skip to Main Content

টেকসহি I বৈপরীত্যের বাস্তবতা

ধীরগতি হলেও প্রক্রিয়া চলমান। উপাদান সংগ্রহ থেকে উৎপাদনের প্রতিটি পর্যায়ে আরও বেশি পরিবেশ সহায়ক হয়ে ওঠার এ যাত্রায় ফ্যাশন বিশ্বের ইতিবাচক আগ্রহ উৎসাহব্যঞ্জকই বটে

১৯৭০ থেকে এ পর্যন্ত পৃথিবীতে মানুষ বেড়েছে প্রায় দ্বিগুণ, কিন্তু সেভাবে ফ্যাশনের বাড়বাড়ন্ত হয়নি একেবারেই। ২০০০ সালের পর ৪০০% বাড়িয়ে প্রতিবছর ৮০ বিলিয়ন নতুন কাপড় পরিয়েও পৃথিবীর সব মানুষের শরীর ঢাকা যাচ্ছে না। ফ্যাশনের প্রতি এই অতৃপ্ত ক্ষুধার প্রভাব ব্যাপকভাবে পড়ছে মানুষ আর পরিবেশের ওপর।
ভোক্তার দৃষ্টিতে ফাস্ট ফ্যাশনের তিনটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য থাকে: সস্তা, ট্রেন্ডি আর সহজেই ফেলে দেওয়ার যোগ্য। এগুলোর কারণে ক্রেতা সহজে পোশাক কেনায় অনুপ্রাণিত হন। উৎসাহিত হন বছরজুড়ে নিয়মিত পরিবর্তনশীল ট্রেন্ডের সঙ্গে খাপ খাইয়ে তার ওয়্যারড্রোব আপ-টু-ডেট রাখতে। ব্যবসার দৃষ্টিতে, ফ্যাশন গ্রোথ নির্ভর করে অধিক উৎপাদন আর অল্প উৎপাদন ব্যয়ের ওপর। ক্ল্যাসিক সিজনাল কালেকশনের উৎপাদনের থেকে অনেক বেশি পোশাক উৎপাদিত হয় ফাস্ট ফ্যাশনে। বছরে চারবার কালেকশন তোলার পরিবর্তে, কিছু ফাস্ট ফ্যাশন ব্র্যান্ড ক্যাটওয়াক স্টাইলের অনুকরণে নতুন ট্রেন্ড চালু করেছে। যার মাধ্যমে ব্র্যান্ডগুলোর বিক্রয়কেন্দ্রেই প্রতি সপ্তাহে পোশাকগুলো কয়েকবার করে দেখিয়ে দেওয়া হচ্ছে, বিক্রি করার জন্য।
বিশেষজ্ঞরা বলেন, সেলাই মেশিনের আবির্ভাবের সঙ্গেই ফাস্ট ফ্যাশনের শুরুর যোগসূত্র রয়েছে। ফ্যাশনের গতি দ্রুততর হয়েছিল সেলাই মেশিন আবিষ্কারের কারণে সৃষ্ট শিল্পবিপ্লবে। ফলে রেডিমেড জামাকাপড় জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। সহজ উপায়ে বিভিন্ন ধরনের আইটেম, বিভিন্ন সাইজে হাতের নাগালে চলে আসে। এর কারণে মধ্যবিত্তরা ফ্যাশন আইটেমগুলো বেছে নিতে পারেন পকেটের পরোয়া না করেই। যদিও এর পাশাপাশি হোমমেড, কাস্টম ড্রেসমেকিং আর টেইলরিংয়ের জনপ্রিয়তা রয়েছে এখনো।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়ে, গণ-উৎপাদিত পোশাকে অভ্যস্ত হয়ে ওঠার প্রবল প্রবণতা চোখে পড়েছিল। গণ-উৎপাদনের কারণে কাজের মান ও পরিবেশ নিম্নমুখী হতে থাকে। ১৯১১ সালে নিউইয়র্কের ট্রায়াঙ্গল শার্টওয়েস্ট ফ্যাক্টরির দুর্ঘটনায় ১৪৬ জন কর্মীর মৃত্যু ছিল পোশাকশিল্পে ঘটে যাওয়া বিশ্বের প্রথম সবচেয়ে বড় দুর্ঘটনা।
