেল: স্পৃহা

মেকওভার: পারসোনা

ছবি: সৈয়দ অয়ন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Back To Top