১৯৬০-এর দশক থেকে ১৯৯০-এর দশক পর্যন্ত তৈরি পোশাকের উৎপাদন অনেক বেড়ে যায়। সে সময় শ্রম ও টেক্সটাইল উৎপাদনের জন্য উন্নয়নশীল দেশগুলো থেকে আউটসোর্স করা শুরু হয়। উৎপাদনকারীরা সস্তা শ্রম আর কাঁচামালের সংস্থান করতে থাকে। অন্যদিকে ক্রয়ক্ষমতার ভেতরে থাকা পোশাকের চাহিদাও বাড়তে থাকে। এ সময়েই পোশাক প্রস্তুতকারীরা তাদের উৎপাদনের গতি আরও সংক্ষিপ্ত করতে এবং দ্রুত ট্রেন্ড আপডেট করতে শুরু করে বছরে চারবার।
১৯৯০-এর দশকে ফ্যাশন সাপ্লাই চেইনগুলো নতুন প্রোডাকশন মডেল তৈরি করে আজকের মতো ‘ফাস্ট’ হওয়ার উদ্দেশ্য নিয়ে। ফ্যাশন রিটেইলাররা খরচ কমাতে এবং কালেকশন দ্রুত বাড়াতে থাকে। আজকের দিনে, স্টোরগুলো প্রতি সপ্তাহে ‘মাইক্রো সিজন’ নিয়ে হাজির হয়, যার অর্থ, প্রতিবছর ৫২টা কালেকশন জমা হয় তাদের স্টকে। এমন দ্রুতগতিতে উৎপাদন হলে এর পরিণামও থাকবে স্বাভাবিকভাবে।
বিশ্বের ৯০ শতাংশ পোশাক নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশে উৎপাদিত হলেও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় দেশগুলো এর মূল ভোক্তা। প্রতিদিন চার কোটি শ্রমিক বাজে পরিবেশে কাজ করে আর গার্মেন্টসগুলো থেকে ন্যায্য মজুরিও পায় না।
উদাহরণ হিসেবে আসতে পারে দেশের পোশাককর্মীদের কথা। যারা প্রতি মাসে প্রায় ৯৬ ডলার আয় করেন, যা মৌলিক চাহিদা পূরণে অপ্রতুল। ২০১৮ সালের ইউএস ডিপার্টমেন্ট অব লেবার রিপোর্ট অনুযায়ী বাংলাদেশ, আর্জেন্টিনা, ব্রাজিল, চীন, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, ফিলিপাইন, তুরস্ক, ভিয়েতনাম এবং অন্য বেশ কিছু দেশে ১৮-২৪ বছর বয়সী নারী শ্রমিকদের পাশাপাশি জোরপূর্বক শ্রম ও শিশুশ্রম—দুটোই রয়েছে।
এর বাইরেও জীবনের জন্য হুমকি এমন কর্মক্ষেত্র, স্বাস্থ্যসুবিধার অভাব ও কর্মক্ষেত্রে দুর্ঘটনা পোশাকশিল্পের শ্রমিকদের প্রধান উদ্বেগের ব্যাপার। কর্মক্ষেত্রে বাতাসের দুর্বল প্রবাহের কারণে শ্রমিকেরা নিয়মিত টেক্সটাইলের ধুলো আর ফাইবারে নিশ্বাস নেন। ফলে পোশাকশ্রমিকেরা ফুসফুসের রোগ, ক্যানসার ও প্রজনন সমস্যায় তুলনামূলকভাবে বেশি ভোগেন। কাজগুলোর পুনরাবৃত্তিমূলক প্রকৃতির কারণে শারীরিক ও মানসিক চাপ তৈরি হয়। রানা প্লাজা দুর্ঘটনা ১ হাজার ১৩৪ জন শ্রমিকের হতাহতের কারণ হয়েছিল। এই দুর্ঘটনার কারণে উন্নত বিশ্বের অনেক দেশ শ্রমিকদের প্রতি অন্যায় আচরণের বিরুদ্ধে কথা বলতে শুরু করে। রানা প্লাজা দুর্ঘটনা থেকে উজ্জীবিত হয়ে ফ্যাশন রেভল্যুশন নামের এক আন্তর্জাতিক সংস্থা ফ্যাশনের অস্বস্তিকর ব্যবসায়িক নীতি সম্পর্কে সচেতনতার কাজ শুরু করেছে, মানুষ ও পরিবেশ—উভয়েরই পরিবর্তন চেয়ে।
ফাস্ট ফ্যাশন উৎপাদন ও বাতিলের প্রক্রিয়া—দুটোই এনভায়রনমেন্টাল ফুটপ্রিন্ট রেখে যায়। পোশাক তৈরির জন্য যথেষ্ট শক্তি (এনার্জি) আর লোকবল (রিসোর্স) প্রয়োজন। পাশাপাশি কাপড়ের বিষাক্ত রং আর অন্যান্য রাসায়নিক উপাদান তো রয়েছেই, যা পানযোগ্য পানির উৎসগুলোকে দূষিত করে। ফ্যাশনবিশ্বের কার্বন নিঃসরণের পরিমাণও ব্যাপক। লেভি স্ট্রাউস অ্যান্ড কোম্পানির মতে এক জোড়া জিনস তৈরিতে ৮০ মাইল গাড়ি চালানোর সমপরিমাণ কার্বণ নিঃসরণ হয়। ২০১৯ সালের এক হিসাব অনুযায়ী প্রতিবছর টেক্সটাইল ইন্ডাস্ট্রি ১ দশমিক ৭ বিলিয়ন টন কার্বন ডাই-অক্সাইড বাতাসে ছড়িয়ে দেয়, যা প্রতিনিয়ত নিশ্বাসের সঙ্গে গ্রহণ করা হয়। তবে এখানেই শেষ নয়। এক জোড়া জিনস বা একটা টি-শার্ট বা এক কেজি তুলা তৈরিতে আরও প্রয়োজন হয় ২০০০ গ্যালন পানি, যা প্রায় ৭ হাজার ৫৭১ লিটার মিঠাপানির সমপরিমাণ। টেক্সটাইলের রং বিশ্বের মোট বর্জ্য পানির ২০ শতাংশের উৎপাদক, আর পানিদূষণের দ্বিতীয় বড় শিল্প-কারণ। এই বর্জ্য পানি সরাসরি নদী বা খোলা জলাশয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়, যা আশপাশের এলাকার মানুষ ও প্রাণী—সবার জন্যই ভারী ধাতুর সংস্পর্শে আসার ঝুঁকি বাড়ায়।
ফাস্ট ফ্যাশনের সমীকরণে কৃষি আরেকটি পরিবেশগত ভাবনার বিষয়। সবচেয়ে বেশি বিক্রি হওয়া ফ্যাব্রিকগুলোর একটি নন-অর্গানিক কটন উৎপাদনে প্রচুর পানি, সার আর কীটনাশকের ব্যবহার হয়। পোশাক ব্যবহার শেষেও ফেলে দেওয়ার কারণে প্রচুর বর্জ্য তৈরি হয়। পৃথিবীতে প্রতি সেকেন্ডে একটা পাঁচ টনি ট্রাকে আঁটে এমন পরিমাণ কাপড় হয় পোড়ানো হয়, নয়তো ল্যান্ডফিলে ফেলা হয়। বারবেরির মতো কিছু কোম্পানি তাদের পোশাক কম দামে বিক্রি হওয়া এড়াতে মৌসুমের শেষে অবিক্রীত পোশাকগুলো পুড়িয়ে ফেলে। অ্যালান ম্যাকআর্থার ফাউন্ডেশনের তথ্যানুসারে, প্রতিবছর ৪৬০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের পরার মতো পোশাক ফেলে দেওয়া হয়। আর প্রত্যেক আমেরিকান প্রতিবছর গড়ে ৮০ পাউন্ড ওজনের পোশাক ল্যান্ডফিলে জমা করেন। আরেকটি সমস্যা হলো, অনেক কাপড়ে ব্যবহৃত সস্তা পলিয়েস্টার টেক্সটাইলগুলো প্রতিবার ধোয়ার সময় পানিতে মাইক্রো প্লাস্টিক ফাইবার ছেড়ে দেয়। অপচনশীল মাইক্রো-প্লাস্টিক খাদ্যশৃঙ্খলে প্রবেশ করে, যা প্রাণিজগতের জন্য মারাত্মক হুমকি তৈরি করছে।
এখন তাই প্রশ্ন আসছে, ফাস্ট ফ্যাশনকে কি সাসটেইনেবল করা যাবে না? পুরোপুরি বিপরীত মেরুতে দাঁড়ানো দুটো ব্যাপারকে এক করার চেষ্টা কম করা হচ্ছে না। কারণ, পরিবেশ রক্ষা করতে হবে, শ্রমিকের কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তা দিতে হবে, আবার পোশাক সবার ক্রয়ক্ষমতার ভেতরেও রাখতে হবে।
এসব ব্যাপার মাথায় রেখেই সবার আগে নতুন বিজনেস মডেল তৈরির কথা ভাবছেন বিশেষজ্ঞরা। ভোক্তা আর উৎপাদনকারীদের থেকে তাই ক্রমাগত চাপ আসছে সাপ্লাই চেইনকে সাসটেইনেবল ফ্যাশনে রূপান্তরের জন্য। সার্কুলার ইকোনমির মাধ্যমে এটা করা সম্ভব; যা সমাজের জন্য সুবিধাজনক বিষয়গুলোর ওপর দৃষ্টি রেখে বিকাশকে পুনঃসংজ্ঞায়িত করবে। সীমিত সম্পদ ব্যবহার করে ধীরে ধীরে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডকে দ্বিগুণ করবে আর সিস্টেম থেকে বর্জ্য প্রায় শূন্যের কাছে নিয়ে আসবে। এই মডেলে রিইউজ, শেয়ার, রিপেয়ার, রিফার্বিশ, রিম্যানুফ্যাকচার, রিসাইকেল ব্যবহার করা হয় আবদ্ধ সিস্টেমে। ফলে জনশক্তির ক্ষয় হয় কম, বর্জ্য কম উৎপাদিত হয়, দূষণ ও কার্বণ নিঃসরণও কমে আসে।
অ্যালেন ম্যাকআর্থার ফাউন্ডেশন এই প্রক্রিয়ায় চারটি দিক দেখিয়েছে:
 উচ্চ মানের আসল উপাদানের ব্যবহার, যেন স্থিরতা আসে ও পরিবেশদূষণ কম হয়।
 প্রক্রিয়ার একদম শেষ পর্যন্ত পরিকল্পনা ও উৎপাদন।
 রিসাইক্লিংয়ের পরিকল্পনা শুরু থেকেই থাকতে হবে এবং রিসাইক্লিং প্রযুক্তি উন্নত করতে হবে।
 নতুন সম্পদের ব্যবহার কমাতে হবে কিন্তু পুনর্ব্যবহারযোগ্য সম্পদ বা রিসোর্সের ব্যবহার করতে হবে আরও বেশি করে।
ডাচ কোম্পানি ডাইকু ও সুইডিশ কোম্পানি রি:নিউসেল নতুন কিছু বিজনেস মডেল নিয়ে কাজ শুরু করেছে। ডাইকু দাবি করছে, তারা পৃথিবীর প্রথম পানি ও প্রক্রিয়াজাত করা রাসায়নিকমুক্ত ডাই প্রযুক্তির বাণিজ্যিক সরবরাহকারী। যার মাধ্যমে কার্বন ডাই-অক্সাইড নির্ভর রং টেক্সটাইল ডাইকে আরও পরিচ্ছন্ন, টেকসই, কার্যকর আর মুনাফাজনক করে তোলা সম্ভব বলে দাবি প্রতিষ্ঠানটির। রি:নিউসেল কাপড়কে পুনরায় ব্যবহার করার নতুন পথ বের করেছে। তারা যেসব কাপড় সেকেন্ড হ্যান্ড দোকানে পাঠানোরও অনুপযোগী, রং চটে গেছে—সেগুলোকে গার্মেন্টসে নিয়ে পরিষ্কার করে অর্ধতরলে পরিণত করে। এর ফলে তৈরি হয় সেলুলোজ। আর সেলুলোজ হলো পচনশীল অর্গানিক এক উপাদান, যা দিয়ে পৃথিবীর সমস্ত লতা-গুল্ম-বৃক্ষ তৈরি।
এর পাশাপাশি বিকল্প উপকরণ নিয়েও ভাবতে শুরু করেছে অনেকে—অর্গানিক হেম্প, অর্গানিক লিনেন, টেন্সেল, পিনাটেক্স, ইকোনাইল ইত্যাদি।
সাপ্লাই চেইনের স্বচ্ছতাও এ ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখে। ভোক্তাদের ক্রমবর্ধমান দাবির মুখে অনেক ফাস্ট ফ্যাশন ব্র্যান্ড ও প্রতিষ্ঠান পরিবেশ সংরক্ষণে এগিয়ে এসেছে। তাদের সাপ্লাই চেইনের সবটাই বলে দিচ্ছে ক্রেতাকে। ডিজাইন বা নকশা করা থেকে ট্রান্সপোর্ট বা পরিবহন পর্যন্ত, খুঁটিনাটি সব তথ্য অনলাইনে বা অফলাইনে জানিয়ে দিচ্ছে সুইডিশ ফ্যাশন জায়ান্ট এইচঅ্যান্ডএমের মতো প্রতিষ্ঠান। বেশির ভাগ ক্রেতা দামের ব্যাপারে সচেতন থাকায় ব্র্যান্ডগুলো উপকরণ, শ্রম, পরিবহন, শুল্ক আর লাভের পরিমাণটাও ইদানীং জানিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে। এ ক্ষেত্রে মার্কিন ব্র্যান্ড এভারলেনের নাম উল্লেখ করা যায়।
একই সঙ্গে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের কথা বলা হচ্ছে। ব্লকচেইন ও আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের মতো প্রযুক্তি কোম্পানিগুলোকে সাসটেইনেবল রিটেইল মডেলের পুরোটা গ্রহণ করতে সহায়তা করবে। কারণ, এতে ভ্যালু চেইনের প্রতিটি পদক্ষেপ অনুসরণ করা সম্ভব হবে আর হিসাব স্বচ্ছতর হয়ে উঠবে: কাঁচামালের উৎস থেকে উৎপাদন, সেখান থেকে পরিবহন ও পুনর্ব্যবহার—সবটাই।
বলা হচ্ছে, এভাবে ফাস্ট ফ্যাশনকে টেকসই বা সাসটেইনেবল করা সম্ভব। তবে এ ক্ষেত্রে ব্র্যান্ড ও কোম্পানিগুলোর সদিচ্ছা আর ক্রেতার উদ্যোগ যে মূল ভূমিকা রাখবে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
 আল মারুফ রাসেল
ছবি: ইন্টারনেট

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Back To Top